একট হাসি, অলস দুপুর, এক ফোঁটায় জলের পুকুর।
বৃষ্টিতে ঝুম ঝুম
তিন জনে রিকশায়
ভিজে যেয়ে ঝুপ ঝুপ
গল্পে আড্ডায়...
উঁহু, এটা কোন কবিতা নয়। গুণরের মতানুসার একে মুঠো ফোন কাব্য বলা হলেও এ নিছকই আমাদের আজকের কান্ড।
এবং, পাগলীটা আজ নিজেই বলেছে, নাহিন তুই ঠিকই বলিস, তুই ঘুরিস দু'জনের সাথে, একটা পাগল, আরেকটার মাথা খারাপ।
কাহিনী এমন বিশেষ কিছু না।
পরীক্ষা ২৮শে বলে মনে হলো পড়তে বসা দরকার। ক্লাসতো খোদার ওয়াস্তে আমি করেছি একটা, শারিকা করেছে শূন্যটা। এখন ক্লাস নোট লাগবে।
সুতরাং, ছোটো হলে, করো ফটোকপি।
পলাশীর বাজা থেকে যখন বের হয়ে দাঁড়ালাম, গন্তব্য বংশাল।
শারিকার বাসা। মাঝে হলে শুধু ক্লাসনোটের খাতাটা দিয়ে যেতে হবে।
রিকশা তেমন নেই। আকাশে মেঘ। বৃষ্টি নেমে গেছে ফটোকপি শেষ হওয়ার আগেই।
অগত্যা কি করা, রওনা দিলাম পলাশীর মোড়ে। (আমরা আগের পলাশী বাজারটা খুব মিস করি , আগে দু'কদম হাঁটেই সব পেতাম, এখন দু'টো রাস্তা পেরোতে হয় )
সে যাহোক, একটা রিকশা পেলাম পথিমধ্যে, তাতেই উঠে বসলাম তিনজন। ভিজে যখন গেছিই, বৃষ্টিতে রিকশা ভ্রমণ হয়ে যাক,না থুক্কু, রিকশার বৃষ্টিভ্রমণ।
খুব লম্বা পথ ছিলো না।
কিন্তু অনেক দিন পরে তিন জনের একসাথে মাস্তির জন্য যথেষ্ট।
হুল্লোড় করতে করতে গেছি।
আসলে, কথার চেয়ে হাসিই বেশি ছিলো। হাসির তোড়েই হল পেরিয়ে মেডিক্যালের সামনে গিয়ে মনে হয়েছিলো, ক্লাসনোট ফেরত দেয়ার কথা।
কোন একটা কারণে আমারই মনে পড়েছিলো তা। আর তখনই, পাগলীটার স্বীকারোক্তি- তাদের একজন পাগল, আরেক জন মাথা খারাপ।
দু'জন মিলে এর পরে যে হাসি দিয়ে একে সেলিব্রেট করলো, আমি একটু দ্বন্দে পড়লাম, কোন জিনিসটা নিয়ে তারা গর্বিত- তাদের নামকরণে?
নাকি, তিনজনের মাঝে অন্তত একজন কিছুটা সুস্থ তা জেনে??
নাকি শুধুই তা রিকশায় বৃষ্টিভ্রমণের আনন্দ ??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।