দুঃখের জল,করে ছল-ছল... ১
একটু আগে বাসায় এলাম।
ভীষণ টায়ার্ড। না, আমি বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে ফিরিনি,যাইও নি।
আজ বিকেল ৪ টার সময় অফিস থেকে বেরিয়ে বাসায় এলাম রাত ১০.৩০ এ।
যদিও অফিস থেকে আগেই বেরিয়েছিলাম
আমার অফিস টাঙ্গাইলে, বাসা গাজীপুর।
প্রতিদিন আসা-যাওয়া করি ৯০ কিমি।
আর একারনেই হাইওয়ে চলার সময় মানুষের দুর্ভোগ দেখে আর সয়ে এলাম।
২
বাসা থেকে বেরিয়েছিলাম সকাল ৬ টায়।
মোটামুটি ভালমতই পৌঁছেছিলাম । তবে যাওয়ার সময় ই টের পেয়েছিলাম,ফিরতি পথে খবর আছে আজ
চন্দ্রা থেকে কোন গাড়ি ঢাকা মুখি যেতে দিচ্ছেনা পুলিশ।
মানুষের জটলা। দীর্ঘ পথ কেবল সারি সারি গাড়ি। বেশির ভাগ উত্তরবঙ্গের,কিছু ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটের। ট্রাক –বাস-প্রাইভেট কার এমন কি এম্বুলেন্স পর্যন্ত। গাড়ি ভর্তি লোকজন ।
নারী –শিশু –বৃদ্ধ । বাচ্চাদের কান্না । প্রচণ্ড গরম। খোলা ট্রাকে গবাদি পশু।
সব আটকে আছে, নিরব।
গতিহীন।
সামনে মহান পুলিশের জাদুকরি হাতের ইশারা। মুখে বাশি, হাতে বড় লাঠি ।
পেছনে দীর্ঘ ২৫ কিমি এর যানজট।
সামনে পুলিশ।
কারণহীন জ্যাম। সরকারের ইচ্ছা। উনাদের ক্ষমতা । সরকার সমর্থিত, পুলিশ কর্তৃক পালিত অঘোষিত হরতাল।
পুলিশ কি আসলেই মানুষ? নাকি পুলিশের পোশাক পরলে তারা আর মানুষ থাকেনা??
৩
ফিরতি পথে বাস নয়, ম্যাক্সি টাইপের ছোট গাড়ি ।
তারা আগে ব্যাঙ্কের এক গ্রাহকের করুনা করে মটরবাইকে করে অনেকটুকু পথ আগানো ।
আবারও সেই এক-ই দৃশ্য । তবে জ্যাম আরও বেশি। এবার আমিও এই দুর্ভোগের শিকার ।
গরমে ঘামছি।
প্রচণ্ড। মাথা ঘুরছে। বুক শুকিয়ে কাঠ ।
হাইওয়ের পাশে এক দোকান থেকে এক বোতল পানি। নিমিষেই শেষ ।
অবশেষে অনেক কষ্টে ,কয়েক গাড়ি চেঞ্জ ,কিছু পথ হেঁটে বাসায়।
৪
এমনি করে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করে,গ্রেফতার করে কি কোন সমাবেশে যাওয়া ঠেকানো যায়?
আর যারা পথে নেমেছে তারা আসলে সবাই জীবিকার জন্য,কাজের জন্য, প্রয়োজনেই গাড়িতে চড়েছে ।
আর দিনবদলের সরকার আমার-আমাদের নির্বিবাদে পথে চলার অধিকার ও কেড়ে নিচ্ছে ফালতু অযুহাতে।
সরকারের ঘটে কি ঘিলু নেই?তা না হলে এমন অবিবেচকের মত কেন এই সিদ্ধান্ত?
নাকি ক্ষমতায় আছে বলে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে??
মাঝে মাঝে মনে হয়, আমার প্রিয় এই দেশ-টা আর আমার না, আমার নেই।
কেবল ক্ষমতার লড়াই ।
আর শেয়াল-কুকুর এর কামড়া –কামড়ি ।
অনেক ক্ষোভ নিয়ে ভীষণ টায়ার্ড থাকার পরেও এই লেখাটা লিখছি।
মাথায় কিছু আসছিল না। যা ইচ্ছা লিখলাম।
কাল থেকে আবার পথে নামতে হবে,আবার ও জীবন-যুদ্ধ ।
এমনি করে প্রতিদিন, প্র্তিনিয়ত। যত দিন বেঁচে আছি...।
তবে,এটা কে কি জীবন বলে??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।