ভ্যাম্পায়ার ওয়ারিয়র ০.১ সম্প্রতি ভারত বিনিয়োগ সহ আরও কিছু পদক্ষেপ যেগুলো নিয়েছে সেগুলো তাদের বাংলাদেশ দখলের একটা প্লানের অংশ বলে আমার কাছে অন্তত মনে হচ্ছে। অন্যদের ভিন্নমত থাকতে পারে। এখানে আমি এই ব্যাপারে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। ভারতীয়রা যেভাবে বাংলাদেশে তাদের প্রভাব বিস্তার করতে চাচ্ছে-
১। সাহারার প্রধানের ঢাকায় বিনিয়োগ যেটা ঢাকা শহর সহ সমস্ত বাংলাদেশ দখলের শুরু বলে আমার মনে হয়।
২। বিএসএফ কর্তৃক প্রায়ই নিরপরাধ বাংলাদেশী হত্যা।
৩। বাংলাদেশে উত্তরবঙ্গ ও অন্যন্য এলাকায় পানি প্রবাহে বাধা দেয়া ও বাংলাদেশকে মরুভুমি করার ষড়যন্ত্র।
৪।
আইপিএলে বাংলাদেশী তামিম খেলার সুযোগ না দেয়া এবং সাকিবকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য/অবজ্ঞা করা।
৫। ভারতে বাংলাদেশী টিভি চ্যানেল নিষিদ্ধ করা।
৬। সুন্দরবনের অপেক্ষাকৃত বেটার অ্যারিয়া তাদের দখলে নিয়ে নেয়া এবং বাংলাদেশকে অপেক্ষাকৃত খারাপ জায়গা দেয়া।
৭। আমেরিকা যাতে চট্রগ্রামে ঘাটি না গাড়তে পারে, তাদের প্রকৃত তথ্য/নজরদারি না করতে পারে সে জন্য বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশ এর ব্যাপারে বিতর্কিত তথ্য দেয়ার প্রচেষ্টা।
৮। ইন্ডিয়ান হ্যাকারদের বাংলাদেশী সরকারী ও বেসরকারী ওয়েবসাইট হ্যাক করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে যদিও বাংলাদেশী হ্যাকাররা এক্ষেত্রে তাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে এখন পর্যন্ত বলে আমার মনে হয়।
৯।
আওয়ামীলীগ/মুজিব সরকার সহ বাংলাদেশের সরকারের দুর্বলতগুলোকে কাজে লাগিয়ে স্বাধীনতাউত্তরকাল থেকেই তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের মানবাধিকারবিরোধী,অনৈতিক কার্যকলাপ,দমিয়ে রাখার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। স্বাধীনতা যুদ্ধে তারা বাংলাদেশকে সহযোগীতা করেছে সেটা ভাল কিন্তু সেটা এখন সম্পুর্ন বিপরীত ধারায় চলে গেছে কারন তারা বাংলাদেশ দখলের চেতনায় লিপ্ত।
১০। ভারত মাঝে মাঝে পারমানবিক অস্ত্রের/ক্ষেপনাস্ত্রের যে পরীক্ষা করে সেটা শুধুমাত্র চীন,পাকিস্তানকে নজরে আনার জন্য নয় বরং সেটা বাংলাদেশসহ দক্ষিন এশিয়ার অন্যন্য দেশের জন্য তাদের আক্রমনাত্নক মনোভাবের পরিচায়ক যেটা থেকে বাংলাদেশের সরকারের শিক্ষা নিয়া ধীরে ধীরে পারমানবিক অস্ত্র তৈরির দিকে ঝুকে পড়া উচিত বলে আমি মনে করি।
১১।
বিপিএলের মতো টুর্নামেন্টে ভারতীয় সংগীত আয়োজন করা সহ প্রায়ই ইন্ডিয়ানদের কনসার্ট,প্রোগ্রাম আয়োজন করতে দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশী কিছু সংগঠনের মাধ্যমে কিন্তু এতে ভারতীয় সংস্কৃতি ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করছে বাংলাদেশে। এটা বন্ধ করা সহ,বিপিএলে ভারতীয়রা যাতে বিনিয়োগ করতে না পারে সেই জন্য বাংলাদেশের সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
ভারতীয়দের প্রভাব বিস্তার রোধে করনীয় -
১। ভারতীয়দের বিনিয়োগ করতে না দেয়া বা কমানো এবং অন্য দেশগুলোর বিনিয়োগে আকর্ষন করা।
২।
বাংলাদেশে ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলো নিষিদ্ধ করা।
৩। বিএসএফ যাতে আর একজন বাংলাদেশীকেও হত্যা না করতে পারে সে জন্য খুবই দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া।
৪। ইংলিশ কাউন্টি টুর্নামেন্টের আদলে ১৫/২৫ ওভারের টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যেটা লং টাইমের জন্য হবে এবং আইপিএলে খেলোয়ারদের খেলতে না দেয়া/নিরুৎসাহিত করা।
তাছাড়া আইপিএলে খেললে দেশের মানসম্মান নষ্ট হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে।
৫। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গ সহ যেসকল অঞ্চলে ভারত পানিপ্রবাহে বাধা দিচ্ছে সেই বাধাগুলো রিমুভ করা যাতে কৃষকরা পর্যাপ্ত ফসল উৎপাদন করতে পারে এবং ভারতের একচ্ছত্র আধিপত্য এক্ষেত্রে খর্ব হয়। এক্ষেত্রে সরকারের রেভু্লুশনারি/ব্যাপক পদক্ষেপ আজ থেকেই নেয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
৬।
সুন্দরবনকে পুনরায় আগের অবস্থানে নেয়া এবং গাছপালা,পশুপাখি প্রভৃতি দিক দিয়ে সমৃদ্ধ করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া এবং বাস্তবায়ন করা।
যাতে ভারতের অংশের চেয়ে আমাদের সুন্দরবনকে আরও সমৃদ্ধশালী করে গড়ে তোলা যায়।
৭। আমেরিকা-ইউরোপ-অষ্ট্রেলিয়া-চীন-জাপান প্রভৃতি দেশগুলোকে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা ,এসব দেশে রপ্তানি বাড়ানো,ঝন সহায়তা নেয়া উচিত বেশি ।
৮।
আমেরিকাকে চট্রগ্রামে ঘাটি গাড়তে দেয়া উচিত যাতে তারা চীন ও ভারতে তথা সমগ্র এশিয়ায় নজরদারি করতে পারে কিন্তু নিজেদের স্বাধীনতা বাংলাদেশ কখনোই খর্ব করবেনা আশা করি।
৯। ভারতীয়রা মাঝে মধ্যে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশে বিশেষ করে ত্রিপুরা,আসাম,মিজোরাম,সিলেট সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সেটা সম্পুর্ন বন্ধ করা উচিত।
১০। পারমানবিক অস্ত্র,মিসাইল,সাবমেরিন,হেভি ওয়েপনস তৈরি করার চেষ্টা করা উচিত বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের দরকার হলে আমেরিকা-ইউরোপ,ইরান,দক্ষিন কোরিয়া,পাকিস্তান হতে তারা রসদ/কাচামাল ও প্রযুক্তি কিনতে পারে, বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষন দিতে পাঠাতে পারে।
এতে করে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে শক্তিশালী রাষ্ট্র হতে পারবে এবং ইন্ডিয়ানরা/পাকিস্তানিরা যদি ভবিষ্যতে অ্যাটাকও করে সেটা প্রতিহত করে উপযুক্ত জবাব দিতে পারবে। বাংলাদেশের যা অস্ত্র আছে সেটা খুবই কম, কাজেই এটা করা খুব জরুরী। তাছাড়া এতে দেশের কর্মসংস্থানও বাড়বে ফলে বেকার সংখ্যাও দেশে কমবে।
১১। বাংলাদেশের কোন সরকারের যদি বিন্দুমাত্রও ভারতপ্রীতি থেকে থাকে তা আজই দুর করা উচিত বলে আমার মনে হয় যদি দেশকে পরাধীন/শৃংখলমুক্ত করতে হয় এবং বাংলাদেশকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যেতে হয়।
১২। আমেরিকা ইউরোপ চাদে,মঙ্গলে,ইউরেনাস,বুধ প্রভৃতি গ্রহ-উপগ্রহে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে গেছে এমনকি ভারতও যতটুকু এগিয়েছে বাংলাদেশ সেভাবে আগায়নি তাই বাংলাদেশের উচিত এক্ষেত্রে আরও উদ্যোগী হওয়া তাতে বাংলাদেশের বহির্বিশ্বে ভাবমুর্তি উজ্জ্বল হবে ও দেশ সমৃদ্ধশালী হবে নির্দ্ধিধায়।
আমি বলছিনা ভারতের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করুক কিন্তু সম্পর্ক স্বাভাবিক রেখে তাদের সাহায্য সহযোগীতা কমিয়ে তাদের কর্তৃত্ব/প্রভাব মুক্ত করতে হলে উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো নেয়া অতীব জরুরী।
উপরোক্ত পদক্ষেপ গুলো যদি বাংলাদেশের সরকার নিতে পারে তাহলে ২০৩০ সালে বাংলাদেশকে ভারত ও অন্যন্য সকল দেশের প্রভাবমুক্ত একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে দেখা যেতে পারে অন্যথায় চিন্তাও করা যাবেনা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।