ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য যেমন বাঁচা মরার লড়াই, তেমনি লোডভিক ডি ক্রুইফের জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। রোববার বাংলাদেশের ডাচ কোচ জানালেন, “এটা আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। নেপাল ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে ভারতের বিপক্ষে আমাদের ভালো খেলতেই হবে। এই ম্যাচে জেতার কোনো বিকল্প নেই। ”
“ফুটবলে সবই সম্ভব।
এই সত্যের ওপরে বিশ্বাস না থাকলে ঘরে বসে থাকাই ভালো। ভারতের বিপক্ষে জিততে পারবো এটা বিশ্বাস করতে হবে, কারণ আমাদের তিন পয়েন্ট দরকার। ”
ডি ক্রুইফ আরো বলেন, “আমি খেলোয়াড়দের বলেছি, নেপালের বিপক্ষে তাদের খেলা দেখার সময় মনে হচ্ছিল আমার মাথায় কে যেন হাতুড়ি দিয়ে পেটাচ্ছে! আমরা সংগঠিত হয়ে খেলতে পারিনি। বিশেষ করে রক্ষণভাগের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। অবশ্য পুরো দলই মাঠে অসংগঠিত ছিল।
”
“এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। খেলোয়াড়দের মনসংযোগ ছিল না, নাকি অন্য কারণে এমন হয়েছে তা-ও আমাদের জানতে হবে। প্রত্যেকে এসে নানা অজুহাত দিচ্ছে। কিন্তু আমার কাছে এসব অজুহাতের কোনো দাম নেই। ”
বাংলাদেশের কোচ সবচেয়ে বিরক্ত ডিফেন্ডারদের নিয়ে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তাদের শেখানোর সময় তারা বুঝেছে। ক্লাসে বোঝানোর পর তারা বলেছে বুঝেছে, ভিডিও দেখানোর পরও বলেছে বুঝেছি। এক জন-এক জন করে বুঝিয়েছি। জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেছে, বুঝেছি। কিন্তু ম্যাচে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।
এখন অস্বীকার করার উপায় নেই, রক্ষণভাগ নিয়ে আরো কাজ করতে হবে। ”
নেপালের বিপক্ষে নির্ভরযোগ্য ফরোয়ার্ড জাহিদ হোসেনের পারফরম্যান্সও ছিল হতাশাজনক। তার ধারাবাহিকতার অভাবের কথা জানিয়ে ডি ক্রুইফ বলেন, “জাহিদ বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ফুটবলার। কখনো সে দুর্দান্ত খেলে, কখনো তাকে খুঁজেই পাওয়া যায় না। এটাই তার সমস্যা।
তবে একটা দিন যে কারো খারাপ যেতেই পারে। এটা সবারই হতে পারে। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।