বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্উক, হে ভগবান। রবীন্দ্রনাথ রোমান সম্রাট ট্রাজান (৫৩/১১৭খ্রিস্টাব্দ) কিন্তু আমরা তাঁর সম্বন্ধে কেন জানব? প্রথমত: রোমান সম্রাট ট্রাজান রোমান সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রদ্রোহীতার বিচার রদ করেছিলেন। এই ‘ট্রায়ালস ফর হাই ট্রিজন’ রোমান সাম্রাজ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। দ্বিতীয়ত: সম্রাট ট্রাজান নিজে রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলবেন বলে শপথ করেছিলেন।
তৃতীয়ত: সম্রাট ট্রাজান সিনেটে (রোমান পার্লামেন্ট) বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছিলেন। চতুর্থত: রোমান ম্যাজিস্ট্রেটদের (যারা রোমান সাম্রাজ্যের স্থানীয় সুশাসন দেখভাল করেন) নির্বাচনের জন্য যে ‘কমিশিয়া’ ছিল, যেটি বিলুপ্ত করা হয়েছিল- সেটি রোমান সম্রাট ট্রাজান আবার চালু করেছিলেন।
এবং এই কথাগুলি পড়ার পর তো ২০০০ বছর আগের রোমান সম্রাটের প্রতি আমাদের কৌতূহল হওয়ার কথা।
সম্রাট ট্রাজান-এর আরও দুটি কৃতিত্বের কথা প্রথমেই উল্লেখ করতে চাই। তা হল রোমান সাম্রাজ্যে পাবলিক স্কুল প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব তাঁরই এবং সাম্রাজ্যের নানা স্থানে দরিদ্র শিশুদের ভরণপোষনের কল্যাণমূলক কার্যক্রমটি অব্যাহত রেখেছিলেন।
কন্যারাশির (জন্ম ১৮সেপ্টেম্বর) রোমান সম্রাটটি ছিলেন অটল মানসিক শক্তির অধিকারী, আচার-আচরণে ভদ্র, চালচলনে অভিজাত ...তাঁর সম্বন্ধে রোমান ঐতিহাসিকদের সিদ্ধান্ত এই:
Trajan desired only to restore the simple manners andvirtuous habits of an earlier age.
রোমান সম্রাট ট্রাজান- এর সময়কার রোমান সাম্রাজ্যের মানচিত্র। তাঁর সময়ে রোমান সভ্যতা উন্নতির শিখরে বিরাজ করছিল। ট্রাজানই ছিলেন, রোমানদের চোখে, সর্বশ্রেষ্ট রোমান সম্রাট। যাঁর রাজত্বকাল ৯৮ থেকে ১১৭ খ্রিস্টাব্দ। লাতিন ভাষায় সম্রাটের ট্রাজানের পুরো নাম মারকাস উলপিয়াস ট্রাজানুস।
সবচে আশ্চর্য এই যে রোমান সম্রাট ট্রাজানই প্রথম রোমান সম্রাট -যিনি ইটালির নেটিভ নন, অর্থাৎ সম্রাট ট্রাজান ছিলেন অ-ইটালিও। সমাট্রের মা অবশ্য ছিলেন অভিজাত রোমান নারী; নাম: মারসিয়া; রোমে বড় হয়েছেন, বাবা ছিলেন রোমান সিনেটর। স্পেনের ইটালিকা নগরের অধিবাসী মারকাস উলপিয়াস ট্রাইয়ানুস- এর সঙ্গে মারসিয়ার বিয়ে হয়। তার মানে মারসিয়ার স্বামী ঠিক ইটালির নেটিভ ছিলেন না। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে স্পেনের ইটালিকা চলে যান মারসিয়া।
স্পেনের ইটালিকা নগরের একটি প্রাচীন রোমান স্থাপত্য। ২০৬ খ্রিস্টপূর্বে রোমান সেনাপতি পাবলিকাস কর্নেলিয়াস স্কিপিও আফ্রিকানুস নগরটির পত্তন করেন। নগরটি স্পেনের সেভিলের ৯ কিলো উত্তর পশ্চিমে।
৫৩ খ্রিস্টাব্দে স্পেনের ইটালিকা নগরে ট্রাজান-এর জন্ম হয়। ট্রাজানের বাবা মারকাস উলপিয়াস ট্রাইয়ানুস ছিলেন সাধারণ সৈন্য।
তবে কঠোর পরিশ্রমের ফলে এশিয়ার গর্ভনরশিপ পেয়েছিলে। যে কারণে রোমান সিনেটরের কন্যার সঙ্গে বিয়ে সম্ভব হয়েছিল? ...কৈশরেই, প্রথানুযায়ী, সৈন্যবাহিনীতে কঠোর ট্রেনিং নেন ট্রাজান। কর্মজীবন কেটেছে স্পেন, সিরিয়া এবং জার্মানিতে। ৮৯ খিস্টাব্দে জার্মানির রাইন অঞ্চলে অ্যান্টনিয়াস সাটুরনিনাস রোমান সম্রাটের বিদ্রোহ করে। সে সময় রোমান সম্রাট ছিলেন নের্ভা।
রোমান সম্রাটকে সমর্থন করে ট্রাজান। নিঃসন্তান বৃদ্ধ সম্রাট ৯৭ খ্রিস্টাব্দে ট্রাজানকে দত্তক নিয়েছিলেন। এ কারণে সম্রাট ট্রাজানের বংশটি Nerva–Antonine dynasty বলে পরিচিত।
জুপিটাররূপী সম্রাট নের্ভা।
সম্রাট নের্ভা সৈন্যবাহিনীতে অ-জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন নানা কারণে।
ক্ষমতায় এ নিয়ে চলছিল টানাপোড়েন। সম্রাট নের্ভার বিরুদ্ধে অভিজাত রক্ষীরা বিদ্রোহ করে। তারা ক্ষমতায় ট্রাজানকে দেখতে চায়। ২৭ জানুয়ারি ৯৮ খ্রিস্টাব্দে ৬৭ বছর বয়েসে সম্রাট নের্ভার মৃত্যু হয়। এর পর পরই ট্রাজান রোমের সম্রাট হন।
অবশ্য ওই সময়ে ট্রাজান জার্মানিতে রোমান সৈন্যবাহিনী পরিদর্শনে ছিলেন এবং কয়েক বছর পর রোমে ফেরেন।
রোমান সৈন্য। রোমান সাম্রাজ্যের ক্ষমতার উৎস।
সম্রাট ট্রাজান জার্মানি থেকে রোমে ফিরে এলেন। সৈন্যদের নিয়ে রাজ্যাভিষেকের উৎসব উদযাপন করলেন।
সেই সঙ্গে রোমান নগরগুলিতে ছিন্নমূল শিশুদের জন্য আনন্দ- উৎসবের আয়োজন করার নির্দেশ দিলেন। এই কল্যাণমূলক কার্যক্রমটি সূচিত হয়েছিল সম্রাট নের্ভার আমলে। সম্রাট ট্রাজান সেটিই অব্যাহত রাখলেন। এভাবে কিছু হলেও এক মানবিক রাজত্বকালের সূচনা করেন; যা ভবিষ্যৎ মনে রেখেছে। ইতালির রাজনীনৈতিক- দার্শনিক নিকোলো ম্যাকিয়াভ্যালি রোমান শাসন পর্যালোচনা করে ১৫০৩ খ্রিস্টাব্দে পাঁজ জন রোমান সম্রাটকে ‘ভালো’ বলে চিহ্নিত করেন।
এঁদের চারজন হলেন নের্ভা, হাড্রিয়ান, অ্যান্টনিয়াস পিয়াস, এবং মারকাস অরেলিয়াস। এবং অবশ্যই সম্রাট ট্রাজান।
পোমপিয়া প্লটিনা। সম্রাট ট্রাজান- এর স্ত্রী। পূণ্যবতী, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন এক নারী।
যিনি যাপন করতেন সহজসরল জীবন । দর্শনের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। জনৈক ঐতিহাসিক তাঁর সম্বন্ধে লিখেছেন: She was particularly devoted to the Epicurean philosophical school in Athens, Greece. Through her influence, she provided Romans with fairer taxation, improved education, assisted the poor and created tolerance in Roman society.
বাবা ছাড়া সম্রাট ট্রাজানের তেমন ঘনিষ্ট পুরুষ আত্মীয় ছিল না। বাবার মৃত্যুর পরে ট্রাজান একরকম নারী পরিবেষ্টিত হয়ে পড়েন । স্ত্রী পোমপিয়া প্লটিনা ছাড়াও বোন মারসিকানা এবং বোনের মেয়ে মাটিডিয়া, তার মেয়ে সাবিনা-এরা ঐতিহাসিকদের মতে স¤্রাট ট্রাজানের জীবনে প্রভাব রেখেছিলেন।
তারা একসঙ্গে ভ্রমন করতেন । সম্রাটের অনেক সিদ্ধান্তে ওই নারীদের কাছ থেকে আসত। সম্রাট তাদের যথাযোগ্য সম্মানে ভূষিত করেছিলেন। স্ত্রী পোমপিয়া প্লটিনা কে ‘আগাস্টা’ উপাধি দান করেছিলেন। সম্রাট ট্রাজান নিঃসন্তান ছিলেন।
তিনি হাড্রিয়ান কে দত্তক নিয়েছিলেন। দত্তক পুত্র হাড্রিয়ান পরবর্তীতে রোমান সম্রাট হয়েছিলেন। পোমপিয়া প্লটিনা সম্রাট ট্রাজানের মৃত্যুর পরও বেঁচে ছিলেন।
উলপিয়া মারসিকানা। সম্রাট ট্রাজানের বোন।
সম্রাট ট্রাজানের বোন উলপিয়া মারসিকানা ছিলেন বয়েসে সম্রাটের পাঁচ বছরের বড়। দু’জনের মধ্যে ছিল গভীর মমতার বন্ধন। সম্রাট বড়বোনকে ‘আগাস্টা’ উপাধি দান করেছিলেন। উলপিয়া মারসিকানার মেয়ে মাটিডিয়া। তিনিও ‘আগাস্টা’ উপাধি পেয়েছিলেন।
মাটিডিয়ার মেয়ে সাবিনার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল দত্তকপুত্র হাড্রিয়ানের। সে যাই হোক। ট্রাজান সম্বন্ধে বলা হয়; He was free from every vice except an occasional indulgence in wine... মনে হয় না এই আসক্তি নারীরা ছাড়াতে পেরেছিল। আর একটা কথা। সম্রাট ট্রাজানের জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে যুদ্ধ বিগ্রহে।
কাজেই স¤্রাটের অন্দরমহল সর্ম্পকে বেশি অলোচনা সম্ভব নয়। তবে জগতে যুদ্ধবিগ্রহের এমনই নিয়ম- এমন কী ট্রাজানের মতন ভদ্র স¤্রাট ডেসিয়া রাজ্যের বিরুদ্ধে বর্বরতার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ... Emperor Trajan recommenced hostilities against Dacia and defeated the Dacian general Decebalus in the Second Battle of Tapae in 101AD.
পূর্ব ইউরোপের মানচিত্র; প্রাচীন ডেসিয়া রাজ্যটি ছিল বর্তমান রুমানিয়া, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া এবং ইউক্রেনে। সম্রাট ট্রাজানের ডেসিয়া রাজ্যে সামরিক অভিযান ইউরোপের ইতিহাসে নাা কারণে বিখ্যাত হয়ে রয়েছে। রুমানিয়ার ওই ডেসিয়া রাজ্যটিই ছিল আমাদের পরিচিত কাউন্ট ড্রাকুলার রাজ্য।
ডেসিয়া রাজ্য রোমান সাম্রাজ্যকে কম জ্বালায়নি। ৯০ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট ডোমেশিয়ান আমলে ডেসিয়া রাজ্য রোমানদের পরাজিত করেছিল। সম্রাট ট্রাজান সম্ভবত তারই প্রতিশোন নিলেন। সময়টা খ্রিস্টাব্দ ১০১। স¤্রাট ট্রাজান সমরঅভিযান শুরু করেন।
দু-পক্ষের তুমুল যুদ্ধ হয়েছিল। ১০৬ খ্রিস্টাব্দে ডেসিয়া রাজ্য পরাজিত বরণ করে এবং সেটি একটি রোমান প্রদেশে পরিনত হয়। ডেসিয়া রাজ্য বিজয় স্মরণে রোমের ট্রাজান ফোরামে Trajan's Column প্রতিষ্ঠিত করা হয়।
ডেসিয়া বিজয়ে ট্রাজান এর স্তম্ভ বা ট্রাজান’স কলাম। এটিই সম্রাট ট্রাজানের সময়কার শ্রেষ্ঠ স্মৃতিস্তম্ভ।
কলামটি ৯৮ ফুট উঁচু ১৪ ফুট প্রশস্ত ... ৪০ টন ওজনের ১৯টি কারারা মার্বেলের ব্লকে তৈরি; স্তম্ভের শীর্ষে যাওয়ার জন্য ছিল সিঁড়ি।
স্তম্ভে ৫৯ বার সম্রাট ট্রাজানের নাম উল্লিখিত হয়েছে। এছাড়া কলামজুড়ে রয়েছে রোমান সৈন্য, নাবিক, পুরোহিত, রাজনীতিবিদ এবং ডেসিয়া জনগনের ছবি ।
ডেসিয়া বিজয়ে কেবল কলাম নির্মাণই নয়, ১০৭ খ্রিস্টাব্দে রোমবাসীর জন্য এক জমকালো উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। রোমান কলোসিয়ামে ১২৩ দিন ধরে চলেছিল সে বর্ণাঢ্য উৎসব।
এই সময়ে ১১ হাজার পশুর মৃত্যু হয়েছিল এবং ১০ হাজার গ্লাডিয়েটর অংশ নিয়েছিল। এ বিষয়ে ঐতিহাসিকদের রায়: This was the largest contest of gladiators in Rome.
গ্লাডিয়েটর। আমরা জানি রোমের কলসিয়ামে দর্শকের সামনে যুদ্ধরত সশস্ত্র যোদ্ধাকে বলে গ্লাডিয়েটর । লাতিন গ্লাডিয়েটর মানে: ‘তরবারি-মানুষ’। গ্লাডিয়েটরের প্রতিপক্ষ অন্য গ্লাডিয়েটর ছাড়াও ছিল বন্য পশু বা দন্ডপ্রাপ্ত আসামী।
যুদ্ধকালীন সময়ে অবশ্য রোমে প্রশাসনিক সংস্কার অব্যাহত ছিল। নতুন সড়ক, খাল, সেতু নির্মাণ অব্যাহত ছিল। সামাজ্যজুড়ে দৃষ্টিনন্দন দালানকোঠা, সড়ক সেতু নির্মান। ‘আপিয়ান ওয়ে’ ছিল প্রাচীন সড়ক । সেটির সংস্কার করা হয়েছিল।
আপিয়ান ওয়ে। রোম শহরের কাছে।
রোমের কুইরিনাল হিলের ওপর ‘ফোরাম অভ ট্রাজান’ নির্মাণ করা হয়। নির্মানকাল ১০৬/১১২ খ্রিস্টাব্দ। স্থপতির নাম অ্যাপোলোডোরাস অব দামাসকাস।
ফোরাম নির্মাণে ৬০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার পাথর লেগেছিল। ফোরাম অভ ট্রাজান ছিল একটি বাজার। মূল্যবান পন্য যেমন: সিলক বিক্রি হত। আর পাওয়া যেত খাবার। করিডোরের দুপাশে সার সার দোকান।
বাজারে বার এবং রেস্টুরান্টও ছিল । যে কারণে একজন ঐতিহাসিকের রসিক মন্তব্য: Trajans Forum and the market were built almost 2000 years before our modern shopping malls. এই বাজারের ধ্বংস স্তূপ আজও রোমে দেখা যায়।
ফোরাম অভ ট্রাজান।
তখন বলছিলাম যে বেশির ভাগ সময় কেটেছে যুদ্ধ বিগ্রহে। ১১৩ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট ট্রাজান পার্থিয়া সাম্রাজ্য আক্রমনের পরিকল্পনা করেন।
এবং এই উদ্দেশ্যে ১১৪ খ্রিস্টাব্দে আর্মেনিয়া আক্রমন করেন। আর্মিনিয়ার শাসক ছিলেন পার্থিয়ার নিযুক্ত...তাকে হত্যা করা হয় । এভাবে আর্মেনিয়া রোমান সাম্রাজ্যের অর্ন্তভূক্ত হয়। এর এক বছর পরে রোমান সৈন্যবাহিনী উত্তর মেসোসোপটেমিয় জয় করেন। এতে করে পরবর্তীতে পার্থিয়া জয় সহজ হয়েছিল।
প্রাচ্যের পার্থিয় সাম্রাজ্য (পরবর্তী পারসিয়া সাম্রাজ্যের অঙ্গীভূত)। গ্রিক ও রোমানদের সঙ্গে পার্থিয়দের চলছিল দীর্ঘকালীন সংঘাত। প্রথম খ্রিস্টাব্দে ট্রাজানকেও যা মোকাবেলা করতে হয়।
পাথিয়ার রাজধানী ছিল টেসিফোন। সম্রাট ট্রাজানের নেতৃত্বে রোমান সৈন্যরা ঝড়ের বেগে শহরটি জয় করে নেয়।
এই সামরিক অভিযানের পিছনে ছিল সুনিদিষ্ট বানিজ্যিক কারণ । পার্থিয়ার ভিতর দিয়ে সিলক রুটটি অবস্থিত ছিল। যে পথ দিয়ে চিন এবং ভূমধ্যসাগরের মধ্যে ব্যবসা বানিজ্য চলত।
দক্ষিণ ইতালির বেনেভেনটো নগরের প্রবেশদ্বারে সম্রাট ট্রাজানের সম্মানে ধনুকাকৃতি খিলান বা আর্চ অভ ট্রাজান নির্মাণ করা হয়েছিল।
সম্রাট ট্রাজান টেসিফোন থাকাকালীন মেসোপটেমিয়ায় বিদ্রোহ শুরু হয়।
বিদ্রোহ দমন করতে সম্রাট ট্রাজান সৈসন্য সিরিয়া অভিমুখে অগ্রসর হন। তিনি অ্যান্টিওর্ক -এ সামরিক ঘাঁটি তৈরির নির্দেশ দেন। ১১৭ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট ট্রাজান ছিলেন সিলিসিয়ার সেলিনাস এ । জায়গাটি এশিয়া মাইনরের (তুরস্কের) দক্ষিণ সমুদ্র উপকূল। ৯ অগস্ট তিনি স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন।
সম্রাটের বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর ।
আর্চ অভ ট্রাজান
সম্রাট ট্রাজানের মূল্যায়ন করতে গিয়ে ইউরোপীয় ঐতিহাসিকগণ লিখেছেন: Unlike many lauded rulers in history, Trajan's reputation has survived undiminished for nearly nineteen centuries.
কেন?
কেননা, প্রাচীন উৎসে তাঁর সম্বন্ধে নেতিবাচক ধারণা নেই। প্লিনি দ্য ইয়াংগার লিখেছেন: সম্রাট ট্রাজান নৈতিক জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। এমন কী মধ্যযুগের খ্রিস্টান ধর্মতাত্তিকগণও সম্রাটের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন । থমাস অ্যাকুইনাস সম্রাট ট্রাজানকে পুণ্যবান পৌত্তলিক (প্যাগান অর্থে)বলে অবহিত করেছেন।
আর্চ অভ ট্রাজান। বর্বরদের সঙ্গে সম্রাট ট্রাজান।
মধ্যযুগের কাব্যে সম্রাট ট্রাজানকে ন্যায়বান বলে উল্লেখ করা হয়েছে । সম্রাট ট্রাজানের ছবি বহু চিত্রকর এঁকেছেন। এদের মধ্যে অন্যতম জার্মান চিত্রকর আন্তন রাফায়েল ।
রোমের উলপিয়ান গ্রন্থাগার। সম্রাট ট্রাজানের প্রতিষ্ঠিত।
পোমপিয়া প্লটিনা এবং সম্রাট ট্রাজান- এর ওপর লেখা একটি বইয়ের প্রচ্ছদ।
রোমান সৈন্যদের ডেসিয়া আক্রমন।
ছবি।
ইন্টারনেট।
তথ্যসূত্র:
http://www.roman-emperors.org/trajan.htm
Click This Link
http://biography.edigg.com/Trajan.shtml
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
http://www.crystalinks.com/romelibrary.html ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।