রোমানা মঞ্জুর: নিঃসহায় ক্রন্দন
রাদিয়া তামিম
হেমা, আমার স্কুল জীবনের বন্ধু। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে আজ আমরা সবাই যার যার কর্মজীবন নিয়ে ব্যস্ত। এই ব্যস্ততার মাঝেই হঠাৎ একটি সংবাদ আমাদের সবাইকে স্তম্ভিত করে দিল। আমাদের অতি প্রিয় শান্ত মেয়েটিকে নাকি তার নরপশু স্বামী নির্মমভাবে প্রহার করে অজ্ঞান করে ফেলে তার চোখ দু’টিকে চিরদিনের মত নষ্ট করে দিয়েছে। হেমার টিভিতে দেওয়া সাক্ষাৎকারটি দেখে আমি বা আমরা কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি।
আমাদের সেই অতি চেনা বন্ধুটি দিনের পর দিন এই ভাবে তার পাষ- স্বামী দ্বারা অত্যাচারিত হয়েছে আমরা কেউ বুঝতে পারিনি কোনোদিন, আমরা সবসময় তার টোল পড়া মিষ্টি হাসি মুখটিই দেখেছি। কিন্তু এখন এমন নির্মম ঘটনাটি ঘটার পরও কি আমরা সবাই চুপ করে থাকব। আমরা কি ভাবব যে এই দেশে কোনো অন্যায়েরই বিচার হয় না। এই অপরাধটাও আর দশটা অপরাধের মত ধামাচাপা খেয়ে যাবে। সেই অত্যাচারিতা হোক না দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ (?) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, তবুও কোনো বিচার হবে না।
কিন্তু আমি এখনও আশা রাখি দেশে আইন আছে। অপরাধী যতই ক্ষমতাবান হোক সে আইনের বাইরে না। তার সুষ্ঠু বিচার হবেই, হতে হবে।
আর সেই মেয়েটি আর কেউ নয়, আমাদের অতি প্রিয় রোমানা মঞ্জুর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।