আগে নিজেকে জানার চেষ্টা করুন
এবং তারপরে নিজেকে আবিষ্কার করুন। একবার
নিজেকে জিজ্ঞেস করেই দেখুন আপনি কি কি জানেন।
হয়ত আপনি নিজেই জানেন না যে আপনি কত কিছু
জানেন।
কিন্তু দূর্ভাগ্যের ব্যাপার এই যে আমাদের দেশের
শিক্ষার্থীদের বাবা-মা স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেই
ছেলে-মেয়েদের ভর্তি পরীক্ষা নামক এক
রেসে ছুড়ে দেয়। তারপর স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর
একগাদা বইয়ের নিচে চাপা পড়ে আমাদের দেশের
শিক্ষার্থীরা।
এভাবেই তারা নিজেদের আবিষ্কার
করার শক্তি হারিয়ে ফেলে। তারপর হাইস্কুলে উঠার
পর জে.এস.সি. আর এস.এস.সিতে গোল্ডেন এ প্লাস
নামক একটা বস্তু পেলেই আমরা লাফিয়ে উঠি।
আমাদের মত যারা গোল্ডেন এ প্লাস নামক
বস্তুটা পেয়ে লাফিয়ে উঠি তাদের জানা প্রয়োজন
যে এটা শিক্ষার ফল নয়,এটা পরীক্ষার ফল।
আমি পরীক্ষার ফলকে কখোনই ছোট
করে দেখছি না কিন্তু যারা এটাকেই শিক্ষার ফল
ভেবে ড্রাম বাজিয়ে নাচানাচি করে তাদের শীঘ্রই ঘুম
ভাঙার প্রয়োজন আমি মনে করি।
তারপর এইচ.এস.সি. শেষ করার পর ডাক্তার আর
ইন্জিনিয়ার হওয়ার জন্য
আমরা এখানে সেখানে দৌড়াই।
কিন্তু কেন
তোমাকে ডাক্তার বা ইন্জিনিয়ার হতে হবে??
আপনি হয়তো ভালো লিখতে জানেন,হয়ত
ভালো গাইতে পারেন,হয়তো ভালো অভিনয়
করতে জানেন,হয়তো ভালো ছবি আঁকতে পারেন অথবা ভালো ছবি তুলতে পারেন।
আরো কত কি আছে -তার মধ্যে কিছু
না কিছুতে আপনি নিশ্চিতভাবেই পারদর্শী।
খালি একটিবার নিজেকে জানার
চেষ্টা করুন,দেখবেন নিজেকে তুমি ঠিকই
চিনে নিতে পারবেন।
প্রতিবছর আমাদের দেশ থেকে হাজার হাজার
ডাক্তার ইন্জিনিয়ার বের হচ্ছে কিন্তু
কয়টা ডাক্তার ইন্জিয়ার বের হচ্ছে যে তাদের নতুন
কিছু করার স্পৃহা আছে??খুবই কম
কেননা ছোটবেলাতেই তাদের
সৃষ্টিশীলতাকে মেরে ফেলা হয়
নয়তো মেরে ফেলতে বাধ্য করা হয়। আমাদের দেশের
অধিকাংশ শীক্ষার্থীদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় -
তোমরা কেন পড়াশুনা করছ??
উত্তরগুলো আসবে অনেকটা এরকম-
ভালো চাকরি করতে পারব ,ভালো খেতে পারব,ভালো বউ পাব(!).....আরো অনেক
কিছু...।
কিন্তু না...শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যই
হলো নিজেকে জানা,তারপর পৃথিবীটাকে জানা,পৃথিবীর
মানুষগুলো সম্বন্ধে জানা...। কিন্তু যেই
শিক্ষা আমাদের জানার আগ্রহকে নষ্ট
করে দিয়ে ভোগের আগ্রহ সৃষ্টি করে সেই শিক্ষার
কি আদৌ প্রয়োজন আছে?
নিজেকে না জেনেই নিজেকে প্রমান করার জন্য
ময়দানে নামতে হয় আমাদের,কিন্তু কেন??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।