ধর্মানুভূতি বহুত জোস একটা জিনিস। আর সেটা বাঙালি মুসলমানের হলে তো কথাই নাই!
হায় রে মুসলমান! ফরজ নামায পড়তে মসজিদে যায় না, চুঈদীর ওয়াজ শুনতে যায়।
কালেমা ত্বাইয়েবা উচ্চারণ করতে দাঁত ভেঙে যায়,পীরের অজীফা পড়ে।
আল্লাহকে সিজদা করে না, মাজারে কবর পূজা করে।
কোরআন শরীফ পড়ে না,মওদুদীর তফসীর পড়ে।
শরীয়তের খোঁজ নাই,কল্কি ভরা গান্জা নিয়া মারফত সাধনা করে।
প্রকৃত ধর্মের বিশ্বাস নাই,কুসংস্কার আর গুজব নিয়া পড়ে থাকে।
ধর্মের খোঁজ নাই,ধর্মানুভূতি শরীরের সকল ফুটা দিয়ে পড়ে।
নিজধর্মের ঠিক নাই,রাষ্ট্রধর্ম নিয়া মাতামাতি করে।
ঠিক এই ধরণের মুসলমান আজ দেশ পরিপূর্ণ।
সাঈদীর চন্দ্রকাহিনী শুনে দেদারসে বিশ্বাস করা মুসলমান যে দেশে বেশুমার,সেই দেশে মাদ্রাসার মাইক থেকে টুট টুটের পোলারা ঘোষণা দিছেঃ "ছাত্রলীগ গেছে মাদ্রাসা আক্রমণ করতে। মুসলমানের বাচ্চা হয়ে থাকলে শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে ইসলাম রক্ষা করতে রাজপথে নাম। "
ম্যাজিকের মতো কাজ হইছে। মুসলমানের ঈমানী জোশ খপ করে বেড়ে গেছে। রক্তের হোলি খেলাকে এখন ঈমানী দায়িত্ব মনে হচ্ছে।
"হুইনা হুইনা মুসলমান"। আজ মওদুদের চ্যালা ইহুদী এজেন্টরা ইসলাম আর আমাদের ধর্মানুভূতি নিয়ে খেলতেছে আর আমরা তাদের মদদ দিচ্ছি।
এক ফটিকছড়িতে ৩০জনের উপর মানুষকে খুন করা হয়েছে এই ধর্মীয় অনুভূতিকেই ব্যবহার করে। শতাধিক যানবাহন ভস্মীভূত করা হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতি এমনই চীজ!
মহানবী (স) বলে গিয়েছেন - তোমার হাত ও মুখের আক্রমণ থেকে যতক্ষণ না অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকছে,ততক্ষণ তুমি ঈমানদার হতেই পারবে না।
অথচ ফটিকছড়ির মানুষ মহানবী (স) এর কথা অমান্য করে মাদ্রাসার মাইকের কথা মেনে খুন করে ফেললো। কত্ত বড় মুসলমান এরা!
সবই ধর্মানুভূতির খেলা! বড়ই আজিব চীজ!
( সংগৃহীত )
ছাগুরা ল্যাদাতে আসলে দ্বিধাহীন ভাবে ব্লগ পরিস্কার করা হবে।
এই পোস্টের উদ্দেশ্য মুসলিম নামধারি মুনাফিকদের চরিত্র সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা । কোনো ইমানদার মুমিন মুসলমান দয়া করে এই পোস্ট টি ভাল করে বোঝার চেষ্টা করবেন যে এখানে যে ঘটনা গুলোর উল্লেখ করা হয়েছে তা কোনো মুমিন ব্যাক্তির কাজ হতে পারে না । তাই মহান আল্লাহ তাআলা'র দোহাই লাগে কোনো মুমিন মুসলমান এই পোস্টের কোনো কথায় আহত হবেন না ।
এটাও পড়তে পারেন আমি শিবির , হেফাজতে ভন্ড মারার জন্য ফাঁসিতে ঝুলতে রাজি ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।