চোখের দেখা , মনের কল্পনাঃ আমার লেখা কাল রাতে পোস্টটা হয়তোবা কেউ দেখেনি । হয়তো ভালমত পোস্ট হয়নি । তাই এখন আবার দিলাম। মতামত আশা করছি শ্রদ্ধেয় ব্লগারগণ !
শ্বাসকষ্টটা কিভাবে শুরু হলো সেটা বুঝতে পারছে গাছটা । পদ্ধতিটা বেশ অভিনব ! প্রথমে দূরত্ব , অপ্রাপ্তি আর স্মৃতিগুলো হতাশায় পরিণত হলো ।
তারপর সেটা বদলে গেলো অভিমানে । কাছের কারো সঙ্গ , সাড়া না পেয়ে অভিমান আর বেদনাগুলো দীর্ঘশ্বাস হয়ে বেরিয়ে আসতে চাইলো । কিন্তু গাছটার কাণ্ড, শাখাপ্রশাখা যেন সংকুচিত হয়ে পড়ছে ! অভিমান-বেদনা যুদ্ধ শুরু করেছে ভেতরে ! কেউ কাউকে বেরুতে দিচ্ছে না ! তারপরেই আস্তে আস্তে শ্বাসকষ্ট শুরু হলো গাছটার !
গাছটা তখন ময়নাতদন্ত করতে বসলো যে সে যা চেয়েছিল সেটা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা !
ঘটনার শুরু এভাবে –
মানুষটা সাধারণ । অসাধারণ হবার বা বিশেষ কিছু করার ইচ্ছে কোনকালেই ছিল না । হঠাৎ তরুণ বয়স থেকে নিজের মাঝের আবেগপ্রবণতা আবিষ্কার করলো ।
অনুভূতির একটা ভালো দিক হলো সবাইকেই ভালোবেসে আপন করে নেয়া যায় । সবার সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করে তাকে আপনমানুষ করে নিলো । দিনগুলো এতো চমৎকার হয় কিভাবে ! বন্ধুর কথা শুনলেই মন ফুরফুরে হয়ে যায় ! এতো সুন্দর জীবন ! আর কিচ্ছু চাইতোনা মানুষটা ।
কিছুদিন পর মানুষটার অনুভূতিগুলো হেয় প্রতিপন্ন হলো অনেকের কাছে । সবাই কয়েকদিনের জন্য কাছে আসে আবার চলে যায় ।
শুধু একা পড়ে রয় সে ! অনুভূতিগুলো কাঁদায় ! শুধু একা লাগে । পুরানো মানুষগুলো , স্মৃতিগুলো কে আঁকড়ে ধরতে চায় । অবলম্বন না পেয়ে যেন ঝরে পড়ে !
মানুষটা ঠিক করে সে অনুভূতিশূন্য হবে ; যেখানে অনুভূতির কোন জায়গা নেই । একটা পরিবর্তনের মাধ্যমে সে জড় পদার্থে পরিণত হবে। একটা পাথরে , বালুখন্ডে কিংবা একটা মরা কাষ্ঠখন্ডে !
মানুষটা মাটি খুঁড়ে দাঁড়িয়ে পড়লো নিজেকে অর্ধেক ডুবিয়ে ।
রোদ ওঠে , বৃষ্টি নামে , শীত আসে । গায়ের চামড়া রুক্ষ হতে হতে বাকলে পরিণত হয় । পাতা গজায় শরীরে । আসতে আসতে মানবিক চাহিদাগুলো লোপ পেতে থাকে ।
ভুলে যেতে থাকে যে – এক বৃষ্টির দিনে কৃষ্ণা নামের মেয়েটির সাথে জীবনের একমাত্র ডেট করেছিল সে ।
কৃষ্ণা তার থেকে বড় হলেও তাকে আপু ডাকেনি সে , বন্ধুর মত ভালোবাসতো । ঐ আকস্মিক ডেটের কথা ওরা প্রায়ই বলতো আর হাসাহাসি করতো ।
ভুলে যেতে থাকে যে - নীল , সবুজ , আকাশ এর মত বন্ধুদের। যাদের সাথে একটাদিন না কথা না বললে অভিমানে ফুলে উঠত তার মন । যাদের একটা এসএমএস পেলে দুঃখ জিনিসটা উড়াল দিতো দূরদেশে ।
সে ধীরে ধীরে সব অনুভূতিভুলে যেতে চায় ! মানুষ থেকে গাছে , গাছ থেকে একটা জড় কাষ্ঠখণ্ডে পরিণত হতে চায় । অনুভূতি বড়ই খারাপ জিনিস ! বেদনা দেয় শুধু !
কিন্তু আজ সকালে শ্বাসকষ্টটা বুঝিয়ে দিল তার পরিকল্পনামত কাজ হচ্ছে না ! অনুভূতির বাতাস এখনও তার ডালে, পাতায় লাগে ! অভিমানগুলো তার দমবন্ধ করে রেখেছে । এখনও সে দুঃখ বেদনা অনুভব করতে পারে ! পাখির সাথে আবারো বন্ধুত্ব করতে ইচ্ছে করে । বাতাসের সাথে তাল মেলাতে ইচ্ছে করে ।
হয়তো সে হতাশ হয়ে আবার মানুষেই পরিণত হয়ে যেত ।
আবারো হাসতো , কাঁদতো । কিন্তু দিনের পর দিন খরা , অনাবৃষ্টিতে গাছটা শুকিয়ে গেলো । পাতাগুলো ঝরে পড়লো ।
ডাল রসহীন হয়ে পড়লো ।
এরপর এক চরম রৌদ্রতপ্ত দিনে এক কাঠুরে এসে গাছটা কেটে নিয়ে গেলো ।
পড়ে রইল অবশিষ্ট নির্জীব কাষ্ঠখণ্ড ।
ভাবছেন , তার ইচ্ছা পূরণ হলো ? সে সব অনুভূতি থেকে মুক্ত হলো ?
না !
একদিন আরেকটি গাছের খণ্ড কেটে রাখা হলো তার সামনে ।
তার ভেতরে যে এখনও অনুভূতি আছে সেটা প্রমাণ হয়ে গেলো একটা কথায় –
তার বলতে ইচ্ছা করলো অন্য কাষ্ঠখণ্ডটাকে – আমার নাম মানববৃক্ষ । আমার বন্ধু হবে ? !!!!!!!!!
হায়রে অনুভূতি ! তুমি বড্ড ছ্যাঁচড়া ! পিছু ছাড়তেই চাও না ! তোমাকে নিয়েই বাঁচতে , মরতে হবে । হাসতে হবে , কাঁদতে হবে।
শ্বাসকষ্টটা কিভাবে শুরু হলো সেটা বুঝতে পারছে গাছটা । পদ্ধতিটা বেশ অভিনব ! প্রথমে দূরত্ব , অপ্রাপ্তি আর স্মৃতিগুলো হতাশায় পরিণত হলো । তারপর সেটা বদলে গেলো অভিমানে । কাছের কারো সঙ্গ , সাড়া না পেয়ে অভিমান আর বেদনাগুলো দীর্ঘশ্বাস হয়ে বেরিয়ে আসতে চাইলো । কিন্তু গাছটার কাণ্ড, শাখাপ্রশাখা যেন সংকুচিত হয়ে পড়ছে ! অভিমান-বেদনা যুদ্ধ শুরু করেছে ভেতরে ! কেউ কাউকে বেরুতে দিচ্ছে না ! তারপরেই আস্তে আস্তে শ্বাসকষ্ট শুরু হলো গাছটার !
গাছটা তখন ময়নাতদন্ত করতে বসলো যে সে যা চেয়েছিল সেটা ঠিকমতো হচ্ছে কিনা !
ঘটনার শুরু এভাবে –
মানুষটা সাধারণ ।
অসাধারণ হবার বা বিশেষ কিছু করার ইচ্ছে কোনকালেই ছিল না । হঠাৎ তরুণ বয়স থেকে নিজের মাঝের আবেগপ্রবণতা আবিষ্কার করলো । অনুভূতির একটা ভালো দিক হলো সবাইকেই ভালোবেসে আপন করে নেয়া যায় । সবার সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করে তাকে আপনমানুষ করে নিলো । দিনগুলো এতো চমৎকার হয় কিভাবে ! বন্ধুর কথা শুনলেই মন ফুরফুরে হয়ে যায় ! এতো সুন্দর জীবন ! আর কিচ্ছু চাইতোনা মানুষটা ।
কিছুদিন পর মানুষটার অনুভূতিগুলো হেয় প্রতিপন্ন হলো অনেকের কাছে । সবাই কয়েকদিনের জন্য কাছে আসে আবার চলে যায় । শুধু একা পড়ে রয় সে ! অনুভূতিগুলো কাঁদায় ! শুধু একা লাগে । পুরানো মানুষগুলো , স্মৃতিগুলো কে আঁকড়ে ধরতে চায় । অবলম্বন না পেয়ে যেন ঝরে পড়ে !
মানুষটা ঠিক করে সে অনুভূতিশূন্য হবে ; যেখানে অনুভূতির কোন জায়গা নেই ।
একটা পরিবর্তনের মাধ্যমে সে জড় পদার্থে পরিণত হবে। একটা পাথরে , বালুখন্ডে কিংবা একটা মরা কাষ্ঠখন্ডে !
মানুষটা মাটি খুঁড়ে দাঁড়িয়ে পড়লো নিজেকে অর্ধেক ডুবিয়ে । রোদ ওঠে , বৃষ্টি নামে , শীত আসে । গায়ের চামড়া রুক্ষ হতে হতে বাকলে পরিণত হয় । পাতা গজায় শরীরে ।
আসতে আসতে মানবিক চাহিদাগুলো লোপ পেতে থাকে ।
ভুলে যেতে থাকে যে – এক বৃষ্টির দিনে কৃষ্ণা নামের মেয়েটির সাথে জীবনের একমাত্র ডেট করেছিল সে । কৃষ্ণা তার থেকে বড় হলেও তাকে আপু ডাকেনি সে , বন্ধুর মত ভালোবাসতো । ঐ আকস্মিক ডেটের কথা ওরা প্রায়ই বলতো আর হাসাহাসি করতো ।
ভুলে যেতে থাকে যে - নীল , সবুজ , আকাশ এর মত বন্ধুদের।
যাদের সাথে একটাদিন না কথা না বললে অভিমানে ফুলে উঠত তার মন । যাদের একটা এসএমএস পেলে দুঃখ জিনিসটা উড়াল দিতো দূরদেশে ।
সে ধীরে ধীরে সব অনুভূতিভুলে যেতে চায় ! মানুষ থেকে গাছে , গাছ থেকে একটা জড় কাষ্ঠখণ্ডে পরিণত হতে চায় । অনুভূতি বড়ই খারাপ জিনিস ! বেদনা দেয় শুধু !
কিন্তু আজ সকালে শ্বাসকষ্টটা বুঝিয়ে দিল তার পরিকল্পনামত কাজ হচ্ছে না ! অনুভূতির বাতাস এখনও তার ডালে, পাতায় লাগে ! অভিমানগুলো তার দমবন্ধ করে রেখেছে । এখনও সে দুঃখ বেদনা অনুভব করতে পারে ! পাখির সাথে আবারো বন্ধুত্ব করতে ইচ্ছে করে ।
বাতাসের সাথে তাল মেলাতে ইচ্ছে করে ।
হয়তো সে হতাশ হয়ে আবার মানুষেই পরিণত হয়ে যেত । আবারো হাসতো , কাঁদতো । কিন্তু দিনের পর দিন খরা , অনাবৃষ্টিতে গাছটা শুকিয়ে গেলো । পাতাগুলো ঝরে পড়লো ।
ডাল রসহীন হয়ে পড়লো ।
এরপর এক চরম রৌদ্রতপ্ত দিনে এক কাঠুরে এসে গাছটা কেটে নিয়ে গেলো । পড়ে রইল অবশিষ্ট নির্জীব কাষ্ঠখণ্ড ।
ভাবছেন , তার ইচ্ছা পূরণ হলো ? সে সব অনুভূতি থেকে মুক্ত হলো ?
না !
একদিন আরেকটি গাছের খণ্ড কেটে রাখা হলো তার সামনে ।
তার ভেতরে যে এখনও অনুভূতি আছে সেটা প্রমাণ হয়ে গেলো একটা কথায় –
তার বলতে ইচ্ছা করলো অন্য কাষ্ঠখণ্ডটাকে – আমার নাম মানববৃক্ষ ।
আমার বন্ধু হবে ? !!!!!!!!!
হায়রে অনুভূতি ! তুমি বড্ড ছ্যাঁচড়া ! পিছু ছাড়তেই চাও না ! তোমাকে নিয়েই বাঁচতে , মরতে হবে । হাসতে হবে , কাঁদতে হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।