আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কল্পিত বাস্তব।

এক ভাই বলছিলেন যা পারো লেখতে থাকো

পড়ার সময় কল্পনার চোখটা কাজে লাগান। আপনি স্কুলবয় (মেয়ে হলেও ধরে নেন আপনি বয়) । আপনি একটা মেয়েকে ভালবাসেন। মেয়েটা আপনাকে দেখে মুচকি হাসে। বাসার সামনে গেলে বারান্দা দিয়ে হাত নাড়ে।

। একপর্যায়ে আপনি ভেবেই বসলেন মেয়েটা আপনাকে ভালবাসে। আর তর সইছে না, দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছুলেন প্রপোজ এবার করেই ফেলবেন। একই স্কুলে পড়েন। ক্লাস শেষ, স্কুল ছুটি দিল সাথে সাথে আপনি মেয়েটার রুমের সামনে গিয়ে হাঁটু গেড়ে জমানো টাকা দিয়ে কেনা কার্ড আর একগুচ্ছ গোলাপ ধরলেন আর মুখে বললেন ‘আই লাভ ইউ’।

কিন্তু... একি!! মেয়েটা কিছুই নিচ্ছে না! দাঁড়িয়ে রইল মূর্তির মত। আপনি বারবার অনুনয় করে যাচ্ছেন তবুও সে ঠায় দাঁড়ানো! এদিকে আপনার হাঁটু ব্যাথা হয়ে যাচ্ছে। নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছে। সবার হাসির পাত্রে পরিণত হয়ে যাচ্ছেন আপনি। বাইরের ক্লাসের ছেলেমেয়েরা আপনার দিকে তাকিয়ে নির্লজ্জের মত হাসছে! একটা ছেলে বিপদে অথচ মজা নেওয়া ছাড়া কারো যেন কিছু করার নেই! এদিকে মেয়েটা কিছুই করছে না! সেও যেন মজা পাচ্ছে! আপনার তখন কেমন লাগবে?? ভয়ংকর অনুভূতি! এতবার অনুনয় করার পরে কোনোরকমে শুধু কার্ডটা নিল কিন্তু কোন উত্তর না দিয়েই চলে গেল।

তবুও আপনার মনের এককোণে আশা বেঁধে রইলেন এই ভেবে যে মেয়েটা আপনাকে হতাশ করবেনা। আর এদিকে তার মা গেটে দাঁড়িয়ে ক্লাসরুমের সামনে ঘটে যাওয়া পুরো ঘটনাটাই দেখে ফেললেন আমাদের অজান্তে!! ভয়ংকর রাগী সেই মহিলা!! পরেরদিন বন্ধু মারফত জানতে পারলেন গেট পর্যন্ত যেতেই তার মা তাকে থাপ্পড় দিয়ে সাথে সাথে কার্ডটি ছিড়ে ফেলে দিয়েছে!! কোন প্রকার দোষ ছাড়াই মেয়েটা শাস্তি পেল! এরপর সব শেষ। মেয়েটা আর তাকায় নি কখনো, মাথা নিচু করে চলে যেত। কচি হৃদয়ে যেন কেউ কাঁচের ভাঙ্গা টুকরো ঘষে দিয়েছিল! ওটাই প্রথম আর শেষ প্রেম যেটা কিনা জন্ম না নিতেই মারা গিয়েছিল! এবার কল্পনা থেকে বের হয়ে আসুন, কল্পনা করতে গিয়ে আপনি যে অবস্থায় পড়েছিলেন আমিও একই অবস্থায় পড়েছিলাম! তবে বাস্তবে। ওটাই ছিল প্রথম আর শেষ ভালবাসা...অবশ্যই একতরফা! তবে দুঃখ করিনা।

একটা মেয়ে কখনো কারো জীবনের সবকিছু হতে পারেনা। নিজেকে বলিঃ-

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।