এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনল যারা আমরা তোমাদের ভুলবা না বাধীনতাবিরোধী বলতে যারা শুধু জামাতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলামী এবং পিডিপির মতো ধর্মভিত্তিক দলগুলো বোঝেন তারা কম জানেন। এই তালিকায় একদল বামও ছিলো যারা পাকিস্তানের মিত্র চীনের পক্ষে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান এবং সক্রিয় সহযোগিতা করছে। স্বাধীনতার পর ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়, কিন্তু কম্যুনিস্ট পার্টিগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় যা ১৯৫৫ সালে পাকিস্তান সরকার আরোপ করছিলো। অনেক রাজাকার আলবদর এবং ধর্মীয় রাজনীতিতে দীক্ষা নেওয়া লোকজন এই সুযোগ নেয়, কেবলা বদলায়। একমাত্র সিপিবি ছাড়া বাকিগুলা এই দেশের স্বাধীনতা মেনে না নিয়ে জনমানুষের সত্যিকার মুক্তির মতো এক বিভ্রান্তিকর বিপ্লবের স্বপ্ন দেখিয়ে শুরু করে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড।
পাটের গুদামে আগুন, ব্যাংক লুট, সরকারী কর্মচারী ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করতে শুরু করে তারা। যারা ভয়ঙ্কর যুদ্ধাপরাধীদের অন্যতম কাদের মোল্লার বয়ান পড়েছেন, তারা জানেন এই লোক নিজেকে বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন এবং পরে জাসদ করেছেন বলে বিভিন্ন পত্রিকায় সাক্ষাতকার দিয়েছে। এরকম হাজারো কাদের মোল্লার স্বাধীনতা পরবর্তী সহায় ছিলো এই সব বখে যাওয়া বামরা।
আজকে জামাত শিবির করে না, কিন্তু ছাগুদের মতো কথা বলে এক শ্রেণীর বাম। এবং লোকজন মনে করে এদেরও ছাগু ডেকে ছাগু কথাটারে সস্তা বানায়া ফেলা হইতেছে কারণ এইগুলা তো শিবির করে না।
আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাই, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর ইসলামী লেবাস আর কাজে আসতেছে না, তাই পুরানো বন্ধুদের সহায় নিতেছে এই সব খুনী ধর্ষকরা। মাঠে নামছে বদরুদ্দিন উমরের মতো চুদির ভাইরা। এদেরও সমানভাবে প্রতিরোধ করা জরুরী, সমান লাথি উষ্টা প্রাপ্য। মাথায় টুপি, গালে দাড়ি মানেই রাজাকার না, যারাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়া মিথ্যা কথা বলে মিথ্যা গল্প বানায় সব রাজাকার, পয়সার জন্য নিজেকে বিক্রি করে। কেউ মওদুদী কেউবা মার্কস কিংবা মাওয়ের সাইনবোর্ড লাগায়া।
সাধু সাবধান...
http://www.facebook.com/omi.pial ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।