সময়, কবিতা, ছোটগল্প, দেশ, দেশাচার
মাঝে মাঝে ছোটখাট ঘুর্নি ওড়ে বাতাসে। মোটেও প্রলয়ঙ্কর নয়। ধুলো ওড়ে, ওড়ে আবর্জনা, দলানো কাগজের কুন্ডলী পায়ের কাছাকাছি। তেমনি এক ছোটখাট ঘুর্ণি উঠেছিল বাতাসে ৭১এর মার্চে। মোটেও বিশাল নয়।
সামুদ্রিক ছোঁয়াচ ছিল না, ছিল ডোবা জলের পঁচা গন্ধ।
আমাদের স্বাধীনতা এসে উড়ে পড়লো পায়ের কাছে, এক টুকরো মুল্যহীন ছেড়া কাগজের মতো। আমরা তো ভিখারী। সে ছেড়া কাগজ কুড়িয়ে সাজিয়েছি আমাদের অবহেলিত বাগানে, আমাদের বিবর্ণ বৈঠকখানায়, আমাদের রান্নাঘরের কালো ঝুলওঠা দেয়ালে।
তিরিশ লাখ শহীদের কথা তোলা আমাদেরই বাতুলতার প্রত্যক্ষ প্রমাণ।
তিরিশ লাখ শহীদের মা কে আমরা কখনোই দেখিনি। আমাদের নির্লজ্জ চোখ কখনোই স্পর্শ করেনি এসব মায়ের দৃষ্টিকে কোন সরাসরি সরল আবেগে । মুক্তিযোদ্ধা? কারা, এদেরকে একেবারেই চিনিনা। স্মৃতিসৌধ? কাদের জন্য?
স্বাধীনতা খেলামকুচি মাত্র। ধর্মীয় দোসরদের পা ধোয়া জল আরো অনেক বেশী সুস্বাদু।
আরো অনেক বেশী সুস্বাদু আমাদের প্রভুদের কামাক্ত ঢেকুড়। পা ধোয়া জলের স্বাদ আর ঢেকুড়ের গন্ধে যে আদিরস আর নির্লজ্জ আনন্দ, তাতে তিরিশ লাখ শহীদদের তিরিশ লাখ ইদুরের সাথে তুলনায় কোন বিবেকবোধ জাগ্রত হয়না। আমরা রাজাকার জামাতী হয়ে সে স্বাধীনতার পতাকা ওড়াতে লজ্জিত হই না। স্বাধীনতা, দমকা বাতাসে উড়ে আসা এক টুকরো ছেড়া কাগজ মাত্র। দমকা বাতাসেই উড়িয়ে দেওয়ায় লজ্জার আর কতটুকু স্থান?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।