জীবনে যা দেখেছি, যা শিখেছি যা শিখছি তাই সবার সাথে শেয়ার করার অপপ্রচেষ্টা……সাথে বানানো কিছু গল্প। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ । দিনটি ছিল বুধবার।
ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়াতে শেখ পরিবারে জন্ম হল এক শিশুর। বাবা শেখ লুৎফর রহমান আদর করে শিশুর নাম রাখলেন খোকা।
খোকা খুব আদরের নাম। বাংলার প্রায় সব ঘরেই প্রথম পুত্র সন্তান হলে নাম রাখা হয় খোকা।
দিনে দিনে বড় হয় খোকা। পায়ে হেটে স্কুলে যায়। দু’চোখ মেলে দেখে বাংলার মাঠঘাট, পথ-প্রান্তর, সোনালি ধানের খেত।
চোখ জুড়িয়ে যায় তার।
যত বড় হয় খোকা তত তার বন্ধুর সংখ্যা বাড়ে। ক্লাসের বন্ধুদের বাইরেও গায়ের অনেক ছেলেদের সঙ্গে তার যোগাযোগ নিবিড় হয়। প্রায়ই বন্ধুদের বাড়ি নিয়ে এসে বলে, মা ওদের খেতে দাও। আমার বন্ধু গোপালের বাড়িতে আজ রান্না হয়নি।
মা আনন্দের সঙ্গে ছেলের বন্ধুদের খেতে দেন। মা হাসিমুখে ছেলের আবদার পুরন করেন।
বর্ষাকালে স্কুলে যেতে অসুবিধা হয় বলে বাবা খোকাকে ছাতা কিনে দিলেন। খোকা ছাতা নিয়ে স্কুলে যায়। একদিন ছাতা ছাড়া ভিজে ভিজে বাডি ফিরল খোকা।
মা জিজ্ঞাসা করলেন। ‘তোর ছাতা কই বাবা?এমন ভিজেছিস কেন?’
খোকা হাসিমুখে বলল, ‘মাগ আমার এক গরিব বন্ধুর ছাতা নেই । আমার ছাতাটা ওকে দিয়েছি।
মা ছেলের এমন উদারতায় মুগ্ধ হয়ে ওকে জড়িয়ে ধরে বললেন , ‘ভালোই করেছিস বাবা! তোর বাবাকে বলব তোকে আর একটা ছাতা কিনে দিতে। ‘
মা ছেলের কপালে চুমু দেন।
শীতের সময় খোকাকে একটি চাদর কিনে দেওয়া হল। একদিন দেখা গেলচাদর ছাড়াই বাড়ি ফিরে এলো খোকা। মা বললেন। তোর চাদর কই বাবা? ’খোকা বুক ফুলিয়ে বলে, মাগো পথের ধারে গাছের নিচে বসীক গরিব বুড়ি শীতে খুব কাপছিল। আমি তার গায়ে চাদরটি জড়িয়ে দিয়ে এসেছি’।
মা অবাক হয়ে ছেলেটির দিকে তাকিয়ে থাকেন। ভাবেন, গরিব মানুষের জন্য ছেলেটির এত দরদ! ও নিশ্চয় বড় হয়ে মানুষের জন্য অনেক কিছু করবে।
খোকার খেলার সাথী জেলের ছেলে গোপাল করুণ সুরে বাশি বাজায়। খোকা বন্ধুকে বলে। ‘তোর বাশির সুরে আনন্দ নেই।
কেন রে গোপাল?’ গোপাল হতাশ হয়ে বলে ,’আমার চারদিকের মানুষের জীবনে আনন্দ কইরে খোকা?’
খোকা নিশ্চুপ থেকে ভাবে, তাইতো। আমার চারদিকে এমন অবস্থাই তো দেখতে পাই। এই অবস্থা বদলাতে হবে। দেশের নানা কথা ভাবতে ভাবতে বড় হয় খোকা।
স্কুল পার হয়ে কলেজে ঢোকে।
বাংলার মানুষের কথা, দেশের কথা তাকে নিয়ত ভাবায়। তিনি পার হন কলেজের চৌকাঠ। আরো বড় হন তিনি। যুক্ত হন রাজনীতির সঙ্গে। গরিব মানুষের দুঃখ দূর করার জন্য আন্দোলন করেন।
১৯৭১ সালে ডাক দেন স্বাধীনতার ।
এই খোকা আমাদের বঙ্গবন্ধু । জাতির জনক শেখ মুজিবর রহমান।
মমতাজ উদ্দীন আহমদ
এবার একটু পাঠ শিখি
১) বাক্য গঠন করিঃ
আদর,সোনালি, কপাল,চাদর,গরিব,আনন্দ, রাজনীতি, জনক।
২) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছোটবেলা থেকেই মানুষকে ভালোবাসতেন ।
এমন তিনটি উদাহরন খাতায় (কমেন্টে)লিখি।
............................................................................................।
আপাত রাজনীতি শব্দ শিখালাম......তোমাদের বয়স ১৮ বছর হলে এটার প্রযোগ শিখাব...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।