দৌলতপুরের কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ডেনাইট কলেজের ছাত্র ছিলাম। ব্যাচে পড়তাম ও ঐ কলেজের স্যারদের কাছেই। ভোরে ছয়টার সময় থাকতো কেমিস্ট্রি ব্যাচ। ফররুখ একডেমীর পিছনের বিল্ডিং এ ছিলো স্যারের বাসা।
৭ টায় ব্যাচ শেষ হতো। আবার ৮টা থেকে ফিজিক্স ব্যাচ শুরু। ১ ঘন্টা কি করা যায়? আমি আমার বন্ধু মামুন সাইকেল নিয়ে টো টো করতে বেরিয়ে যেতাম। কুয়েটের (সেই সময়কার বিআইটি) রাস্তায় চলে যেতাম। কুয়েটের গেটে দাঁড়িয়ে ভাবতাম একদিন এইখানে পড়তে আসবো।
সে আশা পূর্ণ হয়নি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছিলাম। জীবনের শ্রেষ্ঠ কিছু সময় কাটিয়েছি খুবি তে।
৭টায় কেমিস্ট্রি ব্যাচ শেষ হবার পর আমি, মামুন, সোহেল আর মাহমুদুল যেতাম দৌলতপুর বাজারের ভেতরে সাধনের ক্যান্টিনে নাস্তা করতে। তেল ছাড়া গরম গরম পরোটা আর সিঙ্গারা ভিতরের সবজি।
মাঝে মাঝে ডিমের ওমলেট। অসাধারন!! এখনো মনে পড়লে নষ্টালজিক হয়ে যাই। নাস্তা করে মাঝে মাঝে চলে যেতাম দৌলতপুর রেল স্টেশনে। বেশ অনেকক্ষন বসে আড্ডা মারতাম ওখানে। তাড়াতাড়ি করে আসতে হতো।
ফিজিক্স স্যার আবার লেট করলে বকাবকি করতেন।
স্যারের ব্যাচ থেকে ৯ টার সময় বের হয়ে কলেজে যেতাম। একদম নিয়মিত ছাত্র ছিলাম। তবে ২ বছরে ১০ টা ক্লাস এটেন্ড করেছি কিনা সন্দেহ। দল বেধে কলেজে যেতাম, সেখান থেকে সবাই মিলে বিএল কলেজে আর না হলে দৌলতপুর লঞ্চ ঘাটে যেয়ে বসে থাকতাম।
বিএল কলেজেই বেশী বসা হতো। অনেক বড় একটা গ্রুপ ছিলো আমাদের। সানি, মামুন, সোহেল, মাহমুদুল, মেহেদী, তিনা, শাফিল, নাদির, রাজীব, মিথুন, নীলা, সনি, আরিফ, সুমন, সিমি আরো অনেকে। সবার নাম এখন মনেও আসছেনা।
দুপুরে ২টা সিঙ্গারা/সমুচা খেয়ে বিকালে আবার ম্যাথ/ইংলিশ ব্যাচ কমপ্লিট করে বাসায় আসতাম।
কী দারুন ছিলো সেই দিনগুলো। বন্ধুরা, তোরা যেখানেই থাকিস ভালো থাকিস। সবসময় তোদের কথা মনে করি।
মিস ইউ ডিয়ার খুলনা, মিস ইউ দৌলতপুর। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।