সত্যের সন্ধানে সংবাদপত্রকে জাতির বিবেক বলা হয়। সময়ের আবর্তে জাতির সব সেক্টরগুলো যখন নস্টদের দখলে চলে যাচ্ছিল তখন সংবাদপত্রেও এর কালো ছায়া পড়লো। আশাহত জাতিকে তখনই আলোর পথ দেখালেন মাহমুদুর রহমান নামের এক কান্ডারি যিনি সত্য সংবাদ প্রকাশে ছিলেন আপোষহীন। সাংবাদিকতা পেশাকে তিনি নিয়ে গেলেন প্রত্যাশারও অনেক উপরে।
স্বৈরাচার, দুর্নীতিবাজ, অসৎ ও অন্ধকার জগতের লোকেরাই স্বাধীন ও সত্য সংবাদ প্রকাশে সব সময় ভয় পায়।
এই প্রকৃতির মানুষ নামের পশুগুলো নিজেদের কুকর্ম ঢাকতে সব সময় ভয়ে তটস্থ থাকে, কখন কে জানি এদের শয়তানি ষড়যন্ত্র ফাঁস করে দেয় এবং যার ফলে জনতার রোষানলে পড়ে গনধোলাই খেতে হয়।
সত্য প্রকাশে নির্ভীক মাহমুদুর রহমান জীবনের মায়াকে তুচ্ছ করে ক্রমাগত স্বৈরাচারী সরকারের হুমকিকে পায়ে দলে জাতিকে দিয়ে গেলেন সর্বশেষ সত্য সংবাদ। জনতা জেগে উঠলো, কেপে উঠলো স্বৈরাচারের মসনদ।
ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত স্বৈরাচার জুলুমের শেষ অস্র প্রয়োগ করলো জাতির বিবেকের উপর। গ্রেপ্তার করলো মাহমুদুর রহমানকে, তালা মারা হলো আমার দেশ পত্রিকার প্রেসে।
১৩ দিনের রিমান্ডে নিল জাতির দুঃসময়ের এই কান্ডারিকে।
কিন্তু ইতিহাস বলে স্বৈরাচারের এই নির্যাতন কখনো কোনো জাতিকে দাবিয়ে রাখতে পারেনি। যেমনি পারেনি পাকিস্তানি স্বৈরাচাররা, পারেনি মুজিবের বাকশাল, পারেনি বেহায়া স্বৈরাচার এরশাদ। এদের প্রত্যেকের পরিনতি হয়েছে নির্মম ও ভয়াবহ।
হাসিনাকেও বলবো ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন, অবিলম্বে জাতির বিবেক মাহমুদুর রহমানকে নিঃশর্তে মুক্তি দিন এবং আমার দেশ পত্রিকা প্রকাশে সকল বাধা তুলে নিন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।