খবর ছেপে ধর্মাশ্রয়ী কিছু দলকে ক্ষেপিয়ে তুলেছিলেন মাহমুদুর রহমান। তাই গত ২৩ ফেব্রুয়ারি-শুক্রবার সারাদেশে জামায়াত শিবির ও ধর্মীয় দলগুলোর তাণ্ডবের উস্কানিদাতা হিসেবে তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
এগুলোর মধ্যে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ৪টি ও রমনা থানায় ১টি মামলা দায়ের করা হয়।
এছাড়া শাহবাগের গণজাগরণকে ‘ফ্যাসিবাদ’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। গণজাগরণ শুরুর পরদিন ‘শাহবাগে ফ্যাসিবাদের পদধ্বণি’ শিরোনামটি লাল কালিতে ব্যানার লিড হয় আমার দেশ প্রত্রিকায়।
সব মিলিয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় আমার দেশ পত্রিকায় নানা প্রতিবেদনের মাধ্যমে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয় তার বিরুদ্ধে।
সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতা হিসেবে তাকে গ্রেফতারের দাবি জানায় সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম ও গণজাগরণ মঞ্চসহ বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠন।
এর আগে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আপিল পিটিশন চলাকালে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নানা অপপ্রচার চালান তিনি।
মানবতাবিরোধী অপরাধী জামায়াত নেতাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক সর্বজন বিদিত। হেফাজতে ইসলামের সঙ্গেও তার রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
বৃহস্পতিবার তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর কামরাঙ্গিরচরে হেফাজতের সহযোগী সংগঠন ইসলামী খেলাফত আন্দোলন তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ করে।
এর ক’দিন আগে মাহমুদুরকে গ্রেফতার না করার ব্যাপারে হেফাজতের তরফ থেকে সরকারকে সতর্ক করা হয়।
বৃহস্পতিবারই আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ তাকে ‘বহু ষড়যন্ত্রের নায়ক অবিহিত করেন। হেফাজতের ইসলামের লং মার্চ সফল করার জন্য তার আমার দেশ পত্রিকার অফিসে বসে ৮৫ কোটি টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করেন বলেও গত বুধবার অভিযোগ করেন হানিফ।
২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির বাতিল হওয়া নির্বাচন সামনে রেখে ২০০৬ সালের ২৪ নভেম্বর রাতে ‘উত্তরা ষড়যন্ত্র’ ঘটনার জন্ম দেন মাহমুদুর।
ওই দিন উত্তরায় মাহমুদুর রহমানের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আর্টিসান সিরামিকসে পুলিশসহ বেশ ক’জন আমলা গোপন বৈঠক করেন। খবর পেয়ে সংবাদমাধ্যমকর্মীরা সেখানে গেলে বৈঠকে যোগ দেওয়া কর্মকর্তারা মুখ ঢেকে দৌড়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতারর মামলায় গ্রেফতারও হন মাহমুদুর। পরে আমার দেশের প্রকাশক বিষয়ক জটিলতায় আরো এক বার গ্রেফতার হন তিনি। বৃহস্পতিবার তাকে ফের গ্রেফতার করা হয়।
এটা একটা কপি/পেস্ট পোস্ট। মূল পোস্ট এখানে : Click This Link
আরও পোস্ট :
মিথ্যাচার গুরু কুচক্রী মাহমুদুর রহমান বহু ষড়যন্ত্রেরও গুরু
মিথ্যাচার গুরু মাহমুদুর রহমানের ৮৫ কোটি টাকার ভয়ংকর ষড়যন্ত্র
দৈনিক আমার দেশের কাবা শরীফ নিয়ে মিথ্যাচার : মিথ্যাচারের গুরু সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের কল্লা কেন চায় না হেফাজতে ইসলাম ? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।