good
১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় মাহমুদুর রহমানের জন্ম। ১৯৭৭ সালে বুয়েট থেকে তিনি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গ্র্যাজুয়েশন করেন এবং ১৯৮৬ সালে জাপান থেকে সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা অর্জন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৮৮ সালে তিনি এমবিএ করেন। টিএনসি গ্রুপের পরিচালক ও সিইও হিসেবে তিনি কাজ করেন। টেক্সটাইল, সিরামিক ও কেমিক্যাল সেক্টরে ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতা অপরিসীম।
তিনি ১৯৭৭ সালে বিওসিতে অপারেশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পেশা শুরু করেন। এরপর মুন্নু গ্রুপ, ডানকান ব্রাদার্স, বেক্সিমকো গ্রুপ, পদ্মা টেক্সটাইলে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেন। মুন্নু সিরামিক, শাইন পুকুর সিরামিক ও আর্টিসান সিরামিক তাঁর যোগ্য নেতৃত্ব ও দক্ষতার ফলে উন্নতি লাভ করেছে। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম বোন চায়না প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সিরামিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তিনিই বিশ্বে টেকনোলজিক্যাল ‘ব্রেক থ্রো’ করেন।
বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ও জ্বালানি উপদেষ্টার দায়িত্ব সফলভাবে পালন শেষে তিনি তাঁর আর্টিসান সিরামিক নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন।
এরই মধ্যে ওয়ান-ইলেভেন ঘটে যায়। তিনি দৈনিক নয়া দিগন্তে শুরু করেন লেখালেখি। পাশাপাশি ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট গ্রুপ (এনআইজি) গড়ে তোলেন। জরুরি সরকারের সময় দৈনিক আমার দেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। মালিকরা জেলে থাকায় চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়ে পত্রিকাটি।
একই সময় বিএসইসি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ফলে সঙ্কট আরও বেড়ে যায়। ফলে পত্রিকার সাংবাদিক-কর্মচারীরা ১২ মাস ধরে বেতন পাচ্ছিলেন না। ঠিক এ সময় একদিন তিনি আমার দেশ অফিসে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আতাউস সামাদ সাহেবের সঙ্গে এনআইজি নিয়ে কথা বলতে আসেন। শ্রদ্ধেয় আতাউস সামাদ পত্রিকার সঙ্কট বিবৃত করে তাঁকে পত্রিকাটির হাল ধরতে অনুরোধ করেন। মাহমুদুর রহমান সাহেব সবকিছু শুনে একটু সময় নেন।
এরপর তিন-চারটা মিটিংয়েই পত্রিকাটির মালিকানা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং কয়েকজন উদ্যোক্তাকে সঙ্গে নিয়ে এর দায়িত্ব নেন। সেদিন আমার দেশ-এর কয়েকশ’ সাংবাদিক-কর্মচারীর জীবন বাঁচাতেই তিনি সাংবাদিকতা পেশায় চলে আসেন। তিনি পত্রিকায় আসার পর একটানা দু’বছর আমাদের বেতন-ভাতার কোনো সমস্যা হয়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।