ঘুমিয়ে থাকা বিবেকের জাগ্রত সত্ত্বা গত কয়েকদিন থেকেই একটি বিষয় আলোচনা হচ্ছে তাহলে বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫ টি জাতীয় দৈনিক ও একটি অনলাইন পত্রিকার সম্পাদকগণ আমারদেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবীতে যে বিবৃতি দিয়েছেন তা। আর এই বিবৃতি নিয়ে সারাদেশে মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ঝড়। আজ বুলবুল ভাইয়ের একটা লেখা পরে কিছু প্রশ্নর তাড়া করছে। মানছি দেশের শীর্ষ পত্রিকার সম্পাদকগণ যেখানে মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবী করেছে সেখানে দু’তিন জন সম্পাদকের স্বাক্ষর না করায় কিছু যায় আসে না।
তবে একটা বিষয় এখানে উঠে আছে তা হলো--সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে? সরকারের তোপের মুখে পড়া আমারদেশ যেখানে ভগ্ন মেরুদণ্ডে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে আপনাদের পাশে দাঁড়ানো নিত্যন্ত ‘‘বিপদের বন্ধু প্রকৃত বন্ধু’ প্রমাণ নেহাত মিথ্যা নয়।
তবে আমি জানি না ছোট মুখে এই কথা বলা উচিত হবে কিনা,,,, রাখাল বন্ধুর বাঘ ভয় বিষয়ক একটি গল্প ছোটকালে পড়েছিলাম। সেই গল্পের সারকথায় কিন্তু মাহমুদুর রহমানের গণ্ধ পাই। তার পথ যদি আপনারই দেখিয়ে দেন সেটাকে মন্দ বলবো না কিন্তু যদি তার ফিরে আসা আবার রাখাল বালকের মতো হয়ে যায় তবে সেটা নিশ্চয় শুধরানোর বিষয় থাকবে না। এর পরিনাম হবে আরো ভয়াভয়। বুলবুল ভাই লিখেছেন,,, নষ্ট সন্তান বিপদগ্রস্ত হলে তাঁর মুক্তি চাওয়াই যথেষ্ট নয়, সন্তান যাতে ভ্রষ্ট না হয় তা দেখার দায়িত্বও অভিভাবকদের।
হ্যা আজকাল অনেক অভিভাবককে দেখি তাদের সন্তানদের মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করাতে। সেখান থেকে শুনেছি অনেকই ভাল হয়ে যা্য়। এই ক্ষেত্রে যদি আপনাদের সন্তানটি ভাল হয়ে যায় তাতে কিন্তু দোষের কিছু নয় কিন্তু যেই সন্তানকে ভাল করতে গিয়ে আপনার সর্বশ বিলি করলেন সেটা আর সন্তান যদি আগের অবস্থায় থেকে যায় তবে অভিভাবক হিসেবে আপনি কতটা সফল সেটা কিন্তু একটু ভাবণার বিষয় হিসেবে দাঁড়াবে।
বাংলাদেশের মানুষ স্বভাবত আবেগপ্রিয়। আবেগের তাড়ণায় কোন সত্য লুকানোর লিপ্সা থাকা বৈ মঙ্গহলজনক নয়।
যে কয়েকজন সম্পাদক আপনাদের সন্তানকে উদ্ধারে সহায়তা করেননি, যাদের যুক্তি আপনারা উপেক্ষা করেছেন তাতে আপনাদের তো মনে করার কোন অবকাশ নেই যে তাদের কারনে আপনাদের সন্তান উদ্ধারে কিঞ্চিত বাধা থাকবে। বাউণ্ডুলতা আর কুপমণ্ডকতার মগডালে বসে কেবল শিকড়ে মিল পাওয়া যায় সেটা কিন্তু আজ পক্ষমাণ। যে তিনজন সম্পাদককে নিয়ে আপনারদের অ্যাসপিরিন খাওয়ার উপক্রম সেই তিনজন সম্পাদক নিশ্চয় পাঠক হারানোর ভয়ে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থাকনেনি?? তাদের যে যুক্তি আমার চোখে এসে বিধেছে সেই যুক্ত কিন্তু আপনাদের মাঝেও এক সময় পেয়েছি কিন্তু হঠাৎ করে আপনাদের সেই পথভ্রম তা বুঝতে আরো কিছুটা সময় লাগবে।
গণমাধ্যমের উপর আক্রমণ নেহাত তুচ্ছ নয় তবে যে মাধ্যমে আপনার পথ বালি-কদামাক্ত হয় সেই পথ নিশ্চয় সুগম নয়? সেই পথে যে অবিরাত পিচ্ছিলময় আর সেখানে নিশ্চয় হোঁচট খাওয়ার ভয় থাকে সেখানে ওই তিন সম্পাদকের অবস্থানই উৎকৃষ্ট বলে আমাদের কাছে মনে হয়। বুলবুল ভাইসহ নিশ্চয় সংশ্লিষ্ট পনের সম্পাদক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনাদের বিবৃতি প্রদানের মুযিজা দেখেছেন? আমি বলছি না গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিবাদই আপনাদের বিপক্ষে গেছে।
আমি বলতে চাই আমার মতো আমজনতাকে। যাদেরকে আপনারা বিষ্মিত করেছেন। প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন আমাদের চাওয়া-পাওয়াকে। ছোটকালের একটা বাগধারা মিল কিন্তু পেয়েছি,,অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে যেন তৃণসমে দহে’’।
যে নষ্ট সন্তানের জন্য আপনাদের কণ্ঠ অগ্নিময় সেই নষ্ট সন্তান কিন্তু ঠিকই আপনার কণ্ঠকে অশ্রুসিক্ত করবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
যার ফলাফল আপনেরা আমার চেয়ে ঢ়েড় জানেন।
বিদগ্ধ মনে একটাই কামণা করি গণতন্ত্রের স্বচ্ছ চালক রথে আপনাদের মসিযুদ্ধ বলবৎ থাকুক। অন্যায়ের পক্ষে কিংবা অন্যায়কারীদের সাফাই গেয়ে আপনাদের বিবৃতি কতটা সহায়ক হবে সেটার ফলাফল সূদুরপ্রসারী। আমি জানি না কোন পথে আপনাদের রথ চলছে তবে এইটুকু বিশ্বাস করতে পারি,, যাদের ভূল তত্ত্বে দেশের একক গোষ্টি তৈল্যপ্রাপ্ত হয়ে জ্বালানির স্ফুলঙ্গে উদ্বেলিত সেই পথ কিন্তু কন্টকময় ছাড়া কিছু নয়।
পরিশেষে স্বাধীন দেশে গণমাধ্যম চর্চায় আপনাদের পথ আলোকময় হউক।
মিথ্যা আর উস্কানির ঘোরপাকমুক্ত আপনাদের বন্ধুপ্রতীম ভালবাসার সফল হউক এটাই প্রত্যাশা থাকবে। আপনাদের ওই নষ্ট সন্তান কিঞ্চৎ ভাল হলে নিজেকে আরো ভাগ্যবান মনে করবো এই ভেবে যে নেহাত পথভ্রষ্টরাও ভাল হয় !!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।