আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাহমুদুর রহমান , বাংলার জুলিয়ান অ্যাসেঞ্জ

জীবন সুন্দর , আমরাই কঠিন বানাই । এমনি কঠিন যে পরে সমাধান না পেয়ে নির্জনে হাঁসফাঁস করি । তবু এই গোলক ধাঁধা ভাল লাগে । কি এক অমোঘ আকর্ষণে বেঁচে থাকা আজো অনুভব করতে চাই , এখন লোকে যাই বলুক , আমার চোখে মাহমুদুর রহমান হল বাংলার জুলিয়ান অ্যাসেঞ্জ । বেক্তিগত ভাবে আমি তাকে খুব যে পছন্দ করি তেমন কিছু না ।

তার বাড়াবাড়ি , কিছু ব্যাপারে উগ্র ভূমিকা সত্যি খুব বিতর্কিত । অতীতে তার অনেক ভুমিকার সমালোচনা আছে , যা বি এন পি আওয়ামীলীগ নিজেরা তাদের সুবিধামত বলে । বর্তমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ম খা আলমগির ও কিন্তু সরকারী চাকুরীর আইন অমান্য করে জনতার মঞ্চ বানিয়ে সরকারের চোখে অপরাধ করেছিলো , যেমন উদাহরন দেয়া হয় মাহ মুদুর রহমানের বেলায় সেই উত্তরার গোপন মিটিং এর ব্যাপারে । কিন্তু লোকটা যে সাহসী , তাতে কোন সন্দেহ নাই । বিশাল একটা কলিজা তার ।

আমার আজন্ম আফসোস থাকবে , তার মত সাহসী হতে না পারার । তিনি কিছু পথ দেখিয়েছেন , যা দেখে আমাদের অনেকের সাহসী হতে অন্তত ইচ্ছা করবে । অন্যায় , আগ্রাসন , এসবের বিরুদ্ধে বলতে বুকের মাঝে কিছু একটা অন্তত জেগে উঠবে । আমার দেশ নিয়ে অনেক কথা আছে । কিছু মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ আছে ।

যার ভেতর কাবা শরিফের গিলাফের খবর উল্লেখ যোগ্য । তবে এই কয়েক বছরে ভারতীয় আগ্রাসন , সরকারী দলের অপকীর্তি এমন ভাবে সাহস নিয়ে কেউ প্রকাশ করতে পারেনি । এত মামলা , রিমান্ড , হুমকি সব সয়ে ও তিনি অবিচল । আজ যারা ফুর্তিতে আছে , তিনি গ্রেফতার হওয়াতে তাদের বলি সামনেও এমন দিন আসবে যেদিন আপনাদের প্রিয় পত্রিকা , চ্যানেল বন্ধ হবে । সেই মন খারাপের সময় আমার দেশ কে মনে পরবে ।

অনেকে বলেন তিনি উস্কানি দাতা । তাদের পাল্টা বলা যায় , তিনি কি আপনাদের আমার দেশ পরতে বলেছিলেন ? যেমন টা বলেন আপনারা যে কেউ কি তাদের ব্লগ পড়তে বলেছিল ? তার কারনে মানুষ জেনেছে ব্লগ এ কি হয় । সচেতন হয়েছে অনেকে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই । কারণ ইতিমধ্যে কিছু ব্লগার গ্রেফতার ও হয়েছে । অথচ কি হাস্যকর সেই কারনেই ওনাকে জেলে নেয়া হচ্ছে , যেমন টা হয়েছিলো স্কাইপি কেলেঙ্কারির পরে বিচারপতি পদত্যাগ করল , কিন্তু সরকার তার নামে করল রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা ।

আইন অনুযায়ী সংবাদ পত্র সহজে বন্ধ করতে পারবে না সরকার , তাই প্রেস বন্ধ করল সরকার , যাতে পত্রিকা আর প্রকাশিত না হয় । আসলে আওয়ামীলীগের চরিত্র এটাই - মনে আছে নিশ্চয়ই সেই ৭৩-৭৫ বা বাক শালের সময় ৪ টা পত্রিকা বাদে সব বন্ধ । ৯৬ তে ক্ষমতায় এসে সাপ্তাহিক বিচিত্রা সহ আরও ২ টি পত্রিকা বন্ধ । আর এইবার এসে চ্যানেল ওয়ান বন্ধ , যমুনা টিভি র সব অনুমতি পাবার পরেও সম্প্রচারে না আসতে পারা । আর আমার দেশ বন্ধ আগেও হয়েছিলো এই আমলে, সেই খবর তো তাজা স্মৃতি ।

জানি অনেকেই এই লেখা পড়ে অনেকেই হয়তো আমাকে মাহমুদুর রহমানের ফ্যান ভাবতে পারেন , আসলে ব্যাপারটা সেরকম না । গনতান্ত্রিক দেশে এভাবে কোন প্রতিষ্ঠান বন্ধ মেনে নেয়া কষ্ট । প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে কেমন লাগে সেটা যারা ওখানে কাজ করেন , জানেন । কারণ ২০০২ সালে বিএনপি জামাত ক্ষমতায় থাকাকালে একুশে টেলিভিশন বন্ধ করে দিয়েছিল। দেখেছিলাম সেই কর্মীদের কষ্টের মুখগুলো ।

কোন সংবাদে সমস্যা , মিথ্যা কিছু হলে প্রেস আদালত আছে , সেখানে জান । প্রতিবাদ করেন । সরকার সিস্টেমেটিক কোন পথে না গিয়ে যেভাবে ডাইরেক্ট অ্যাকশনে যাচ্ছে , তাতে ভালো কোন ফল বয়ে আনবে না । সামনে আবার তাদের ও পস্তাতে হবে ।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.