রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক তৌহিদ আল হোসেন তুহিনের রগ কাটার প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ-সমাবেশ করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় তাদের কর্মসূচী বানচাল হয়ে যায়। তবে হামলাকারীদের বিচার চেয়ে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতের ওই হামলার ঘটনায় তুহিনের পক্ষে এখনো পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। দলীয় কোন্দলের কারনে মামলা নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা বলেন,'ঈদের আগেই ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনে তুহিন কে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। জঙ্গি ও মৌলবাদী ছাত্র সংগঠন- শিবিরের পক্ষেই একমাত্র এ ধরনের হামলা সম্ভব। ' তিনি আরও বলেন, 'আমরা অনেক সহ্য করেছি। এবার তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য দরকার হলে সবুজ ক্যাম্পাসে রক্ত ঢেলে দেব। '
সংবাদ সম্মেলনে শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা সহ হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানানো হয়।
এর আগে রাজশাহী শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে মহানগর কমিটি।
এদিকে পুলিশের ধারণা ও ছাত্রলীগের দাবি অনুযায়ী শিবিরকে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে এখনো মামলা করা হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে যৌক্তিক উত্তর দিতে পারেননি তারা। রানা বলেন, তুহিনের বাবা-মা ঢাকায় থাকায় তারা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তাছাড়া মামলা দায়েরের জন্য তারা সুনির্দ্দষ্টি তথ্য খুঁজে বের করার চষ্টো করছেন।
অপরদিকে প্রকাশ্যে অস্ত্র ব্যবহারসহ তুহিনের বিরুদ্ধে নানা সমালোচনা ও দলীয় কোন্দলের কারনে এমন হচ্ছে কিনা জানতে চাওয়া হলে সংগঠন এ বিষয়টি সম্পূর্ণ নাকোচ করেন দেয়। তাদের দাবি বিষয়টিতে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য কোন একটি চক্র এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মাদার বখশ হলের কাছে তুহিনের হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয় দুবৃর্ত্তরা। ঘটনার প্রতিবাদে আজ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
তুহিন বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত ২০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।