saving the world by sleeping
আজ আমিও আর সবার মত তোমার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলাম । উদ্দেশ্য যদিও বা তোমার সন্তানেরই উন্নতি সাধন করা । তাকে জ্ঞানের সাগরে ভাসানো । কিন্তু কি লাভ সেই জ্ঞানের যেখানে শুধু বড় বড় সমালোচনা করা । কে কি করল তা নিয়ে নাকটা সিটকানো বা খুব বড় জোর অন্যের গাধামো দেখে একচোট হেসে নেয়া ।
এই আমার দেশ । এই আমার দেশের মানুষ । আর এই হলাম আমি । কোনো ব্যতিক্রম নই । আমার চিন্তাই আরো দশটা মানুষের মানসিকতাই প্রকাশ করে ।
এই আমি আমার প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের ব্যক্তিগত ঘটনাকে এক কেলেন্কারি বলে ছিঃছিঃ করেছিলাম । আজ আমি আবার তার প্রতি করুণা করছি । যেদিন ইউনুস নোবেল বিজয়ী হল সেদিন আমার গর্ব কে দেখেনি । আজ আমি তাকে বলছি সে চুরি করেছে । কিছুদিন ইলিয়াসকে নিয়ে আমি যা খেলাটা খেললাম আমার দেশমাতা আতঙ্কিত হয়েছিল ।
তবু আমার দেশমাতা আমাকে ত্যায্যপু্ত্র করেনি । করবেই বা কি হবে ? আমি ছাড়া তার আর কে আছে ? অথচ আমি এখন তাকে নোংরা কলুষিত কলঙ্কজনক বানিয়ে অনেক অপবাদ দিয়ে চলে যাচ্ছি সুন্দর পরিপাটি ভবিষ্যতের আশায় ...
মা তুমি আমায় ক্ষমা কর । জানি করবে কারণ তুমি আমায় আগেও বার বার করছে । আমি তোমাকে শোষণ করেছি, তখন তুমি কিছু বলনি । তোমাকে বারবার মুক্তি দেয়ার নাম করে একের পর এক কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছি ।
আমার রাজনীতি শুধু টাকার খেলা । আমার শুধু ক্ষমতার লোভ । জানতো মা আমি কখনই এসব থেকে বের হতে পারব না । আমার স্বভাবটাই এমন । আমি সবসময় সুযোগ খুঁজি কিভাবে আমার নিজের তৈরি করা আইনটাকে ফাঁকি দেব ।
আমি পুরা সমাজের রন্ধে রন্ধে বিষ বপন করেছি যেন তুমি কখনই নিঃশ্বাস ফেলতে না পার । তোমার কচি কচি সন্তানদেরকে আমি ছাড়িনি । ওরা যেন কোচিংয়ের যাতাকলে পিস্ট হয়ে জ্ঞানের চর্চা ভুলে গিয়ে আমার মতই হয়ে ওঠে । তুমি ক্লান্ত জেনেও আমি থেমে থাকিনি । তোমার সম্পদশুণ্য করার জন্যে এখন আমি খেটে যাচ্ছি ।
তুমি ভেব না যে তোমায় কেউ মুক্ত করতে আসবে । আমি সে ব্যবস্থাও করে রেখেছি । তোমাকে ভালবাসি দেখেই তো মা তোমায় এত কষ্ট দিচ্ছি । তুমি আমাকে এখনও বুঝতে পারলে না । এই অভিমানে আমি মুখ ফিরিয়ে নিলাম ।
....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।