ঢাকা মহানগর পুলিশ বলছে, রোববার রাতে হেফাজতের ওই সমাবেশ থেকে বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা, লুটের পর সকালে প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এ তথ্যের ভিত্তিতেই সেদিন পুলিশ র্যাব ও বিজিবি একসঙ্গে অভিযান চালায়।
বিরোধী দল বিএনপি ও হেফাজতে ইসলাম পুলিশের ওই অভিযানে বিপুল সংখ্যক মানুষকে হত্যা করার অভিযোগ আনায় এবং এ নিয়ে ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের ‘অপপ্রচার’ চলতে থাকায় বুধবার সাংবাদিকদের সামনে আসেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেন, নাশকতা ও ব্যাপক মাত্রায় ধ্বংসযজ্ঞ থেকে জনগণকে রক্ষা করতেই ওই অভিযান চালানো হয়। আর এতে যেসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়, সেগুলো প্রাণঘাতী নয়।
পুলিশ কমিশনার বলেন, অভিযানের পর হেফাজতের মঞ্চের কাছে চারটি লাশ পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় এবং বিভিন্ন স্থানে আরো তিনটি লাশ পান তারা। এছাড়া হেফাজত কর্মীরা এক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করে। এর আগে রোববার বিকাল পর্যন্ত সংঘর্ষে মোট তিনজনের মৃত্যু হয়।
বহু মানুষ নিহতের অভিযোগ ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ দাবি করে এর বাইরে হতাহতের কোনো তথ্য থাকলে তার সুনির্দিষ্ট তালিকা দেয়ার আহ্বান জানান বেনজীর আহমেদ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।