চিন্তা-চেতনা অর্পিত সম্পত্তি নিষ্পত্তির কার্যক্রম শুরু
দ্রুত অর্পিত সম্পত্তি দাবি নিষ্পত্তির কার্যক্রম শুরু করেছে সরকার। এজন্য স্থানীয় সরকার প্রশাসনকে নিদের্শনা প্রদান করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে সরকারি ‘ক’ তফসিলভুক্ত অর্পিত সম্পত্তির গেজেট সকল জেলা প্রশাসক, সহকারী কমিশনার (ভূমি)সহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি দপ্তরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দাবিনামা নিস্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদে গৃহীত সংশোধিত অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ২০১১ অনুযায়ী আদেশ জারির সরকার ‘ক’ তফসিলভুক্ত সম্পত্তির দাবি নিস্পত্তির কার্যক্রম শুরু করেছে।
ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি ‘ক’ তফসিলভুক্ত অর্পিত সম্পত্তির দাবি নিষ্পত্তির জন্য প্রতিটি জেলায় জেলা জজের সমন্বয়ে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনাল এবং সরকারি ‘খ’ তফসিলভুক্ত অর্পিত সম্পত্তির দাবি নিষ্পত্তির জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর নেতৃত্বে জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন ট্রাইবুনাল বা কমিটির কাছে আবেদনের মাধ্যমে অর্পিত সম্পত্তির দখল নিস্পত্তি করা যাবে। ‘ক’ তফসিলভুক্ত গেজেটে প্রকাশিত অর্পিত সম্পত্তির নিস্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর কার্যালয়ে সম্পত্তির দাবিদারদের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। তবে সরকারি ‘খ’ তফসিলভুক্ত তালিকার গেজেট এখনো প্রকাশিত হয়নি। উল্লেখ্য, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রোপটে যেসব নাগরিক ভারতে চলে যান তাদের ফেলে যাওয়া স্থাবর সম্পত্তি ‘ক’ তফসিলভুক্ত’ আর পরবর্তীতে যারা ভারতে যান, সেসব স্থাবর সম্পত্তি ‘খ’ তফসিলভুক্ত’ সম্পত্তি।
সূত্রমতে, ১৯৬৫ সালে ভারতে চলে যাওয়া নাগরিকদের সম্পত্তি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ‘শত্রু সম্পত্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করে। বাংলাদেশ সরকার এর নাম পরিবর্তন করে ‘অর্পিত সম্পত্তি’ করে। আওয়ামী লীগ সরকার আগের মেয়াদে অর্পিত সম্পত্তি মূল মালিক বা তাঁদের উত্তরাধিকারীর কাছে ফিরিয়ে দিতে আইন করে। কিন্তু বিএনপি সরকারের আমলে সে আইন বাস্তবায়িত হয়নি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।