মন্দটাই মনে রাখে মানুষ। ভালোটা হাড়গোড়ের সঙ্গে মাটিতে মিশে যায়
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, নিজের অধীনে নির্বাচন হলেও হাসিনা এখন ৩০ সিটও পাবেন না।
সোমবার সন্ধ্যায় গাজীপুরে এক জনসভায় দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এ কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, “সুরঞ্জিত আমাকে বলেছিলেন- গামছা দিয়ে কামলারা ঘাম মোছে। গামছা গন্ধ করে।
আমার ভাই মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী বলেছিলেন, গামছা না নিয়ে টেবিল চেয়ার নিতে। আমি বলেছিলাম- আমার কাছে গরিবের ঘাম আতরের মতো লাগে। তাই আমি গামছা নিয়েছি। আমি দশ বছর বেঁচে থাকলে টাই-স্যুট ওয়ালা লোকদের গামছা ছড়িয়ে দেবো।
তিনি বলেন, “হাজার চেষ্টা করেও নৌকা দিয়ে মুখের ঘাম মোছা যাবে না।
ধানের শীষ দিয়ে মুখের ঘাম মুছলে ৭ দিন হাসপাতালে থাকতে হবে। ”
তিনি আরও বলেন, “হাসিনা-খালদা এদিক-ওদিক যায়, আমি যাই না। ৪০/৫০ বার হজ করেছেন হাসিনা। তিনি সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা মুছে ফেলেছেন। ”
সোহেল তাজের পদত্যাগ প্রসঙ্গে বঙ্গবীর বলেন, “হাসিনা খালেদা নয়, গাজীপুরের সন্তান তাজউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন।
বাপের বেটা সোহেল তাজ। অবক্ষয়ের জামানায় তার নৈতিকতাকে আমি স্যালুট করি। কাজের লোকের সম্মান আছে। মন্ত্রীর সম্মান নেই। তাই সোহেলতাজকে দিয়ে মন্ত্রিত্ব হবে না।
স্পিকার আইন দেখিয়েছেন, স্বহস্তে পদত্যাগ পত্র লিখতে হবে। আমিও ৭ পৃষ্ঠার পদত্যাগ পত্র লিখেছিলাম। ”
সোহেল তাজের উদ্দেশ্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “সোহেলতাজ, তুমি স্পিকারের সামনে গিয়ে পদত্যাগপত্র দিয়ে এসে আমাদের সঙ্গে দাঁড়াও। ”
সোহেল তাজের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বলেন, “আপনার বাবার জন্য আমি ১৬ বছর নির্বাসনে ছিলাম। বঙ্গবন্ধু হত্যার ৪দিন পর আমার মা বলেছিলেন, পালিয়ে যাও, কাঁদতে পারবো না।
এখন আপনি বলেন, আমি পাগল, ছাগল। তুমি এসেছিলে, যাওয়ার সময় বুঝবে। ”
বাংলাদেশ রেজিস্ট্রি করে দিইনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “৫ বছর বেঁচে থাকলে নৌকার তলা ফাটিয়ে দেবো। বর্তমানে ৫০ জনের মধ্যে ৪৮ জন হাসিনাকে গালি দেয়। ”
সংবিধান সংশোধন সম্পর্কে কাদের সিদ্দিকী বলেন, “১৫ বার নয় ২০ বার সংবিধান সংশোধন করলেও আল্লাহর আইন পরিবর্তন হবে না।
সংবিধান বদলাও মানবো, আল্লাহ আইন বদলালে মানবো না। হাসিনা তুমি এবার আল্লাহরে ধরছ, আল্লাহ মারলে তলপেটে মারবে। ”
তার দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি। বঙ্গবীর বলেন, “১৯/২০ হাজার লোকের জেলখানায় ৭০ হাজার লোক আছে। তাই আমাদের কর্মীদের ছেড়ে দিয়েছে।
বিএনপি বোরখা খুলতে পারে না। তাদের আন্দোলন করা মানায় না। ”
আন্তঃধর্ম বিবাহ আইন সম্পর্কে বঙ্গবীর বলেন, “আপনার (শেখ হাসিনা) ছেলে জয় আমার ভাগিনা। কতোবার কোলে নিয়েছি। জয় ইহুদিকে বিয়ে করেছে।
সমাজে দুই ধর্মের দুই জন বিয়ে করলে রুখে দাঁড়ানো হয়, অথচ প্রধানমন্ত্রীর ছেলের সময় বাধা দেওয়া হয় না। নিজের ছেলের বিয়ের বৈধতা দিতে এ আইন করা হচ্ছে। ”
এক পর্যায়ে শৈশবের স্মৃতিচারণ করে বঙ্গবীর। বলেন, “চেহারা ভালো ছিল। যৌবনে সবাই কবিতা পড়ে আর প্রেম করে।
আমি প্রেমে পড়িনি। আমি ভালোবেসেছিলাম বঙ্গবন্ধুকে। আমি কখনো হাসিনার আওয়ামী লীগ করিনি, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ করি। কাল ফরিদপুর যাবো, হাসিনার খবর নিতে। ”
তথ্য: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।