আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মুসলমানদের নির্মূলে সার্বিক যুদ্ধের 'প্রস্তুতি' নিচ্ছে মার্কিন সেনারা

সূত্র(কালের কন্ঠ, বিবিসি, দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, ফক্স নিউজ, রেডিও ফ্রি ইউরোপ): যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ভবিষ্যৎ কর্ণধারদের তৈরি করা হচ্ছে ইসলামবিরোধী হিসেবে। সামরিক একাডেমীতে অনেক দিন ধরেই ইসলামকে মোকাবিলা করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাদের। ইসলাম আমেরিকার শত্রু_এ বিষয়টি সেনাদের মাথায় ঢোকানো হচ্ছে। তাই আমেরিকাকে রক্ষা করতে হলে বিশ্বের সব মুসলমানকে নির্মূল করতে হবে। প্রয়োজনে 'মক্কা' কিংবা 'মদিনায়' পরমাণু বোমা হামলার জন্যও প্রস্তুত থাকবে হবে।

সামরিক একাডেমীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কোর্সের পাঠক্রমের 'ইসলামবিদ্বেষী' এ বিষয়গুলো প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের ওয়েবসাইট থেকে সম্প্রতি ফাঁস করে দেয় ওয়্যার্ড সাময়িকীর ওয়েবসাইট। বিষয়টি তুমুল আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে আমেরিকাসহ সারা বিশ্বে। সমালোচনার মুখে যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্টিন ডেম্পসিও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা বিভাগের জয়েন্ট ফোর্সেস স্টাফ কলেজের প্রশিক্ষণ কোর্সে কিভাবে এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এ মাসের শেষ নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়া যাবে।

ডেম্পসি ওই কোর্সকে 'পুরোদস্তুর আপত্তিকর' বলে অভিহিত করেছেন। ভার্জিনিয়ার নরফোকের জয়েন্ট ফোর্সেস স্টাফ কলেজে ইসলামবিদ্বেষী কোর্সটি চালু হয় এক বছর আগে। এতে ইসলামকে শত্রু বিবেচনা করে বলা হয়, বিশ্বের ১৪০ কোটি মুসলমানের বিরুদ্ধে 'সার্বিক যুদ্ধ' চালাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রকে ইসলামী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষার জন্যই এটা করতে হবে। মুসলমানদের পবিত্র তীর্থস্থান 'মক্কা' কিংবা 'মদিনায়' সম্ভাব্য পরমাণু হামলার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে।

ওই কোর্সে অংশগ্রহণকারী এক কর্মকর্তা সম্প্রতি বিষয়টিতে আপত্তি তোলেন। এর পরই বিষয়টি সবার নজরে আসে। সামরিক একাডেমীতে 'মুসলমানবিদ্বেষী' এ কোর্সটি পড়ান লেফটেন্যান্ট কর্নেল ম্যাথিউ এ ডুলে। আপত্তির মুখে শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ গত এপ্রিলের শেষ দিকে সাময়িকভাবে ওই কোর্সটি স্থগিত করে। ডুলে তাঁর ক্লাসে যা বলেন এর মর্মবস্তু হচ্ছে, ইসলাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু।

তিনি বলেন, 'উদারপন্থী ইসলাম' বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই। এ কারণে পুরো মুসলমান জাতিকেই শত্রু বিবেচনা করতে হবে। ডুলে তাঁর ছাত্রদের বলেন, তারা যেন সব সময় নিজেদের ইসলামবিরোধী বলে ভাবেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যেভাবে জার্মানির ড্রেসডেনে মারণঘাতী বোমা কিংবা জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা ফেলা হয়েছে সেরকম মারণঘাতী হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে বেসামরিক লোক বাঁচল কি মরল সেটা চিন্তা করা উচিত নয়।

প্রশিক্ষণের এ বিষয়গুলো কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো_এফবিআই, বিচার বিভাগ ও সামরিক বাহিনী অনুসরণ করলেও গত বছর এফবিআই এর কিছু বিষয় পরিবর্তন করে, কারণ সেগুলো ছিল অতিমাত্রায় মুসলিমবিদ্বেষী। ওই কোর্সের বিষয়টি স্বীকার করেছেন জেনারেল ডেম্পসি। গত বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, জয়েন্ট ফোর্সেস স্টাফ কলেজের পাঠ্যসূচিতে কিভাবে এবং কেন এমন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হলো তদন্ত কর্মকর্তারা সে বিষয়টিই খতিয়ে দেখবে। ডেম্পসি বলেন, 'ওই পাঠক্রম ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক সচেতনতার স্বীকৃতির বিষয়ে আমাদের যে মূল্যবোধের বিরোধী। এটা পুরোদস্তুর আপত্তিকর ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।

' তিনি জানান, মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রতিটি শাখায় এবং সব আঞ্চলিক কমান্ডের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা তাদের বিভিন্ন কোর্সের অন্তর্ভুক্ত ইসলামবিরোধী পাঠক্রম পর্যালোচনা করে দেখে। বিশ্লেষকদের মতে, গত এক বছর ধরে কোর্সটি চললেও এতে অংশগ্রহণকারী উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কখনোই বিষয়টিতে আপত্তি তোলেননি। তাঁরা সেই মতেই শিক্ষা নিয়েছেন। তাঁদের অনেকেই প্রশিক্ষণ শেষে পদোন্নতি পেয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেছেন। তাই বিষয়টি মুসলিম বা বিশ্ববাসীর জন্য আতঙ্কের হয়েই থাকবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

সূত্র:] যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ভবিষ্যৎ কর্ণধারদের তৈরি করা হচ্ছে ইসলামবিরোধী হিসেবে। সামরিক একাডেমীতে অনেক দিন ধরেই ইসলামকে মোকাবিলা করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে তাদের। ইসলাম আমেরিকার শত্রু_এ বিষয়টি সেনাদের মাথায় ঢোকানো হচ্ছে। তাই আমেরিকাকে রক্ষা করতে হলে বিশ্বের সব মুসলমানকে নির্মূল করতে হবে। প্রয়োজনে 'মক্কা' কিংবা 'মদিনায়' পরমাণু বোমা হামলার জন্যও প্রস্তুত থাকবে হবে।

সামরিক একাডেমীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কোর্সের পাঠক্রমের 'ইসলামবিদ্বেষী' এ বিষয়গুলো প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের ওয়েবসাইট থেকে সম্প্রতি ফাঁস করে দেয় ওয়্যার্ড সাময়িকীর ওয়েবসাইট। বিষয়টি তুমুল আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে আমেরিকাসহ সারা বিশ্বে। সমালোচনার মুখে যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্টিন ডেম্পসিও বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা বিভাগের জয়েন্ট ফোর্সেস স্টাফ কলেজের প্রশিক্ষণ কোর্সে কিভাবে এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এ মাসের শেষ নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়া যাবে।

ডেম্পসি ওই কোর্সকে 'পুরোদস্তুর আপত্তিকর' বলে অভিহিত করেছেন। ভার্জিনিয়ার নরফোকের জয়েন্ট ফোর্সেস স্টাফ কলেজে ইসলামবিদ্বেষী কোর্সটি চালু হয় এক বছর আগে। এতে ইসলামকে শত্রু বিবেচনা করে বলা হয়, বিশ্বের ১৪০ কোটি মুসলমানের বিরুদ্ধে 'সার্বিক যুদ্ধ' চালাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রকে ইসলামী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষার জন্যই এটা করতে হবে। মুসলমানদের পবিত্র তীর্থস্থান 'মক্কা' কিংবা 'মদিনায়' সম্ভাব্য পরমাণু হামলার জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে।

ওই কোর্সে অংশগ্রহণকারী এক কর্মকর্তা সম্প্রতি বিষয়টিতে আপত্তি তোলেন। এর পরই বিষয়টি সবার নজরে আসে। সামরিক একাডেমীতে 'মুসলমানবিদ্বেষী' এ কোর্সটি পড়ান লেফটেন্যান্ট কর্নেল ম্যাথিউ এ ডুলে। আপত্তির মুখে শেষ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ গত এপ্রিলের শেষ দিকে সাময়িকভাবে ওই কোর্সটি স্থগিত করে। ডুলে তাঁর ক্লাসে যা বলেন এর মর্মবস্তু হচ্ছে, ইসলাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শত্রু।

তিনি বলেন, 'উদারপন্থী ইসলাম' বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই। এ কারণে পুরো মুসলমান জাতিকেই শত্রু বিবেচনা করতে হবে। ডুলে তাঁর ছাত্রদের বলেন, তারা যেন সব সময় নিজেদের ইসলামবিরোধী বলে ভাবেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যেভাবে জার্মানির ড্রেসডেনে মারণঘাতী বোমা কিংবা জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা ফেলা হয়েছে সেরকম মারণঘাতী হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে বেসামরিক লোক বাঁচল কি মরল সেটা চিন্তা করা উচিত নয়।

প্রশিক্ষণের এ বিষয়গুলো কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো_এফবিআই, বিচার বিভাগ ও সামরিক বাহিনী অনুসরণ করলেও গত বছর এফবিআই এর কিছু বিষয় পরিবর্তন করে, কারণ সেগুলো ছিল অতিমাত্রায় মুসলিমবিদ্বেষী। ওই কোর্সের বিষয়টি স্বীকার করেছেন জেনারেল ডেম্পসি। গত বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, জয়েন্ট ফোর্সেস স্টাফ কলেজের পাঠ্যসূচিতে কিভাবে এবং কেন এমন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হলো তদন্ত কর্মকর্তারা সে বিষয়টিই খতিয়ে দেখবে। ডেম্পসি বলেন, 'ওই পাঠক্রম ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক সচেতনতার স্বীকৃতির বিষয়ে আমাদের যে মূল্যবোধের বিরোধী। এটা পুরোদস্তুর আপত্তিকর ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।

' তিনি জানান, মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রতিটি শাখায় এবং সব আঞ্চলিক কমান্ডের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা তাদের বিভিন্ন কোর্সের অন্তর্ভুক্ত ইসলামবিরোধী পাঠক্রম পর্যালোচনা করে দেখে। বিশ্লেষকদের মতে, গত এক বছর ধরে কোর্সটি চললেও এতে অংশগ্রহণকারী উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কখনোই বিষয়টিতে আপত্তি তোলেননি। তাঁরা সেই মতেই শিক্ষা নিয়েছেন। তাঁদের অনেকেই প্রশিক্ষণ শেষে পদোন্নতি পেয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেছেন। তাই বিষয়টি মুসলিম বা বিশ্ববাসীর জন্য আতঙ্কের হয়েই থাকবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.