আমি আমার স্বল্প জ্ঞান থেকে আপনাদেরকে কিছু শেয়ার করতে চাই এবং আপনাদের কাছ থেকে মূল্যবান কিছু নিতে চাই।
"বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। "
জেরুজালেম নগরী।
১০৯৯ খৃষ্টাব্দ। ১৫ জুলাই।
বিকেল ৩টা।
খৃষ্টান ক্রুসেডারদের হাতে মুসলিম নগরী জেরুজালেমের পতন ঘটল।
খৃষ্টান বাহিনী বন্যার স্রোতের মত প্রবেশ করলো নগরীতে। খৃষ্টান অধিনায়ক গডফ্রের নির্দেশে নরবলির মাধ্যমে বিজয়োৎসবের ব্যবস্থা করা হলো। নারী, শিশু, বৃদ্ধ নির্বিশেষে সকল মুসলিম ও ইহুদি নাগরিকদের নিধন যজ্ঞ চলল তিনদিন ধরে।
বীভৎস সে দৃশ্য। কারো মাথা ছিড়ে ফেলা হলো,কারো হাত-পা কাটা হলো,কাউকে তীর বৃষ্টি করে মারা হলো,
কাউকে পুড়িয়ে মারা হলো। অনেক মুসলমান গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো উমার মাসজিদে, মাসজিদের ভিতরই তাদের হত্যা করা হলো। ৩০০ মুসলিম নারী, শিশু,বৃদ্ধ,যুবক গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো আল আকসা মাসজিদের ছাদে, তাদেরও রেহাই দেয়া হলো না। হত্যা করা হলো প্রত্যেককে।
রাজপথ দিয়ে রক্তের স্রোত বয়ে গেল। ঘোড়ার হাটু পর্যন্ত ডুবে গেল সে রক্তে। তিনদিনের হত্যাকান্ডে জেরুজালেম নগরীতে ৭০,০০০ মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছিল।
১১৮৭ খৃষ্টাব্দ।
২ অক্টোবর।
৮৮ বছর পর মুসলিম বাহিনী গাজী সালাহউদ্দীনের নেতৃত্বে বিজয়ী বেশে জেরুজালেম নগরীতে প্রবেশ করলো। নগরীতে আতংক উদ্বেগ,
ধাবিত খৃষ্টান নাগরিকদের চোখে মুখে মৃত্যুর ছাপ। কিন্তু শান্ত সুশৃংখলভাবে
মুসলিম বাহিনী নগরে প্রবেশ করলো। সকলের আগে চলছেন গাজী সালাহউদ্দিন। মুখ তাঁর প্রশান্ত, চোখে কোন উত্তাপ নেই।
৮৮ বছর আগে যারা জেরুজালেমকে কসাইখানায় পরিনত করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে কোন ঘৃনাও তাঁর চোখে মুখে পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বিজয়ের পর ক্রুসেডারদের
মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে গাজী সালাহউদ্দিন অপরিসীম উদারতার পরিচয় দিলেন। প্রত্যেক পুরুষের জন্য দশ,নারীর জন্য পাঁচ ও শিশুর জন্য একটি করে স্বর্ণমূদ্রা মুক্তিপণ নির্ধারিত হলেও নামমাত্র মুক্তিপণ গ্রহন করে তিনি বন্দীদের মুক্তি দিলেন। পরিশেষে দরিদ্র,বৃদ্ধ ও নারীদের তিনি বিনাপণে মুক্তি দিলেন। সহায় সম্বলহীন নারীদের তিনি প্রচুর পরিমানে অর্থও দান করলেন।
রেখে গেলেন আমাদের জন্য প্রচার করার মত একটি ইতিহাস।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।