আজ শুধু ভাল লাগে ১ আর ০...
http://www.virtualpcdoctor.blogspot.com/
যুক্তরাজ্যে মুসলমান ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর বর্ণবাদী হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে দেশটির রাজনীতিবিদ ও মিডিয়া সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ সৃষ্টিতে উস্কানি দিচ্ছে। ইউরোপীয় কমিশনের নতুন এক রিপোর্টে এ তথ্য জানানো হয়। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত বর্ণবাদ ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় কমিশনের এই রিপোর্টে বলা হয়, বৃটেনের মিডিয়ায় মুসলমান, অভিবাসী, রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থী, জিডিসি ও পর্যটকদের নিয়মিতভাবেই নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ তুলে ধরা হয়। দেশটিতে চলমান রাজনৈতিক বিতর্কে বর্ণবাদ ও বিদেশীদের সম্পর্কে ঘৃণা সৃষ্টির বিষয় কমবেশি থাকেই।
রিপোর্টে দেখানো হয়েছে বৃটেনে ২০০৩ সালে সংখ্যালঘুদের উপর বর্ণবাদী হামলার ঘটনা যেখানে ঘটেছিল ৩১ হাজার সেখানে তা ব্যাপক হারে বেড়ে ২০০৮ সালে ৩৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
২০০৭-২০০৮ সময়কালে ১৩ হাজারের বেশি বর্ণবাদী হামলার ঘটনার বিষয়ে তদন্ত ও বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগের দু'বছরে এ সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৮শ'র মত। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ ধরনের হামলার ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য অধিকতর প্রচেষ্টা চালানো প্রয়োজন বলে ইউরোপীয় কমিশন মনে করে। রিপোর্টে আরো বলা হয়, রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের আবেদন প্রত্যাখ্যানের ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সময়ই তাদের খুব নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দেয়।
তাদের অহেতুক আটক করে রাখা হয় এবং নির্যাতন চালানো হয়। একইসঙ্গে এ ব্যাপারে অভিবাসন আইন সংহতকরণের প্রস্তাবের অংশ হিসাবে কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত সুপারিশ সাধারণত অধিকতর কঠোর বলে মনে হয়। অভিবাসী শ্রমিকদের ব্যাপারে বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে হয়। বৃটেনে সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে পুরোপুরিভাবেই বর্ণবাদী আচরণ করা হয়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আনুমানিক ৮৭ হাজার সদস্য বর্ণবাদের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বৃটেনে সংখ্যালঘুরা চরম বেকারত্ব ও বাসগৃহের সমস্যার মধ্যে রয়েছে। সংখ্যালঘুদের শতকরা ৭০ ভাগ সদস্য দেশের সবচেয়ে বঞ্চিত ৮৮টি অঞ্চলে বাস করে। ইউরোপীয় কমিশন দেখতে পেয়েছে বৃটেনে আটক ও তল্লাশি করার ক্ষমতাসহ সন্ত্রাসবিরোধী যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় সেগুলো পুরোপুরিভাবেই মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়, সন্ত্রাসবিরোধী ধারাগুলোর প্রয়োগ অব্যহত থাকায় উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। বহু বৃটিশ মুসলিম অভিযোগ করেছে শুধুমাত্র মুসলমান হওয়ায় কোনরকম কারণ ছাড়াই তাদের পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, এসব পদক্ষেপের ফলে মুসলমানরা নিজেদের কলঙ্কিত ও বহিরাগত বলে মনে করছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। মুসলিম তরুণদের নিয়মিতভাবেই আটক ও তল্লাশি করার কারণে তারা নিজেদের ক্রমশ নিঃসঙ্গ ভাবছে। বৃটেনের ভেতরে ও বাইরের মানবাধিকার সংগঠনগুলো অহেতুক আটক ও তল্লাশি চালানোর বিতর্কিত ক্ষমতার বারবার সমালোচনা করে আসছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক লর্ড কার্লাইল প্রদত্ত ২০০৯ সালের রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রতি মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার আটকের ঘটনা ঘটছে কিন্তু পরে দেখা যায় অহেতুক তাদের আটক করা হয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে মানবাধিকার সংক্রান্ত ইউরোপীয় আদালত বৃটেনে পুলিশের ব্যাপকহারে আটক ও তল্লাশি চালানোর কাজ বাতিল করে দিয়ে এসব স্থগিত রাখতে লন্ডনের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।