হয়তো আমি একাই... একটা দেশের স্বপ্নের সারথী কারা? কাদের থেকে একটা জাতি সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পায়? দেশের তরুন প্রজন্মই কি পারেনা একটি দেশের, একটি জাতির কিংবা একটি সমাজের চেহারা বদলে দিতে?! হ্যা পারে। আশাবাদী মানুষ তাদের মধ্যেই ভবিষ্যতের সম্ভবনা খোঁজে। কিন্তু যা ঘটলো তাতে লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে গেল; পাথর হয়ে গেলো গোটা সমাজ। নিজেকে একজন পুরুষ ভাবতেও আজ ঘৃণা হচ্ছে; যে মায়ের ভাষা বাঁচাতে এতো সংগ্রাম, এতো আত্মত্যাগ; যে মায়ের সম্ভ্রম বাঁচাতে এতো রক্তের বলিদান; সে মায়ের জাতিকে আমরা কি সম্মান দিলাম। হায় বাংলাদেশ! আবারো অবাক করলে তুমি!
গত ১০ মে ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকায় একদল যুবক কর্তৃক এক নারী ইভটিজিং এর শিকার হলেন।
কে বলেছে আমরা স্বাধীন? যে দেশে একটি মেয়ে রাত ৯ টা ৫০ এ নিরাপদে চলাচল করতে পারেনা সে দেশ টা কি আসলেই স্বাধীন? আমি বিশ্বাস করি না। সেই হায়েনাদের জবাব দিতে যে পুরুষ এগিয়ে এলেন তিনিও নির্যাতনের শিকার হলেন। কি আশ্চর্য! আশেপাশের মানুষ গুলোও প্রতিবাদ করলেন না। তুচ্ছ ঘটনা বলে উড়িয়ে দিলেন।
মানুষরূপী পিশাচগুলো দাবি করে তারা ইউনিভার্সিটি অব লিব্যারেল আর্টসের স্টুডেন্ট; সে ব্যাপারে সত্যতা এখনো যাচাই করা যায়নি।
ইউল্যাব কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছে। এটাই কি যথেষ্ট? তারা যেখানকারই ছাত্র হউক? তাদের পেছনে যাদেরই মদদ থাকুক তাদের কি এভাবে ছেড়ে দেয়া যায়?
সত্যিই যদি তারা সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে থাকে; কিভাবে এতো ঘৃণ্য কাজ করতে পারলো তারা? একজন ছাত্র সে যেখানেই শিক্ষা গ্রহণ করুক; তার নিজের সম্মান, তার পরিবারের সম্মান, তার প্রতিষ্ঠানের সম্মান তার হাতে। আমাদের দেশটা অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ নয়; দেশ পারেনা সবার জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করতে? সবার সামর্থ নেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার। যারা পড়তে পারছে তারা ভাগ্যবান। আর আজ তারা প্রতিদানে আমাদের এই দিল!
একবার ভাবুন তো আপনার মা অফিস শেষে বাড়ি ফেরার পথে এভাবেই ইভটিজিং এর শিকার হল? কিংবা আপনার বোন যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সন্ধ্যায় একা বাড়ি ফের? কিংবা চাকুরীজীবি আপনার স্ত্রী? আপনার কন্যা কিংবা আপনার বান্ধবী?
মা দিবসের প্রাক্কালে দাঁড়িয়ে একবার ভাবুনতো আমরা কি আমাদের নারীদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে পারছি? দেশের সকল ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখা এই নারীদের কি জবাব দেবো আমরা?
নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন আপনার কি করনীয়? আপনার ভেতরটা জাগাতে হবে আপনার নিজেকেই।
যদি জাগে তাহলে ভাল। কিন্তু না জাগলে খবরদার একথাটা একবারও বলবেন না – “এ দেশের কিচ্ছু হবে না !” সে অধিকার আপনার নেই।
এ, কে, এম, মুজিব
শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
http://www.move4world.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।