দাম দিয়া কিনেছি বাংলা
শুনেছি, আমরা যা কিছু নিয়ে তা হচ্ছে সংস্কৃতি, আর আমাদের যা আছে তা সম্পদ। এখন যদি প্রশ্ন উঠে গনতন্ত্র আমাদের সংস্কৃতি না সম্পদ তাহলে সূত্র মতে বলতে হবে গনতন্ত্র আসলে আমাদের সম্পদ। গনতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আমরা রাজপথে রক্ত দিয়েছি এবং রাষ্ট্র যন্ত্র ভালো দিকটি ধরতে পারায় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিও। দেশে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন আছে, বিদেশী স্থপতির হাতে গড়া সুরম্য সংসদ ভবন আছে, স্পিকার ডেপুটি -স্পিকার আছেন, উভয় দলের নেতা -উপনেতা চিফ হুইপ- হুইপ গন আছেন, সংসদীয় কমিটি ও তার সভাপতি -সদস্য গন আছেন। এমন আরও অনেক গনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বিগত দুই দশকে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে এবং দিন দিন তার প্রবৃদিধ ঘটছে।
কিন্তু সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে দেশের মানুষ গুলো, সম্পদের বিচারে এরা শ্রীহীন নিঃস্ব। এই বাধাটির কারণে দেশ গনতন্ত্রায়িত হতে পারছে না। ভবিষ্যতদ্রষ্টা আইয়ুব খাঁন একথা ভেবেই হয়তো বেসিক ডেমোক্রেসি চালু করেছিলেন।
দেশের সাবেক এক মন্ত্রী যিনি একজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, তাকে বলতে শুনেছি আমার সহজ সরল শিক্ষক জীবনে জানিনা কি দোষে মন্তীত্ব বরণ করতে হয়েছিল। চতুর্থ সংসদ নির্বাচনের কথা আমার সামান্য মনে পড়ে, আজ বুঝতে পারি সেদিন জনৈক ব্যক্তি কেন পাতার পর পাতা ছাপানো কাগজ ছিড়ে ছিড়ে একটি টিনের বাক্সে ফেলছিলেন।
নবম সংসদ নির্বাচন তো হাতে করেই পার করলাম, বিরোধী দল যাই বলতে চেষ্টা করুক নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে কোন সংশয় নেই। ভোটার গন বাড়ী থেকে যা ভেবে এসেছিলেন ভোট বুথে ঢুকে তা করে আসতে পেরেছিলেন। ফলাফল প্রকাশ হবার পর অনেক ভোটার হয়তো বুক চাপড়ে মাতম করেছে ভোট দিলাম শেখ হাসিনা কে অমুক কিভাবে এম. পি হলো। অনেকের মাতম করার ও উপায় ছিলো না, তারা যে বিষ জেনে শুনেই পান করেছিলো। চতুর্থ থেকে নবম সংসদ দুই দশকের পথ চলায় আমাদের গনতন্ত্র কোথায় এসে দাড়িয়েছে? চলতি কোন সংসদ ভেঙ্গে দিলে সাধারনত বিরোধী দল বুক ফুলিয়ে থাকে, চতুর্থ সংসদ ভেঙ্গে দেবার পর সরকারের মন্ত্রী এম. পি দের সাথে বিরোধী দলের নেতা- চিফ হুইপকেও বিদেশে পালাতে হয়েছিল আর এখন সংসদের মেয়াদ শেষ হলে পাতি নেতা পর্যন্ত গা ঢাকা দেয় আর জনগনকে হতে হয় গ্রাম ছাড়া।
সেই সময় ব্যালট ছিড়ে যা বেরিয়ে আসতো এখনের নির্বাচিত মুখ গুলোর সাথে তার বিশেষ কিছু পার্থক্য নেই। বঙ্গবন্ধু তোমার বাঙ্গালীরা কবি গুরুর কথা আবার সত্যি প্রমান করল, “ সাত কোটি বাঙ্গালীর হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙ্গালী করিয়া মানুষ করনি”।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।