আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইলেক্ট্রনিক শপের সহজ পাঠ। পর্ব-২: ডিসপ্লে ডিভাইস হিসেবে সিআরটি, এলসিডি, প্লাজমা ও এলইডিতে প্রধান তিনটি রঙের খেলা।

Footprint of a village boy! সিআরটি (ক্যাথোড রে টিউব) ডিসপ্লেতে একটি ইলেকট্রন গান সমৃদ্ধ বায়ুশূণ্য টিউবের ভেতর দিয়ে তিনটি প্রধান রঙ - লাল, সবুজ ও নীলকে ক্ষুদ্র ফসফার ডটের ভেতর নির্দিষ্ট অনুপাতে ফেলে বিভিন্ন রঙের উজ্জ্বল আলো সৃষ্টি করা হয়। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোর লাইনের এই ফসফার ডটের সমষ্টিই পুরো ফ্লোরসেন্ট পর্দায় রঙিন ছবির আকার দেয়। প্রধান তিন রঙ লাল, সবুজ ও নীল রঙের মিশ্রণে যে কোন রঙ তৈরী করা যায়, তাই যে কোন রঙিন ডিসপ্লে এই তিনটি রঙের উপরই নির্ভর করে তৈরী হয়। ফসফার ডটের ভেতর কোন রশ্মি এসে পড়বে তা একটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্রযুক্ত মাস্কের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্লাজমা ডিসপ্লেতে সিআরটির মতোই ফসফার ডট ব্যবহার করা হয়, তবে এক্ষেত্রে ইলেকট্রন বিমের পরিবর্তে অত্যধিক তাপমাত্রার চার্জিত গ্যাস ব্যবহার করা হয়।

এজন্য আকারে এটি চ্যাপ্টা আকৃতির। এই ডিসপ্লে বহু সংখ্যক সেল নিয়ে তৈরী। প্রত্যেক সেলে দুটি গ্লাস প্যানেল একটু ফাঁকা করে রেখে এর ভেতর নিয়ন-জেনন গ্যাস ভরে সিল করা হয়। পরবর্তীতে এই চার্জিত গ্যাস লাল, সবুজ ও নীল ফসফার ডটকে আঘাত করে পর্দায় ছবি তৈরী করে। প্রত্যেক লাল, সবুজ ও নীল ফসফার ডটের একটি গ্রুপকে পিক্সেল বলা হয়।

প্লাজমা ডিসপ্লে অন্য ডিসপ্লের তুলনায় অধিক তাপ উৎপন্ন করে। এলসিডি (লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে) তে একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় শুধু পেছন থেকে তিনটি আলোর প্রয়োগে ভিন্নতা দেখা যায়। এক্ষেত্রে দুইটি পুলারাইজিং প্লেট ব্যবহার করা হয় যাদের ভেতর তরল ক্রিস্টালের সলিউশন থাকে। ইলেকট্রিক কারেন্ট এই তরলের ভেতর চালনা করলে ক্রিস্টালগুলোকে একটি সারিতে নিয়ে আসে যা আলোকে এদের ভেতর দিয়ে যেতে বাঁধা দেয়। তাই প্রতিটি ক্রিস্টাল একটি করে সাটারের কাজ করে, হয় আলো এদের ভেতর দিয়ে যাবে নয়তো বাঁধা প্রাপ্ত হবে।

সবগুলো সাটার একত্রে পর্দায় কাঙ্খিত ছবিটি সৃষ্টি করে। সিআরটির মত বড় বায়ুশূণ্য টিউব ব্যবহৃত হয় না বলেই এটি আকারে পাতলা হয়। এলইডি (লাইট এমিটিং ডায়োড) ডিসপ্লেতে বহু সংখ্যক ডায়োড ব্যবহার করা হয় তিনটি আলো প্রয়োগ করে রঙিন ছবি তৈরী করার জন্য। এলসিডি ও এলইডিতে একই টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়, পার্থক্য শুধু ব্যাকলাইটের ভিন্ন ব্যবহার। ব্যাকলাইটে ডায়োডকে ব্যবহারের ফলে এলইডি ডিসপ্লে এলসিডি এর চেয়ে ভাল ও টেকসই হয়।

এই পর্বে শুধুমাত্র প্রধান তিনটি রঙের উপর ডিসপ্লে সিস্টেমের নির্ভরতা দেখানো হল, জটিলতা এড়াতে অন্যান্য কারিগরি দিক বিবেচনায় আনা হয়নি। পরের পর্বে অন্য কোন প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হবে।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.