আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইলেক্ট্রনিক শপের সহজ পাঠ। পর্ব-১: বিট ও বাইট কাজ করে যেভাবে।

Footprint of a village boy! আমরা সবাই কিছু বিষয় সব সময় বলে থাকি; যেমন- ৩২ বিট পেন্টিয়াম প্রসেসর, ২ গিগা বাইট রেম, ৫০০ গিগা বাইট হার্ডডিস্ক, ৫ গিগা বাইট প্যাকেজ ইত্যাদি। বাইনারি ডিজিটের সর্বত্র ব্যবহারের কারণে ইলেক্ট্রনিক শপের সহজ পাঠ তাই বাইনারি ডিজিট ০ ও ১ থেকেই শুরু করছি। বাইনারিতে যাওয়ার আগে একে ডেসিমাল নম্বরের সাথে তুলনা করলে বুঝতে সুবিধা হয়। ১০ ভিত্তিক একটি ডেসিমাল সংখ্যা ৬,৩৫৭ নিই। সংখ্যাটিকে প্রকাশ করা যায় এভাবে - (৬ * ১০০০) + (৩ * ১০০) + (৫ * ১০) + (৭ * ১) = ৬০০০ + ৩০০ + ৫০ + ৭ = ৬৩৫৭ পাওয়ার অব ১০ হিসেবে "^" এই প্রতিক ব্যবহার করে লেখা যায় - (৬ * ১০^৩) + (৩ * ১০^২) + (৫ * ১০^১) + (৭ * ১০^০) = ৬০০০ + ৩০০ + ৫০ + ৭ = ৬৩৫৭ এখানে যেমন ১০ কে ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়েছে, সেরকমভাবে ২, ৩, ৪, ৫, ৮, ১২, ১৬ কেও ভিত্তি হিসেবে নিয়ে ভিন্নভাবে গণনা করা হয়।

আর ২ ভিত্তিক গণনা পদ্ধতিটিই আমরা বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি হিসেবে জানি। ইলেক্ট্রনিক সিস্টেমে ২ ভিত্তিক বাইনারি সংখ্যাকে কম্পিউটারে ব্যবহারের সুবিধার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে ডেসিমালের পরিবর্তে। bit হচ্ছে Binary digIT এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ডেসিমালে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত যে কোন সম্ভাব্য সংখ্যা হতে পারে এবং বাইনারিতে ০ ও ১ সংখ্যা দুটিই সম্ভাব্য সংখ্যা। তাহলে বাইনারি সংখ্যা ১০১১ এর অর্থ কি? ২ কে বেস বা ভিত্তি ধরে একে ডেসিমালে পরিবর্তন করতে পারি এভাবে - (১ * ২^৩) + (০ * ২^২) + (১ * ২^১) + (১ * ২^০) = ৮ + ০ + ২ + ১ = ১১ এরকম ৮ বিটের একটি বাইনারি সংখ্যাকে বলা হয় বাইট।

যেমন- ২৫৪ = ১১১১১১১০ ২৫৫ = ১১১১১১১১ প্রশ্ন আসতে পারে ৮টি বিট নিয়েই কেন বাইট হয়? উত্তরটা ১২টি ডিমে যেমন এক ডজন হয় সেরকম, এরোর দূর করার জন্যই সুবিধাজনক এই হিসাব। ASCII ক্যারেকটার সেটে ০ এবং ১২৭ এর ভেতর বাইনারি সংখ্যাকে নির্দিষ্ট ক্যারেকটার দিয়ে বুঝানো হয়। নিচের ছবিতে বিভিন্ন বেসের সংখ্যা পদ্ধতির কনভার্সন দেখানো হল- View this link যখন আমরা অনেক সংখ্যক বাইট নিয়ে কথা বলি তখন আমরা শুধু আগের অংশটি নিয়ে থাকি। যেমন- কিলো, মেগা, গিগা ইত্যাদি বলে থাকি কিলোবাইট, মেগাবাইট, গিগাবাইট থেকে অথবা কেবি-KB, এমবি-MB ও জিবি-GB এভাবে বলি। নিচে বাইনারি মালটিপ্লায়ারগুলো দেখে নেই - নাম পরিমাণ Kilo - K - ২^১০ = ১,০২৪ বাইট Mega - M - ২^২০ =১,০৪৮,৫৭৬ বাইট Giga - G - ২^৩০ = ১,০৭৩,৭৪১,৮২৪ বাইট Tera - T - ২^৪০ = ১,০৯৯,৫১১,৬২৭,৭৭৬ বাইট Peta - P - ২^৫০ = ১,১২৫,৮৯৯,৯০৬,৮৪২,৬২৪ বাইট Exa - E - ২^৬০ = ১,১৫২,৯২১,৫০৪,৬০৬,৮৪৬,৯৭৬ বাইট Zetta - Z - ২^৭০ = ১,১৮০,৫৯১,৬২০,৭১৭,৪১১,৩০৩,৪২৪ বাইট Yotta - Y - ২^৮০ = ১,২০৮,৯২৫,৮১৯,৬১৪,৬২৯,১৭৪,৭০৬,১৭৬ বাইট পরের পর্বে অন্য কিছু নিয়ে পর্ব আকারে চলবে............।

আমার ব্লগীয় পাঠাগারের শেষ অংশ ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। আমার ব্লগীয় পাঠাগার - ৫; পোস্ট লিঙ্ক সংখ্যা ২৭০টি। সর্বশেষ অংশ।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.