ভাল থাকতে চাই
২০০৬ এ হজে গিয়ে কাফনের কাপড় কিনে এনেছিলেন চৌধুরী আলম। সেই কাফনের কাপড় হয়ত আর পরা হবে না চৌধুরী সাবের। সমাজের নিন্মবৃত্ত থেকে উঠে আসা এই রাজনীতিকের কর্ম জীবন শুরু হয়েছিল গুলিস্থানে হকারি করে। তারপর হকার নেতা, মহানগর নেতা। ঢাকা সিটি কর্পুরেশনের কমিশনার নির্বাচিত হয়েছেন তিন তিন বার (৫৬নং ওয়ার্ড গুলিস্থান)।
-
হয়েছেন জাতীয় নেতাও, কিন্তু যেভাবে হলেন কারোই কাম্য ছিল না। দল বিএনপির রাজপথের আন্দোলনের জনশক্তির একটা বড় অংশই যোগান দিতেন নিজেই। আর সেটাই কাল হয়ে দাড়ালো তার জন্যে। নিখোজ হওয়ার আগ পর্যন্ত মরিয়া হয়ে খুজছিল। ২০ জুন র্যাব কর্তৃক আটকও হয়েছিলেন ঐ দিন র্যাবের সাথে দস্তাদস্তির একপর্যায়ে টহল পুলিশ সেবার তাকে ছেড়েই চলে গিয়েছিল র্যাব।
যেদিন নিখোজ হন সেদিন রাতেও তার বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। বাসায় এসে পুলিশি অভিযানে কথা শুনে গা ঢাকা দিতে রওনা দেন বোনের বাসায়। সেখানে যাওয়ার পথেই র্যাব তাকে তুলে নিয়ে যায় র্যাব। আর ফিরে আসেনি। চৌধুরী আলম গুমের দুই দিন পর ২৭ জুন বর্তমান সরকারের আমলে বিএনপির ডাকে প্রথম হরতাল ছিল।
রাজনৈতিক আন্দলন দমনে বাকসালী হাসিনা সরকার এক বর্বর প্রথা চালু করল। এরপর নিয়মিতই হারিয়ে যেতে থাকে একের পর এক বিরোধি রাজনৈতিক নেতা।
১১ জুন একটি অনলাইন পোর্টালকে সাক্ষাতকার দেয়ার সময় চৌধুরী আলমের স্ত্রী হাসিনা চৌধুরানী জানান দুজনে হজে গিয়ে ছিলে ২০০৬ এ। সেখান থেকে আনা কাফনের কাপড় দেখিয়ে ভেউ ভেউ করে কাদতে থাকেন হাসিনা চৌধুরানী। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।