ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিগ্ঙান বিভাগের শিক্ষক ড. কামাল উদ্দিনকে সিন্ডিকেট কর্মস্থলে পূণর্বহাল করেছেন। সিন্ডিকেট সভায় একাধিক সদস্য উক্ত বিষয়ে note of descent দেয়া সত্বেও তাকে কর্মস্থলে যোগ দিতে সিন্ডিকেট নির্দেশ দেয়।
উল্লেখ্য যে, ড. কামাল ২০০৮ সালে তার বিভাগের এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করলে সেই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তিতে সুষ্ঠ তদন্তের দাবিতে উক্ত ছাত্রী উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। বর্তমানে তার অভিযোগের বিষয়টি আদালতে তদন্তাধীন।
আদালতে তদন্তাধীন থাকা সত্বেও ড. কামালকে কর্মস্থলে পূণর্বহালের সিদ্ধান্তে শিক্ষক ও ছাত্র সমাজ উদ্বিগ্ন।
ড. কামালের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। ১৯৯৯ সালেও তিনি একই বিভাগের এক ছাত্রীর সাথে অনুরূপ ঘটনা ঘটালে তখনও তার বিরুদ্ধে ছাত্রীটি অভিযোগ করেন। তৎকালীন শিক্ষক ও ছাত্র সমাজ উক্ত ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায়। শিক্ষক ও ছাত্র সমাজের প্রতিবাদের মুখে তখন তিনি জাপানে পালিয়ে বাচেন।
২০০৭ সালের দিকে দেশে ফিরে তিনি আবার তার পুরনো চরিত্রে ফিরে যান। সম্প্রতি ২০১১ সালে Bangladesh University of Professional (BUP) থেকে এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তাকে kick out করা হয়। এছাড়াও তার বিরূদ্ধে অনেক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এরকম একজন শিক্ষককে প্রশাসন কর্মস্থলে পূণর্বহালের নির্দেশ দেয়ায় শিক্ষক ও ছাত্র সমাজ বিস্মিত।
সিন্ডিকেটের উক্ত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মনোবিগ্ঙান বিভাগের শিক্ষকগণ লিখিত প্রতিবাদ জানায়।
তাদের লিখিত প্রতিবাদের প্রতি কোন গুরুত্ব না দিলে তারা সকল প্রকার একাডেমিক সভায় যোগদান থেকে বিরত থাকেন। এছাড়াও তারা সি এ্যান্ড ডি সভায় যোগদান থেকেও বিরত থাকেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।