জবান :
ইমাম গাজ্জালী (রহ.) বলেন জবান আল্লাহতায়ালার বড় বড় নেয়ামত সমূহের অন্যতম, এবং তাহার নিপুন কারিগরীর একটি নমুনা উহা আকারে ক্ষুদ্র অথচ উহার ছওয়াব ও গুনাহের আকারে বৃহৎ। এমনকি ইসলাম ও কুফর যাহা ছওয়াব ও পাপের শেষ প্রান্ত এই জবানের সাথেই সম্পর্কযুক্ত । অতঃপর তিনি জবানের বিপর্যয়গুলো বর্ণনা করেন। অনর্থক কথাবার্তা, বাজে বাক্যালাপ, ঝগড়া ফাছাদ, মুখ চেপ্টা করিয়া কথা বলা, কবিতার ভাব ভঙ্গিমায় কথা বলা; অশ্লিল কথা বলা; গালি-গালাজ, লা‘নত, কবিতার ছড়াছড়ি, কাহারও সাথে ঠাট্টা বিদ্রুপ, কাহারও গুপ্তভেদ প্রকাশ করা, মিথ্যা ওয়াদা করা, মিথ্যা কথা বলা, মিথ্যা কসম খাওয়া, কাহারও প্রতি কটাক্ষ করা, মিথ্যা অপবাদ রটানো অথবা কাহারও প্রশংসা করা বা অযথা ছাওয়াল করা ইত্যাদি ইত্যাদি বড় বড় পাপসমূহ এই ক্ষুদ্র জবানের সহিত সম্পর্কযুক্ত। তাই প্রিয় রাছুল (দ.) মানুষকে নীরব থাকার প্রতি উৎসাহ দিয়াছেন এবং ফরমাইয়াছেন যে নীরব থাকিল সেই নাজাত পাইল।
সঙ্গী নির্বাচন :
ইমাম গাজ্জালী (রহ.) বলেন সঙ্গী নির্বাচনের পূর্বে তাহার মধ্যে পাঁচটি গুন তালাশ করিয়া দেখ ঃ
প্রথমত - আক্কল ঃ কারণ আক্কলই মানুষের মুলধন ; বেওকুফের সংস্রবের পরিণাম দগ্ধ ও বিচ্ছেদ ছাড়া আর কিছুই নয়; হয়রত ছুফিয়ান ছাওরি বলেন আহমকের ছুরত দেখাও পাপ।
দ্বিতীয়ত - সঙ্গী চরিত্রবান হওয়া চাই। কারন চরিত্রহীনতা অনেক সময় বিবেক-বুদ্ধিকে হার মানাইয়া দেয়। যেমন এক ব্যক্তি খুব জ্ঞানী, বুদ্ধিমান কিন্তু রাগ, খায়েশ, কৃপণতা ইত্যাদি বদ আখলাক তার বিবেক বুদ্ধিকে অকেজো করিয়া দেয় ।
তৃতীয়ত - সে যেন ফাছেক না হয়।
কেননা যে আল্লাহকে ভয় করে না তার বন্ধুত্বের কোন বিশ্বাস নাই ; হয়ত কোন বিপদেও ফেলিয়া দিতে পারে।
চতুর্থত - সে যেন বেদাতী না হয়। কেননা ইহা দ্বারা তোমার মধ্যে বেদাতী ঢুকিয়া যাইতে পারে।
পঞ্চমত- সে যেন দুনিয়ায় লোভী না হয়, কেননা বন্ধুর অনুসরণে তোমার মধ্যেও দুনিয়ার লোভ আসিয়া যাইতে পারে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।