পরিবর্তনের জন্য লেখালেখি
দূরবর্তী নৈকট্য
আমরা যখন মুখোমুখি বসি
আমি নিশ্চিত ভাবেই মুখ নামিয়ে রাখি আহার নৈর্ব্যক্তে
আমরা যখন কথা বলি
আমি অনেক সহজ লভ্য হয়ে উঠি মুঠোফোনের মুখোশে
আমি মাঝে মাঝেই হাত ধরি তোমার নির্লিপ্ত অন্ধকারে
প্রশ্রয় দেই , তোমাকে বন্দী রাখি আশাবাদী কারাগারে
কখনো কখনো ব্যবহৃত পুতুলও ব্যবহারে হয় দক্ষ
তোমাকে ডাকি শুধু সেই সব মুমুর্ষু মুহূর্তে
পরক্ষণেই সফলতার আত্মগ্লানিতে হই অঙ্গনে অঙ্গার
কি নাম দেব এই দংশনের ? এই স্বার্থপরতার ?
আমি আসামী প্রতারণার ; এতে নেই সংশয়
যদিও তীব্র ভালোবাসি তোমায় , যদিও জাগেনি প্রণয় !
একটা শরতের আশঙ্কায়
একটা শরতের আশঙ্কায় এখনো ঘরে বসে থাকি।
বসন্তকে পায়ে ঠেলে শীতের চাদরে
মুড়ে নিজেকে হিম হিম কুয়াশাময় অন্ধকারে রাখি।
এখনো আমার অনেক গুলো ভয় কাটানো বাকি ।
এইবার বইমেলায় যাইনি অফিসের বন্ধে ।
আমি জানি তুমি যাও শাহবাগ , ফুলার রোদে
পুস্তিকার নস্টালজিক ধুলোর চেয়ে
আমার এলার্জি তোমার গন্ধে ।
প্রাগৈতিহাসিক যুগে কবে যেন রিকশা চড়েছিলাম ।
এখনো সেই স্পর্শ পুড়ে দেয় অনাঘ্রাতা শরীর ।
এখনো কবিতা মানে তোমার অক্ষর চুমু খাওয়া
এই বিংশ শতাব্দীতে বসে আমি অতীতে স্থির ।
একটা মাত্র রাত জেগে কথা বলা , অথবা ভালোবাসা
বার বার ঘুম ভাঙলে মুঠোফোনে চোখ পড়ে
একটা কন্ঠস্বরের কামনায় উৎকর্ণ , বিমর্ষ , হত আশা
এখনো আমাকে পদে পদে ছোট করে ।
সময়ের সাথে সাথে পৌনপুনিক কত ঋতু বদলায় ,
এই বিষাক্ত শহরে মানুষ মৃতদের দলে ভিড়ে যায় ।
শুধু আমিই প্লাস্টিক উন্নয়নে বেমানান ছিলাম , আছি
বিষের পেয়ালা হাতে একটা শরতের আশঙ্কায় !
বিরামহীন একটা পৌনপুনিকতা চাই
আমার খুব বেশি চাওয়ার নেই
চেয়েও যে খুব বেশি পেয়েছি , তা তো নয় !
জীবনে কোন দিন কোন লটারি জিতিনি
মা বলেন , আমি চির হতভাগী নিশ্চয় ।
দেখো , বিধাতার কাছেও মিনতি গল্প আছে ।
কত রাত নির্ঘুম জা'নামাযে ভোর হলে
চোখের কান্না, সাথে ইচ্ছে শুকিয়ে গেছে ।
দুরের কামনারা কখনো আসেনি কাছে ।
তোমার কাছে তাই বেশি চাওয়া কি সাজে?
সেইযে বৃষ্টিধোয়া ছাদে এ হাতদুটো ধরেছিলে
যেন পিছলে না পড়ি , আহত না হই আমি
মায়াময় সেই সন্ধ্যাটা বুকে বাজে ।
না হয় , আমি একলাই ভালোবাসি ,
তবুও তোমার কাছেই চাইছি লাজহীন
বৃষ্টি , তুমি , আমার হাতে স্বর্গ
পৌনপুনিক; এক মুহুর্ত দাও ঋণ !
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।