আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবিশ্বাসের জনপদে জৌতিষীই ভরসা

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি ইলিয়াস আলি নিঁখোজ! লক্ষনে মনে হচ্ছে কিডন্যাপ করা হয়েছে। আগের দিনে মানুষ হারালে স্বজনের পানি পড়া - বাটি চালান দিতো। কখনই পুলিশের কাছে যেতো না। এখনতো পুলিশ নাকি নিজেরাই কিডন্যাপ করে। তারপরে আছে রেব নামের আরেকটা বাহিনী - যারা মানুষকে ধরে নিয়ে ক্রশ ফায়ার করে।

এর আগে ছিলো অপরেশন ক্লিন হার্ট - মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে - কিন্তু স্বজনরা বিচার যাতে না চাইতে পারে তার জন্যে সংসদে ইন্ডেমনিটি দিয়েছিলো যে সংসদ সেই সংসদে ইলিয়াস আলি নিজেও এমপি ছিলেন। পুলিশ রেব আর সরকারের কথার মানুষ বিশ্বাস করে না - আর রাজনৈতিক বিভাজনে দেশের মানুষ সব কিছুই রাজনীতির গন্ধ পায়। সুতরাং যদি কেউ হারিয়ে যায় - তখন কার কাছে যাবো আমরা? বাটি চালান বা আয়না পড়া আগের মতো ব্যবসা সফল না। তাইলে বাকী আছে জৌতিষরা। সমস্যা হলো জৌতিষদের ভাত মেরে দিয়েছে রাজনীতিবিদগন।

যে কোন ঘটনার ঘটার পরেই কাল বিলম্ব না করেই এরা বিরোধীপক্ষকে দোষারোপ করে। কোন রকম যুক্তিতর্ক ছাড়াই এরা রায় দিয়ে দেয় - কে দোষী! পাবলিককে আর ভাবতে হয় না - শুধু গ্যালারীতে বসে মজা দেখা ছাড়া। এই ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে - বেগম খালেদা জিয়া সরাসরি রেবকে দায়ী করেছেন। এখন রেবকে হয় জীবিত ইলিয়াস কে এনে দিতে - নতুবা সরকার পতন! অন্যদিকে গতমাসে ছাত্রদলের কোন্দলে একজন খুন হয় সিলেটে - সেই সুবাদে সিলেটের দুই ছাত্র নেতা ঢাকায় নিখোঁজ হয়েছে। এদের নিখোঁজের দায় ইলিয়াস আলী রেবের উপর চাপিয়ে এখন নিজেই নিখোঁজ।

তার তার নেত্রীর উপর দায়িত্ব পড়েছে কাউকে দোষারোপ করার - উনি দায় চাপিয়েছেন রেবের উপর। যখন যারা ক্ষমতায় থাকে তখন এরা ভুলে যায় যে এরাও মানুষ। এরা যখন আইনশৃংখলা বাহিনীকে হত্যার লাইসেন্স দেয় - তখন কি একবারও ভেবে দেখেনা - বাঘ একবার রক্তের স্বাদ পেলে কতটা ভয়ংকর হতে পারে। ইলিয়াস আলীকে যেই কিডন্যাপ করে থাকুক - দায়টা সবারই। কারন দেশটাকে সঠিক পথে চালানোর সুযোগ সবাই পেয়েছিলেন নানান সময়ে - তখন সুযোগগুলো নিজেদের সুবিধার জন্যে ক্যাশ করে নিজেওর দেউলিয়া হয়েছেন - দেশটাকেও দেউলিয়া বানিয়ে ফেলেছেন।

আজকে সৈয়দ মুজতবা আলী সেই বিখ্যাত উক্তিটা আবারো মনে করছি - "কুইনিন তো জ্বর সারাবে - কিন্তু কুইনিন সারাবে কে?" যারা কুইনিনের সাথে পরিচিত না তাদের জন্যে - এইটা অত্যান্ত তেতো একটা ঔষদ - যা জ্বরের নিরাময়ে ব্যবহূত হতো। সন্ত্রাসী মারার জন্যে যে বাহিনী বানালেন - তাকে সামলানোর মতো যথেষ্ঠ পথ রেখেছিলেন কি? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।