আমি ভাইরাস
বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী আকন্দকে আজ বুধবার বিদ্যালয় চত্বরে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের কর্মীরা মারধর করেছেন। এই খবরে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা ব্যাপক ভাঙচুর এবং ডেসটিনির কর্মীদের কয়েকজনকে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ ডেসটিনির কর্মকর্তাসহ তিনজনকে আটক করে।
পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও উন্নয়ন) আনোয়ার হোসেন শিক্ষকদের নিয়ে বসে জরুরি বৈঠকে করে কাল বৃহস্পতিবার স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ১১টার দিকে ডেসটিনির কর্মীরা বিদ্যালয়ের আমিনুল হক দুলাল মিলনায়তনের সামনে একটি মঞ্চ তৈরি করে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষ বিতরণ অনুষ্ঠান শুরু করে।
অনুমতি ছাড়া বিদ্যালয় চলাকালে ওই অনুষ্ঠান বন্ধ করতে নির্দেশ দেন প্রধান শিক্ষক।
কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞ অমান্য করে তাঁরা মাইক বাজিয়ে অনুষ্ঠান চালিয়ে যেতে থাকেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আবারও অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বললে উভয় পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে ডেসটিনির ১৫-১৬ জন কর্মী প্রধান শিক্ষককে মাঠের মধ্যে মারধর করেন। এ সময় কয়েকজন অভিভাবক এসে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করেন।
এই খবর ছাত্রদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা ডেসটিনির কর্মীদের ব্যবহূত একটি পিকআপ ভ্যান, মঞ্চ ভাঙচুর করে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ ছাড়া তারা কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করে।
খবর পেয়ে পুলিশ ছাত্রদের শান্ত করতে চাইলে পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়।
ঘটনার সময় উপস্থিত ডেসটিনির কর্মকর্তা আবদুর কাদের বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মৌখিক অনুমতি নিয়ে তাঁরা গাছের চারা বিতরণের আয়োজন করেন। সেখানে প্রধান শিক্ষককেও অতিথি করা হয়েছে।
কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুষ্ঠান বন্ধ করতে গেলে তাঁদের কয়েকজন কর্মী প্রধান শিক্ষকের গায়ে হাত তোলেন।
এ ব্যাপারে জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী আকন্দ জানান, তাঁর কাছ থেকে তাঁরা কোনো অনুমতি না নিয়েই বিদ্যালয় চত্বরে মাইক বাজিয়ে গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠান করছিলেন। তাঁদের অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বললে তাঁরা তাঁকে মারধর করেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম খালেকুজ্জামান বলেন, প্রধান শিক্ষককে মারধরের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি শিক্ষকেরা। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।
এ ঘটনায় ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের বগুড়া অঞ্চলের প্রধান আবদুল কাদের, কর্মী নাইম খান (১৮) এবং আল আমিনকে (২২) আটক করা হয়েছে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।