আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাণী মার্কা শাহী হালিম: খাবো কীভাবে?

রাস্তার ধারে কিংবা বড় রেস্টুরেন্টে যারা চটপটি বা হালিম খেতে চান না, তাদের জন্য সহজ পদ্ধতিতে বাড়ি বসে অল্প সময়ে এসব খাবার তৈরির চটকদার বিজ্ঞাপন আছে নানা প্রতিষ্ঠানের। আমরা শহুরে মানুষ বিজ্ঞাপননির্ভর হয়ে ছুটে যায় তাদের সেবা নিতে। কিন্তু গাঁটের টাকা খরচ করে কী সেবা পাচ্ছি তাদের কাছ থেকে? সেই রকম একখানি নমুনা পাঠকদের জন্য। গত মার্চ মাসের প্রথমদিকে যশোর শহরের খুবই পরিচিত ‘রানাস বেকারি’ থেকে রাণী নামক একটি শাহী হালিমের প্যাকেট ক্রয় করা হয়। সপ্তাহ খানেক পর এক শুক্রবার বিকেলে হালিমের জন্য অপরিহার্য হাড়ওয়ালা মাংসও কেনা হয়।

এরপর রান্নার উদ্যোগ নিতেই বেরিয়ে পড়ে হালিমের ভেতর থাকা উপাদানসমূহ। প্যাকেটের গায়ে লেখা উপাদানের কোনোকিছুই আর চেনা যায় না। খাবারের উপাদানসমূহ একত্রে ছত্রাকজাতীয় পদার্থে রূপ নিয়েছে ইতোমধ্যে। অর্থাৎ, গোটা হালিম জমাট বেঁধে গেছে ; তা আর খাবার উপযোগী নেই। রাণী মার্কা শাহী হালিমটির প্রস্তুতকারক ড্যানিস ফুড লিমিটেড।

৪০ টাকা মূল্যের ওই প্যাকেটটির মেয়াদকাল সেপ্টেম্বর ২০১২ পর্যন্ত। সেদিন বিকেলেই শহরের গাড়িখানা রোডস্থ রানাস বেকারিতে তা নিয়ে যাওয়া হয়। ক্রেতার পোড়া কপাল, বেকারি মালিক তো প্রথমে মানতেই চাননি এটি তার দোকানের। যাহোক পরে তিনি জানান, কোম্পানির লোক এলে তিনি বিষয়টি তাদের জানাবেন। এরপর বেশকিছু দিন পার হয়েছে।

কোম্পানির লোক এসে তা দেখেছে। তারা জানিয়েছে, খুব শিগগির এসব পণ্য বাজার থেকে উঠিয়ে নেয়া হবে। আর সেই ক্রেতা সাধারণ অধির অপেক্ষায় রয়েছেন, নষ্ট পণ্য বাজার থেকে তারা তোলার পর নতুন পণ্য দেবে। তারপর তিনি ‘শাহী হালিম’ খাবেন চটজলদি ! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।