যতদিন বহুদলীয় গণতন্ত্র ব্যবস্থায় সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হবে না, ততদিন জাতির ভাগ্য পরিবর্তন হবে বলে আমার মনে হয় না। বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে ভাবছি এবং মনের চোখ দিয়ে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশে । এবারেও দেশের সকল ছোট বড় দল তাদের প্রার্থী দিয়েছে নির্বাচনে । স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত দেশ; যেন এক মুহূর্তও ঘুমানোর ফুসরৎ নেই দেশটির । বরাবরের মত উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যাচ্ছে দলীয় প্রার্থীদের মুখ থেকে ।
আর ভাড়া করা/ পয়সায় কেনা (কিছুসংখ্যক ত্যাগী )সার্পোটারদের মুখ-নিঃসৃত বাণী প্রতিধ্বনিত হচ্ছে-”অমুখ ভাইয়ের চরিত্র, ফুলের মত পবিত্র!” ইত্যাদি ইত্যাদি । শুধুমাত্র স্বতন্ত্র ব্যানারের প্রার্থী গৈজুদ্দিনের পয়সায় কেনা সার্পোটার/কর্মী বাহিনী নেই। তাই গৈজুদ্দিনের চরিত্রের খবর জানার উপায় নেই। কেবলমাত্র সাদাকালো কিছু সংখ্যক পোষ্টারে গৈজুদ্দিনের মলিন মুখমন্ডলের ছবি শোভা পাচ্ছে। ছবিটি সাদামাঠা হলেও খুব ভালভাবে খেয়াল করলে দেখা যায়-এর মধ্যে এক ধরনের জ্যোতি যেন ঠিকরে বের হয়ে আসতে চাচ্ছে।
শান্তপ্রিয় বাঙ্গালীর জাতীয় নির্বাচন গোলমাল ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলো । কোথাও একটিও লাশ পড়েনি এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। যথারীরি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়া সম্পূর্নরূপে প্রস্তুত দেশবাসীকে নির্বাচনের ফলাফল জানানোর জন্য । আমজনতা ইতোমধ্যেই ভেজাল সরিয়ার তেল মাখানো মুড়ির গামলা নিয়ে টিভি সেটের সামনে বসেছে পরিবার পরিজন, বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে । কিছুক্ষণের মধ্যে ফলাফল ঘোঘনা শুরু হবে।
সংবাদ পাঠকদের মুখ থেকে শোনা যাবে ”অমুক কেন্দ্রের সব কটি কেন্দ্রের ফলাফল আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে । লক্ষাধিক ভোট বেশী পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন অমুখ দলের প্রাথী মিঃ অমুক। ” এভাবে চলতে থাকবে-----।
এরি মধ্যেই রাত গভীর হয়েছে। বিরাম নেই যেন সংবাদ কর্মীদের।
কিন্তু একি শোনা যাচ্ছে সংবাদ পাঠকদের মুখ থেকে? এখন পযর্ন্ত ৩০০ আসনের মধ্যে মোট ২৯৫টি আসনের চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে। সব ক’টি আসনে বিপুল সংখ্যক ভোটে জয়লাভ করেছেন গৈজুদ্দিন নামধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা । আর বাকী ৫ টি আসনের সব ক’টিতে এগিয়ে আছেন ঐ গৈজুদ্দিন সাহেবরাই ।
আমি আমজনতার মধ্যের একজন গোবেচারা। ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না; এবার কে সরকার গঠন করবে।
বড় দলদের মধ্য থেকে নাকি ছোট দলদের মধ্য থেকে; নাকি কোন ধর্ম-ভিক্তিক দল। এদেশের পন্ডিতগণ নিশ্চয় রাত পোহাবার আগেই এই অনাখাংকিত সমস্যার সমাধানের জন্য একটি ছক ঠিকই বের করে ফেলবেন।
[এটি একটি নিছক কল্পনা; কোন গোষ্ঠি বা ব্যক্তিগত ভাবে কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে ক্ষমা করে দেবেন]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।