অবশেষে পদত্যাগ করলেন রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তার ব্যক্তিগত সহকারি ওমর ফারুকের কাছে ৭০ লাখ টাকা পাওয়ার ঘটনায় এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর এই প্রথম কোনো মন্ত্রী পদত্যাগ করে নজির স্থাপন করলেন।
এদিকে রোববার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করেন রেলমন্ত্রী। সেখান থেকে ফিরে এসে আজ সোমবার দুপুরে রেলভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
এসময় তাকে বেশ কিছুটা বিমর্ষ লাগছিল। সকালে মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত যোগ দেননি।
পদত্যাগের ব্যাপারে সুরঞ্জিত বলেন, টাকা কেলেঙ্কারির ঘটনায় নিজে থেকে দায়িত্ব নিয়ে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত যাতে প্রভাবমুক্ত হয় সেজন্যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল তাকে পদত্যাগের আহবান জানিয়েছিল।
এছাড়া বিরোধীদল বিএনপি’র সংসদ সদস্যরা রোববার সংসদ ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে ৪৮ ঘন্টা সময় বেধে দেন।
তার আগেই পদত্যাগ করলেন রেলমন্ত্রী। এর আগে বিবিসি’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে রেল মন্ত্রী পদত্যাগ করতে অস্বীকার করে বলেছিলেন, পদত্যাগের প্রশ্ন ওঠে কেন?
গত ৯ এপ্রিল রাতে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাপরিচালক ইউসূফ আলী মৃধা, রেলওয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা এনামুল হক এবং রেলমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক তালুকদারকে রাজধানীর পিলখানায় ৭০ লাখ টাকাসহ বিজিবির সদস্যরা আটক করে।
রেলমন্ত্রীর এপিএস ওমর ফারুককে ইতোমধ্যে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। রেলওয়ের অপর দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একটি অনবদ্য নাম।
তার বাকা কথা, বিরোধীদলকে রসিকতা ও সমালোচনা, এবং নানা ভঙ্গীমা একই সাথে দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস বড় বংশ এসবই ছিল। তিনি কোনো দিন আঘাত খাননি অন্যকে আঘাত দিয়েছেন তবে এবার বুঝলেন আঘাত আসলে কি রকম হয়। যাই হোক তিনি হ্যা না হ্যা না করে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করে রাজনীতিতেও একটি নতুন নজির সৃষ্টি করলেন। এবার তদন্ত হোক বিষয়টির এবং কালো বিড়াল বের হোক শুধু সুরঞ্জিতের নয়- বিদ্যুৎ, খাদ্য, বাণিজ্য , যোগাযোগ এসব মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধেও পাহাড় সম অভিযোগ রয়েছে সেগুলোর তদন্ত হোক। সেটাই জনগণ চায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।