প্রতারিত সৈনিক, বেচে থাকা যোদ্ধা, বিজয়ের নেই কোন লেশ আপিন একজন মানুষ
যদি আপনি মুসলমান হন তাহলে আপনি মানেন যে আপনার প্রভু আল্লাহ
আর আপনি যদি হিন্দু হন তাহলে আপনার বগবান এরকম প্রত্যেক ধর্মমতে একজন সৃষ্টিকর্তা থাকেন। এবার আপনি বলেন আপনােক আপনার প্রভু কেন সৃিষ্ট করেছিলেন? আপানাকে আপনার প্রভুই সৃিষ্ট করেছেন নািক অন্য কেউ। যেই করুক না কেন একজন তো সৃষ্টি কর্তা আছেনই। এবার আপনি ভাবুন কেন আপনার সুষ্টি কর্তা আপনাকে সুষ্টি করেছিলেন। কিসের জন্য আপনি এই পৃখিবীতে এসেছেন।
ধরুন আপনি একজন মুসলমান আপনার ধর্ম ইসলাম, আপনার গ্রন্ত্র আল০ কোরআন, আপনার নবী হযরত মোহাম্মদ (দঃ) আর আপনি পৃথিবীতে এসেছেন একমাত্র আল্লাহর এবাদত করার জন্য। এখন এবাদত শুধু নামজ আর রোজা হজ্ব যাকাত আদায় নয় এর পাশাপাশী জীবন যাপন করা সংসারী হওয়া, সন্তান জন্ম দেয়া লালন পালন করা, মা বাবার খেদমত করা, মানুষের উপকার করা, প্রতিবেশীদের বিপদে এগিয়ে আসা ইত্যাদি। কোর আনের কোন একটি জায়গায়ও বরা হয়নি কাউকে খুন করার জন্য, অপকার করার জন্য, মা বাবাকে কষ্ট দেয়ার জন্য, ধর্মের জন্য কাউকে মেরে ফেলার জন্য, নিজে ধর্মের জন্য মরে যায়ওয়ার জন্য। এসব কথা কখনই বলা হয়নি। পৃথিবীতে যত বিজ্ঞানী , যত বিশেষজ্ঞ আছেন তারা সবাই জানেন এবং মানেন (বাহিরে, ভিতরে ভিতরে) যে, ইসলাম একমাত্র শান্তির ধর্ম।
আর কোরআন একমাত্র গ্রন্থ্য যেখানে মানবতার সমস্ত সমাধান দেয়া আছে। যদি আপনি এটি মানেন তাহলে মানার মত না মানলেও আপনি কেন তার বিপরীতে যাবেন। আর আপনি যখন এর বিপরীতে যাবেন তখন আর আপনি মুসলমান বলে দাবী করতে পারবেননা। যেমন দরেন যে, কোরআনে বলা হয়েছে যে, কিছু কিছু কাজ আছে যা বিধর্মীরা করে আপনি তা করবেন না। তার মানে এই বলা হয়নি যে, বিধর্মীরা বাচার জন্য খায় আপনি না খেয়ে মরে যাবেন তা নয়।
বিধর্মীরা এমন কিছু করে যা সমাজের জন্য ভালো নয়, কোন মঙ্গণজনক নয় ইহা কু-সংস্কার তাহা করা যাবে না।
আপনি মনে করেন আপনার পিতা আপনার সংসারে একমাত্র গার্জিয়ান বা পরিচালনক। এখন আপনি সব সময় আপনার পিতার মন জোগানোর জন্যই চেষ্টা করিবেন বা আপনার অফিসের বস এর মন জোগানোর চেস্টা করেন কিভাবে তার মন জোগালে ভালো সুয়োগ সুবিধা পাওয়া যাবে। এখানে পিতা এবং বসের মন যোগাচ্ছেন তাদের ভালোর জন্য নয় বরং আপনার ভালোর জন্য। কিন্তু সৃষ্টি কর্তার মন যোগালে যেমন তার ভালো হবে তেমনি আপনারও ।
আমি একটা কথা বুঝাতে চাচ্ছি আসলে আমার জন্মটা কেন হয়েছে কে আমাকে সৃষ্টি করেছে। আমাকে কে বাচিয়ে রেখেছে। পিতা, বস নাকি সৃষ্টি কর্তা। যদি সৃষ্টি কর্তাই হন তাহলে বলতে হবে আমাদের এই পৃথিবীতে আসা শুধুমাত্র তারই জন্য। এবং তার হাতেই সর্বোচ্চ পাওয়ায়।
আমার ভালো থাকা , ভালো কোন কিছু হওয়া, বা জীবন গড়া একমাত্র তারই হাতে। আর তাকে খুশি রাখতে হলে আমাকে তার কথা মত চলতে হবে। আর তিনি এমন কিছু কঠিন পথ দেন নাই। যে পথে চললে আমার জীবনটা নষ্ট হয়ে যাবে বা কস্টকর হবে।
মনে করেন কোরআনে বলা হয়েছে মেয়েদের বোরকা পরিধানের জন্য কিন্তু কিছু কিছু মেয়ে চেলেনা এটাকে নিয়ে তামাশা করে।
অনেক মুসলমান আছেন যারা বোরকা নিয়ে তামাশা করেন। আবার নিজেকে মুসলমান দাবি করেন। কোর আনের অনেক কিছুই মানেন না আবার নিজিকে পাক্কা মুসলমান দাবি করেন। নামাজ পড়ের রোজাও রাখেন। আবার তার মেয়ে শর্ট কাপর পরিধান করে সারা দুনিয়া ঘুড়ে বেড়ায়।
তিনি নামাজ তেকে বের হয়েই রাস্তায় এ রকম কোন মেয়ে দেখলে ওই মেয়ের দিকে তাকাতে তার বিবেক বাধা দেয়্ কিন্তু ওই নামাজী ব্যক্তির মেয়েটা আরোও দশটা বখাটে ছেলেদের চোখের খাদ্য হিসাবে গন্য হচ্ছে।
(যৌবন এমন একটা জিনিষ যা ঢেকে রাখার জিনিস, এটিকে চোখের সামনে আনলেই বিপরীত যৌবন নাড়া দেয়, আর এটি একটি অতি সুখময় বস্তু যা শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ব্যক্তি ধারা প্রকাশিত হবে। যেমন স্বামী-স্ত্রী, স্বামী-স্ত্রী ছাড়া ইহা সুখের নয়, এবং সমাজের বহু মনসীরা এটি মানেন যে পরক্রীয় মানুষ কে অশান্তির মধ্যে ফেলে দেয়। আপনার কাছে আমার একটা প্রশ্ন আপনার যৌবন যদি আপনার স্বামীর জনই হয় তাহলে আপনি রাস্তায় শর্ট খাপর পরে আপনার যৌবনটা কাখে দেখাতে চাইছেন। কেন দেখাতে চাইছেন।
পৃথিবীতে যত খারাপ লোকই থাক না কেন সবাই চায় ভালো বউ । কারো সাথে আগের সম্পর্ক থাকলে কোন স্বামীই তাকে গ্রহণ করেন না। তাহলে ভালোকে সবাই সায় দিচ্ছে। আসলে আপনি একজন মেয়ে আর আপনাকে নিয়ে সবাই মজা করছে আর আপনি পাপের ভাগি হচ্ছে)
আমি নিজেও হয়তো নামজ রোজা ঠিক মত করিনা। কিন্তু ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করি না।
ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করার মত কোন সাহস বা শিক্ষা আমার নেই। আসলে আমি শুধু মাত্র একজন মানুষ যেহেতু এই পুথিবীর কোন একটা বস্তু আমার জন্ম দেয়ার ক্ষমতা নেই সেহেতু সৃষ্টি কর্তার আদেশ নিয়ে মন্তব্য করার ক্ষমতা ও আমার নেই।
আসুন ধর্মের সব কথা মেনে চলি আর নাই চলি মেনে না চলাটা হয়ত আল্লাহ মাফ করে দিবেন কিন্ত ধর্ম না মানা বা সমালোচনা করাটাকে আল্লাহ কোন অবস্থাতেই মাফ করিবেন না। তাই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি একবারে বন্ধ করে দিন। যত টুকু পারেন ততটুকা মেনে চলেন না পরিলে অন্যের ধর্ম-কর্ম নিয়ে মাথা নস্ট করিবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।