না আমি ঝড়ের কথা লিখতে বা শোনাতে আসিনি। সবার কত আয়জন কত পরিকল্পনা এর মাঝে ঝড়ের কথা বলা সত্যি অন্যায়।
কখন ঝড়ের মাঝে খোলা আকাশের নিচে হেঁটেছেন? বৃষ্টির পানি জমে থাকা মাঠে কাঁদা মেখে ফুটবল খেলেছেন কখন? কখন কি বৃষ্টি ভেজা মেঘ গুঁড় গুঁড় দুপুরে টিনের চালের নিচে কাঁথা মুরে ঘুমিয়েছেন?
স্কুল পালিয়ে মেলায় গেছেন কখন?
ছোট বেলার সেই সম্পাপরিওয়ালা র ডুগডুগি র আওয়াজ কি মনে আছে?
আম চুরি করে শুকনো মরিচ আর গুর দিয়ে মেখে কাচা আম এর স্বাদ কি জিভ ভুলে গেছে?
বন্ধু রা মিলে ছোট গাছের ডাল দিয়ে ঘর বানিয়ে আবার ভেঙ্গে ফেলার অনুভূতি কি মনে আছে এখন?
মা খাওয়ানর জন্য আমাদের পাতের ভাত মেখে ছোট ছোট ভাগ করে বলতেন , এটা বাবা র , এটা দাদা র এভাবে কত দিন ভাত খান নি মনে করতে পারেন?
পুকুরে গোসল এর সময় দৌরে গিয়ে জলে লাফ দেওয়ার কথা মনে আছে ত? সেই সাথে দেরি করার জন্য মায়ের বা বাবা র দাবড়ানি?
হয়ত এগুল পড়ে আরো অনেক কিছুই ভেসে উঠছে চোখে। তাই না? এই কর্পোরেট ফ্যাশন এর যুগে রঙ আর মাতামাতি বেড়েছে ঠিকই কিন্তু হারিয়ে গেছে বাংলার আসল চেহারা।
আজ রঙ্গিন হবে ফেসবুক এর পাতা গুল।
ব্লগ গুল ভরে উঠবে বৈশাখী রঙ এ। কোন অতি জ্ঞানী ব্যাক্তি খুজতে বসবে ইসলামে এটা জায়েজ কি না এই টা দেখা র জন্য।
ইলিশ মাছ কেনা গেল না বলে বাড়িতে হয়ত কার অভিমান চোলছে। কেউ শাড়ির সাথে মানান সই স্যান্ডেল পায়নি বলে ঠোট ফুলিয়ে আছে।
কেউ ভাতে পানি দিচ্ছে পান্থা খেতে হবে কেউ বা প্রতিদিনের নিয়মেই পানি ঢালছে ভাতে, উদ্দেশ্য এক পান্থা খেতে হবে।
!
কোন উদ্দেশ্য নিয়ে লিখতে আজ বসিনি।
শুধু সবাই কে একটু বলতে এসেছি বাজারের গরমে বৈশাখ কিভাবে পালন করবেন এটা নিয়ে চিন্তা করবেন না। উপরের প্রশ্ন গুল একটু ভাবুন দেখবেন সত্যি বৈশাখ এসেছে আপনার মনের জানালা খুলে।
শুভ নববর্ষ সবাই কে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।