বেপোয়া মানুষ গত পাঁচ বছরে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। অর্থনীতির এ দুই সূচকের ওপর ভর করে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বেড়েছে আড়াইগুণ। গত পাঁচ বছরে গড়ে ৬ শতাংশের উপরে জিডিপি প্রবৃদ্দি অর্জনেও রেমিট্যান্স, রফতানি আয় ও রিজার্ভ বিশেষ অবদান রেখেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১২-১৩ অর্থবছর শেষ হওয়ার সাত দিন বাকি থাকতেই রেমিট্যান্স এক হাজার ৪০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে যা গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। পাঁচ বছর আগে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৭৯০ কোটি ডলার।
চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে রফতানি আয় হয়েছে ২ হাজার ৪৩২ কোটি ডলার যা গত অর্থবছরের পুরো সময়ের চেয়ে ১১ শতাংশ বেশি। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে রফতানি আয় ছিল এক হাজার ৪১০ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে গত সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫২৫ কোটি ডলার, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও এই তিন সূচকের ইতিবাচক প্রবৃদ্দি খুশি। তিনি বলেন, এই পাঁচ বছরে দেশের অর্থনীতির ওপর দিয়ে কম ঝড় বয়ে যায়নি।
বিশ্ব অর্থনীতির মহামন্দার মধ্যে আমরা দায়িত্ব নিই। সেই মন্দা কিন্তু এখনও পুরোপুরি কাটেনি। স্থানীয় পর্যায়ে দেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা ছিল। বিরোধী দলের একের পর এক হরতাল-অবরোধের মতো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি দিয়ে অর্থনীতির মারাত্মক ক্ষতি করেছে। এত কিছুর পরও পাঁচ বছরে রেমিট্যান্স, রফতানি আয় এবং রিজার্ভ বেড়েছে।
আর এই তিন কারণেই আমাদের অর্থনীতির ভীত মজবুত হয়েছে। দেশে জি ডি পির হার বেড়েছে। দারিদ্র সীমা নিচে নেমে এসেছে। সাফল্য অবশ্য এ সরকারের স্বীকার করতেই হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।