আজ আমার মন ভাল নেই। সময় আর অসময়ের আধো আলো
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মীর্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, “রেমিট্যান্স প্রবাহ দ্রুত কমছে। এর হার বিপজ্জনক। রেমিট্যান্সের এ ধস ঠেকাতে সরকারকে মধ্য এশিয়া, কোরিয়াসহ নতুন নতুন দেশ খুঁজে বের করার প্রতি মনোযোগী হতে হবে। ”
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) ‘দারিদ্র বিমোচন : আমাদের অবস্থান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সরকারের অতিরিক্ত দামে চাল আমদানিরও সমালোচনা করেন বক্তারা।
ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবু কাওসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার, অর্থনীতিবিদ ড. ফরাস উদ্দিন, ড. বিনায়েক সেন ও ড. জাহিদ হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন ইআরএফ’র সভাপতি মনোয়ার হোসেন।
মীর্জা আজিজুল ইসলাম জানান, ২০০৮ সালে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৩২ শতাংশ। ২০০৯ সালে কমে তা ২২ শতাংশ হয়েছে।
তিনি বলেন, “এ বছর তা কমে চার থেকে পাঁচ শতাংশ হতে পারে। ”
বিদেশে কর্মী পাঠানোর ব্যাপারে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষ করে গড়ে তোলার প্রতি দৃষ্টি দেয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন তিনি।
মীর্জা আজিজুল ইসলাম দারিদ্র কমাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, “সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে দুর্নীতি কমে ও সামাজিক নিরাপত্তা স্থাপিত হয়। ”
এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বলেন, “দারিদ্র মাপার বিষয় নয়, অনুভব করার বিষয়। আমাদের কোটি কোটি লোক দরিদ্র তা সবার বুঝতে হবে।
কারণ তা না হলে দরিদ্র কমানো সম্ভব হবে না। ”
তিনি বলেন, “দরিদ্র কমলেও মানুষে মানুষে দুরত্ব বাড়ছে। ”
তিনি বলেন, “দারিদ্র নিরসনে বহু উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হয়। সমস্যা হলো, সামাজিক ব্যাধি ‘দুর্নীতি’। দারিদ্র দূর করতে হলে সবাইকে দুর্নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
”
ব্র্যাকের মতো স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করে বিনায়েক সেন বলেন, “এরা দরিদ্র মানুষকে নিয়ে কাজ করে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মুনাফা অর্জন করে। এসব প্রতিষ্ঠানের উচিত অন্তত ৩০ শতাংশ মালিকানা দরিদ্রশ্রেণীকে দেয়া। ”
সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য কঠোর নজরদারি করতে অনুরোধ করেন তিনি।
ড. ফরাস উদ্দিন বলেন, “দারিদ্র্য একটি বহুমাত্রিক অভিশাপ। শুধু আয় ব্যবধান নয়, সম্পদের মালিকানার পার্থক্য এর বড় কারণ।
”
প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলে (এমডিজি) দারিদ্র দূর করার কথা বলা হলেও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় তা বিমোচনের কথা বলা হয়েছে। ”
অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষায় ভোকেশনাল শিক্ষা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
‘ম্যান পাওয়ার এক্সপোর্ট নয়’ ধারণাকে অপমানজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রকৃত অর্থে বিষয়টি হলো ম্যান পাওয়ার সার্ভিস এক্সপোর্ট। ”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।