সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম এই দেশে বহু ধর্ম ও জাতির বসবাস। প্রত্যেকে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে যাচ্ছে সুন্দরভাবেই।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং ইসলামিক দেশ হওয়া সত্বেও হিন্দুদের দূর্গা পূজার বন্ধ দেয়া হয় সরকারীভাবেই। খ্রীষ্টান ও বোদ্ধদের জন্যও রয়েছে সরকারী ছুটি।
অথচ ইংল্যান্ডের মত খ্রীষ্টান সংখ্যাগরীষ্ট একটা দেশে মুসলমানদের জন্য ঈদের কোন সরকারি ছুটি নেই।
নেই হিন্দু কিংবা অন্য ধর্মম্বলীদের জন্যও। সরকারী ছুটিকে এরা ব্যাংক হলিডে বলে। কিন্তু প্রত্যেক ব্যাংক হলিডের পেছনে রেয়েছ তাদেরই ধর্মীয় কোন আচার অনুষ্ঠান। লোকজন ব্যাংক হলিডে বলতে ব্যাংক সংক্রান্ত কাজ কর্মের জন্য সরকারী বন্ধ বুঝবে। অথচ তা নয়।
লোকজনকে সাম্প্রদায়িক মানসিকতার পরিচয় গোপন রাখতেই মনে হয় এই ব্যবস্থা।
ইংল্যান্ডে মুসলমানদের সংখ্যা এবং কাজ কর্ম বাড়ছে। ঈদ সংক্রান্ত ছুটি নিয়ে আন্দোলন হলেও সরকারের যুক্তির কাছে হার মেনেছে মুসলমানরা। ঈদ চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে তাই ঈদের জন্য বছরের ফিক্সড কোন দিন ধার্য করা যাবেনা।
সাম্প্রদায়িকতার আরো অনেক প্রমাণ প্রায়ই সময় পত্রিকায় দেখা যায়।
বোরকা পড়ে ক্লাশে যাওয়ার কারণে টিচার কতৃক বহিষ্কত হয়েছিলো এক মুসলিম মেয়ে বেশকিছুদিন আগে। যদিও মেয়েটি কোর্টে আপিল করে তার পক্ষেই রায় পেয়েছিলো তবুও এই ঘটনা সাম্প্রদায়িক মানিকতারই পরিচয় দেয়।
আমি বোরকা পড়া নিয়ে অনেক ইংরেজের সাথে কথা বলেছি। তাদের সবারই কথার সারমর্ম একটাই। "আমাদের দেশে থাকলে আমাদের মতই চলতে হবে ।
বোরকা পড়তে চাইলে নিজের দেশে গিয়ে পরো। "কিন্তু ঈমানদার মুসলমান মেয়ের পক্ষে কি এদের মতো ছোটখাট পোশাক পড়া সম্ভব ?
এরা এ ধরনের সাম্প্রদায়িক মানসিকতা নিয়েই চলে অথচ আজ পর্যন্ত কেউ বলেনি ইংল্যান্ড একটা সাম্প্রদায়িক দেশ।
{আমি আমার নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছি মাত্র অন্য কোন উদ্দেশ্যে নয়। }
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।