আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বর্তমান সাংবাদিকতা বনাম ভবিষ্যত সাংবাদিকতা - হলুদ অধ্যায়ের সূচনা

পৃথিবীতে অনেক মানুষ। সবারই দুটি চোখ কিন্তু এদের বেশিরভাগই অন্ধ। ভবিষ্যতে সাংবাদিকতা জগতে কি হবে সেটা ভবিষ্যতবাণী করা হয়তো সহজ নয়। তবে .. ২০১৩ সালটা সাংবাদিকতার জন্য একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশের যুগ হয়ে থাকবে। সেটা খুব সাধারণভাবেই বলা যায়।

এ দেশে যদি কখনো সাংবাদিকতা তার নিজস্ব মূলধারায় ফিরে আসে; তবে ২০১৩ কে পরবর্তী প্রজন্ম সাংবাদিকতার ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে নথিভুক্ত করবে। অন্যদিকে .. যদি তারা মূলধারায় ফিরে না এসে উল্টো ২০১৩ সালকে হলুদ অধ্যায়ের সূর্যোদয় হিসেবে কাজে লাগায়। তাদের মূলসত্ত্বা বিসর্জন দিয়ে বর্তমান স্বভাবকে আরও এগিয়ে নিয়ে যায় কিংবা যাওয়ার চেষ্টা করে তবে ... নিদ্বিধায় বলা যায়, ভবিষ্যতে সাংবাদিকরা সকল শ্রেণী যেমন- পুলিশ, জনগণ, রাজনৈতিক দলের কর্মী, কিংবা কোন গোত্রের হাতে লাঞ্চিত-পীড়িত-নিগৃহীত-আহত কিংবা নিহত হওয়াটা একদম ডাল-ভাত হয়ে দাঁড়াবে। এবং ... এ লাঞ্চিত-পীড়িত-নিগৃহীত-আহত কিংবা নিহত হওয়ার পর তারা বিচারের জন্য যতই চিল্লাফাল্লা করুক না কেন; তারা এর বিচার পাবে না বড়জোর বিচারের আশ্বাস পেতে পারেন। তবে এখন যে অবস্থা দেখা যাচ্ছে, বিচারের আশ্বাস দিতেও কর্তৃপক্ষ ব্যাপক কার্পণ্য করছে।

সামনে তা বাড়বে বৈ কমবে না। আপনাদের পাশে শুধু ক্যামেরাম্যান আর বুদ্ধিবিক্রেতারা বাদে কেউ দাঁড়াবে না। বুদ্ধিবিক্রেতারা অবশ্য নৈতিক খাতিরে নয় বরং নিজের পশ্চাতদেশ সামলানোর জন্য আপনাদের পাশে দাঁড়াবে। দেখুন না !! অনেক হামকি-দামকি, হেন করেংগা - তেন করেংগা করেও কি সাগর-রুনি হত্যার বিচারের কোনো কূলকিনারা করা হয়েছে ? কিংবা সাম্প্রতিক কয়েক মাসের ভেতর সাংবাদিকদের উপর নির্যাতনকারীদের কাউকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে ? কিংবা কোন জোরদার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে ? হয়নি ! আর হবেও না। কারণটা যেমন আমি জানি; ঠিক দেশের সাধারণ প্রত্যেকটি জনগণ জানে।

সাংবাদিকরা যখন একটি পক্ষের হয়ে কাজ করবে তখন অপরপক্ষ এদের প্রতি কোন সহানুভূতি প্রদর্শন করবে না । এটা খুব স্বাভাবিক। আর যার পক্ষ হয়ে কাজ করছে সেও সাংবাদিকদের ‘কাজের সময় কাজি, কাজ ফুরাইলে পাজি’ পদ্ধতিতে ব্যবহার করবে। সুতরাং.. সাংবাদিক হিসেবে আপনাকে ব্যবহার করবে কিন্তু আপনার বিষয়ে তার নিজের মাথায় কোন ব্যাথা উঠাবে না। কারণ তার মাথায় কয়েক’শ ধরনের ব্যাথা আছে।

আর সাধারণ জনগণ ? সাধারণ জনগণ যখন দেখবে আপনারা বস্তুনিষ্ঠতা ছেড়ে পক্ষপাতিত্ব করছেন (বর্তমানে যা হচ্ছে) তখন আপনাদের থেকে সহানুভূতি উঠে যাবে। অলরেডি এখনই অনেকটা উঠে গিয়েছে। সাংবাদিক পেটাতে দেখলে এখন আর কারও অনুভূতিতে ঘা লাগে না। অনেকটা আপনারা গণবিচ্ছিন্ন হয়ে একঘরে হয়ে যাচ্ছেন। আপনারা আন্দোলন করলে সাধারণ জনগণ সাড়া দিবে না।

আপনাদের পত্রিকা হয়তো পড়বে কিন্তু আপনাদের আহবানে সাড়া দিবে না। লেখা পড়বে কিন্তু বিশ্বাস করবে না। বরং মাঝে মাঝে অশ্লীল গালি দিবে। আপনাদের চেহারা দেখলে হয়তো চ্যালেন পাল্টে ফেলবে কিংবা পত্রিকার পাতাটি আস্তে করে উল্টে দিবে। কারণ? আপনারা নিজেদের সাংবাদিক না ভেবে রাজনৈতিক কনডম ভাবতে শুরু করেছেন !! . Wish for Journalism to get back their own track !! . ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.