আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অন্ধ ধার্মিকত্ব, অন্ধ রাজনীতির কবলে দেশ ও জাতী

প্রতারিত সৈনিক, বেচে থাকা যোদ্ধা, বিজয়ের নেই কোন লেশ মনে বিরাট কষ্ট পেলাম আজ। কিছু কথা না বললেই মনে শান্তি পাচ্ছিলাম না। প্রতি দিনের মত আজও ঘুম থেকে উঠে টিভি দেখলাম, সারা দেশে হরতাল ভালো ভাবেই পালন হচ্ছে। মনে মনে একটু খুশিই হলাম। হরতাল হলে এ ধরনের হরতালই দরকার।

মনে হলো বাংলাদেশের মানুষ আসলে ইসলামকে ভালো বাসে। এটা প্রমান হল। আসলে আমি হেফাজতে ইসলাম বলেন আর শিবির বলেন কোন দলকেই পছন্দ করিনা। কারন ধর্ম নিয়ে কখনও রাজনীতি সম্ভব নয়। কারন রাজনীতিতে মিথ্যা ছাড়া কোন কথাই নাই্।

যাই হোক, অফিসে জরুরী কাজ বিধায় মোটর বাইক নিয়ে রওয়ানা দিলাম বাড়ি থেকে মৌলভীবজারের উদ্দেশ্যে , অনেকটা জায়গা এসেছি কোথাও কোন অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি। যে মাত্র মোকাম বাজার পার হয়ে জগন্নাথপুর এলাকায় আসলাম দেখলাম রাস্তায় কম বয়সের ছোট ছোট ছেলেরা বসে আছে। তারা আমার সাইকেল আটকালো আমি তাদেরকে পরিচয় দিয়ে বললাম ভাই আমি একটু সামনে যাব। প্লিজ আমাকে যেতে দিন। কাছে আসতেই দেখলাম আরো অনেক লোকজন আছে।

তাদের মধ্যে অনেক লোক আমার সাইকেলের পাশে এসে আমার ছাবিটা নিয়ে নিলো, অনেক্ই আজে বাজে কথা বলা শুরু করল। আমি উনাদের বললাম আপনাদের আজকের এই হরতালে আমার পুর্ন সমর্থন আছে। কিন্তু আমার একটা জরুরী কাজ থাকায় আমি বাধ্য হয়ে আসছি। ওরা আমার কোন কথাই শুনলনা। আমাকে একজন বলল আপনি কার্ড দেখান।

অন্যজন এসে আমাকে সাইকেল থেকে নামালো নামিয়ে বাইকটি রাস্তায় ফেলে আগুন ধরানোর কথা বলল। আমি বললাম ভাই আমি একজন মুসলমা। এবং ধার্মিক। নবী প্রেমী। আমার মুখ্যে দাড়ীও আছে।

একজন বলল দাড়িত শাহবাগীদেরও আছে ডা. ইমরানের ও দাড়ী তোমার মত। রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর ও দাড়ী রেখেছিল। এ রকম নানা কথা বার্তা বলে ওরা অনেক উত্তেজিত হয়ে আমাকে আক্রমনাত্তক অবস্থায় হঠাত একটি মোটর বাইক আমার পাশে দেখতে পেলাম, লোকটি সবা্র উদ্দ্যেশ্যে বলতেছে এ ভাই উনাতে ছেড়ে দিন উনি আমাদের শ্রীমঙ্গলের সাংবাদিক। উনি সাংবাদিক মানুষ। উনাকে যেতে দিন।

আমি যখন মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম তখন ওই ভদ্রলোক এসআই হান্নান শ্রীমঙ্গলে দায়িত্বরত ছিলেন। উনার কথা শুনার পর ওরা কিছুটা শান্ত হলেও বাকী অনেক্ই আমাকে ধরে খেয়ে পেলার মত অবস্থা। আমি মনে অনেক কষ্ট পেলাম, এবং তাদেরকে বুঝাতে চাইলাম যে তোমরা রাসুল (সঃ) কে যতখানি ভালোবাস তার ছেয়ে সামান্য পরিমান কম ভালোবাসা আমার মধ্যে নেই। তাহলে কেন ওরা আমার সাথে এ রকম করলো?? কেন? কেন? আসলে এ রকম অশিক্ষিত মুর্খ্য ধার্মিকদের কারনেই আজ সমাজে ইসলামের নামে বদনাম হচ্ছে। আল্লাহ পাক আমাকে কিছুটা হলেও কোরআন-হাদিস পড়ার তওফিক দিয়েছেন আমি কোথায় এ রকম ব্যবহারের কথা একজন মুসলমানের সহিত আর একজন মুসলমানের পাইনি।

হেফাজতে ইসলামের কোন ভাই যদি আমার এই লেখাটি পড়ে থাকেন আমাকে বলবেন কি আপনারা কোথাও কি এ আছরনের কথা কোরআর-হাদিসে লেখা আছে দেখাতে পারবেন। প্লীজ আমার এ লেখাটিকে নিয়ে কেউ রাজনীতি করবেন না। আমি শুধু আমার মনের কষ্টটা এখানে আপনাদের শেয়ার করলাম। ইতি শাহাবমনে বিরাট কষ্ট পেলাম আজ। কিছু কথা না বললেই মনে শান্তি পাচ্ছিলাম না।

প্রতি দিনের মত আজও ঘুম থেকে উঠে টিভি দেখলাম, সারা দেশে হরতাল ভালো ভাবেই পালন হচ্ছে। মনে মনে একটু খুশিই হলাম। হরতাল হলে এ ধরনের হরতালই দরকার। মনে হলো বাংলাদেশের মানুষ আসলে ইসলামকে ভালো বাসে। এটা প্রমান হল।

আসলে আমি হেফাজতে ইসলাম বলেন আর শিবির বলেন কোন দলকেই পছন্দ করিনা। কারন ধর্ম নিয়ে কখনও রাজনীতি সম্ভব নয়। কারন রাজনীতিতে মিথ্যা ছাড়া কোন কথাই নাই্। যাই হোক, অফিসে জরুরী কাজ বিধায় মোটর বাইক নিয়ে রওয়ানা দিলাম বাড়ি থেকে মৌলভীবজারের উদ্দেশ্যে , অনেকটা জায়গা এসেছি কোথাও কোন অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি। যে মাত্র মোকাম বাজার পার হয়ে জগন্নাথপুর এলাকায় আসলাম দেখলাম রাস্তায় কম বয়সের ছোট ছোট ছেলেরা বসে আছে।

তারা আমার সাইকেল আটকালো আমি তাদেরকে পরিচয় দিয়ে বললাম ভাই আমি একটু সামনে যাব। প্লিজ আমাকে যেতে দিন। কাছে আসতেই দেখলাম আরো অনেক লোকজন আছে। তাদের মধ্যে অনেক লোক আমার সাইকেলের পাশে এসে আমার ছাবিটা নিয়ে নিলো, অনেক্ই আজে বাজে কথা বলা শুরু করল। আমি উনাদের বললাম আপনাদের আজকের এই হরতালে আমার পুর্ন সমর্থন আছে।

কিন্তু আমার একটা জরুরী কাজ থাকায় আমি বাধ্য হয়ে আসছি। ওরা আমার কোন কথাই শুনলনা। আমাকে একজন বলল আপনি কার্ড দেখান। অন্যজন এসে আমাকে সাইকেল থেকে নামালো নামিয়ে বাইকটি রাস্তায় ফেলে আগুন ধরানোর কথা বলল। আমি বললাম ভাই আমি একজন মুসলমা।

এবং ধার্মিক। নবী প্রেমী। আমার মুখ্যে দাড়ীও আছে। একজন বলল দাড়িত শাহবাগীদেরও আছে ডা. ইমরানের ও দাড়ী তোমার মত। রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর ও দাড়ী রেখেছিল।

এ রকম নানা কথা বার্তা বলে ওরা অনেক উত্তেজিত হয়ে আমাকে আক্রমনাত্তক অবস্থায় হঠাত একটি মোটর বাইক আমার পাশে দেখতে পেলাম, লোকটি সবা্র উদ্দ্যেশ্যে বলতেছে এ ভাই উনাতে ছেড়ে দিন উনি আমাদের শ্রীমঙ্গলের সাংবাদিক। উনি সাংবাদিক মানুষ। উনাকে যেতে দিন। আমি যখন মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম তখন ওই ভদ্রলোক এসআই হান্নান শ্রীমঙ্গলে দায়িত্বরত ছিলেন। উনার কথা শুনার পর ওরা কিছুটা শান্ত হলেও বাকী অনেক্ই আমাকে ধরে খেয়ে পেলার মত অবস্থা।

আমি মনে অনেক কষ্ট পেলাম, এবং তাদেরকে বুঝাতে চাইলাম যে তোমরা রাসুল (সঃ) কে যতখানি ভালোবাস তার ছেয়ে সামান্য পরিমান কম ভালোবাসা আমার মধ্যে নেই। তাহলে কেন ওরা আমার সাথে এ রকম করলো?? কেন? কেন? আসলে এ রকম অশিক্ষিত মুর্খ্য ধার্মিকদের কারনেই আজ সমাজে ইসলামের নামে বদনাম হচ্ছে। আল্লাহ পাক আমাকে কিছুটা হলেও কোরআন-হাদিস পড়ার তওফিক দিয়েছেন আমি কোথায় এ রকম ব্যবহারের কথা একজন মুসলমানের সহিত আর একজন মুসলমানের পাইনি। হেফাজতে ইসলামের কোন ভাই যদি আমার এই লেখাটি পড়ে থাকেন আমাকে বলবেন কি আপনারা কোথাও কি এ আছরনের কথা কোরআর-হাদিসে লেখা আছে দেখাতে পারবেন। প্লীজ আমার এ লেখাটিকে নিয়ে কেউ রাজনীতি করবেন না।

আমি শুধু আমার মনের কষ্টটা এখানে আপনাদের শেয়ার করলাম। ইতি শাহাব ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।