আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বীরাঙ্গনা : সবাই বীর না, কেউ কেউ বীর

জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই এক সাংবাদিক কম্পিউটারে লিখছে। তার লেখার শিরোনাম - বীরাঙ্গনা । সে লিখে চলেছে - ভদ্র সমাজে তার পরিচয় নষ্ট মেয়ে। সে নিজেও তা জানে সেটা। তাই তো কখনও নিজেকে বীরাঙ্গনা বলে পরিচয় দেয় না।

অন্ধ গলিতে পঁচে মরা অন্য মেয়েদের মতো সে নিজেকে বড় সাধারণ মনে করে। আসলে সে তো সাধারণ কেউ না, সে বীরাঙ্গনা। সাংবাদিকের লেখায় উঠে আসে তার বীরাঙ্গনা হয়ে ওঠার গল্প। দয়াল চানের মেয়ে নাজমা। একদিন একটা বাজারে প্রকাশ্যে তাকে তুলে নিতে যায় কিছু গুণ্ডা।

গুণ্ডাদের অস্ত্রের ভয়ে বাজারভর্তি লোক কিছু বলে না। কিন্তু প্রতিরোধ গড়ে তোলে নাজমা। ফলে গুণ্ডাদের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি চলতে থাকে। ভাষা সৈনিকের মেয়ে সালমা সেখান দিয়ে যেতে থাকে। সে গিয়ে গুণ্ডাদের সঙ্গে মারামারি শুরু করে।

পরে বাজারের লোকজনও তার সঙ্গে যোগ দেয়। এবার লোকজন গুণ্ডাদের গণধোলাই দেয় এবং পুলিশে সোপর্দ করে। সেই থেকে নাজমা ও সালমা বান্ধবী। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে নাজমার বাবা দয়াল চান রাজাকার কমাণ্ডার হয়ে যায়। অন্য দিকে সালমার ভাই হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা।

সালমাকে পাকিস্তানী মেজরের কাছে তুলে দেয়ার পরিকল্পনা করে রাজাকার দয়াল চান। আড়াল থেকে শুনে ফেলে নাজমা। সে সালমাকে বাঁচানোর পরিকল্পনা করে। নাজমা সালমাকে সরিয়ে সে স্থানে নিজেকে লুকিয়ে রাখে । রাজাকার বাাহিনীর লোকজন তাকে সালমা ভেবে তুলে নিয়ে যায়।

সে পাকিস্তানী মেজরের কাছে ধর্ষণের শিকার হয়। ফুর্তি করার জন্য পাকিস্তানী মেজর নাজমাকে দয়াল চানের কাছে পাঠায়। এবার নাজমা তার নেকাব সরায়। দয়াল চান দেখে এ তার নিজের মেয়ে। সে তার মাথা ঠিক রাখতে পারে না।

বন্দুক নিয়ে গিয়ে সরাসরি গুলি করে মারে পাকিস্তানী মেজরকে। গুলির শব্দ শুনে চারপাশের সৈনিকরা ঘরটা ঘিরে ফেলে। রাজাকার দয়াল চান তার মেয়েকে পালিয়ে যেতে বলে। তার মেয়েকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করার জন্য সে পাকিস্তানী সৈনিকদের সঙ্গে গুলি বিনিময় করতে থাকে। নাজমা পালিয়ে যায়।

গোলাগুলিতে মারা যায় দয়াল চান। সাংবাদিকের প্রতিবেদনটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে সাংবাদিকের কাছে ফোন আসে বীরাঙ্গনা নাজমা মারা গেছে। সে পতিতা ছিল কেউ তার লাশ সৎকার করতে চায় না। সাংবাদিক নিজে গিয়ে ব্যবস্থা করার চেষ্টা করে।

অবশেষে ব্যর্থ হয়ে তার লাশ ভাসিয়ে দেয়া হয় নদীতে। তার কপালে জোটে না রাষ্ট্রীয় সম্মান। তাতে কী, সাংবাদিকের লাল স্যালুট ঠিকই সে অর্জন করে নেয়। অতিকথন : উপরের গল্পটি একটি নাটকের । নাটকের নাম - বীরাঙ্গনা।

মূল গল্প - ফজলুল হক পলাশ। চিত্রনাট্য ও পরিচালনা এই অধমের। ইতিমধ্যে চিত্রনাট্য লেখা শেষ করেছি। সব কিছু ঠিক থাকলে খুব শীঘ্রই শুটিং শুরু করব। কেমন হবে গল্পটি ? ভালো লাগবে ? কঠোর সমালোচনাসহ মতামত চাই।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।