আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সে সত্যে কখনই আলো মুখ দেখবে না - কারন থলির বিড়ালকে থলি সহ ক্লাসিফায়েড করা হয়েছে

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি বিএনপি আইএসআই স্ক্যানডালের যবনিকা এমনই তো হওয়ার কথা ছিলোই। বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতিতে এমন কিছু করেনি যে পাকিস্তান বিএনপির কোন ক্ষতি হয় এমন কোন তথ্য স্বীকার করবে বা পাবলিককে বলতে দেবে - পুরো স্ক্যানডালের ঘটনাক্রম সংক্ষেপে এমন ছিলো - ১) দৃররানী কোর্টে সত্য ভাষন দিতে বাধ্য হয়েছেন - কারন এর সাথে পাকিস্তানের রাঘববোয়াল জড়িত - মিথ্যা ভাষন তাকে মহাবিপদের দিকে টেনে নিয়ে যাবে - আর ঘটনাচক্রে সেখানে বিএনপিকে টাকা দেওয়ার কথা বলেছে। ২) পাকিস্তানের প্রধান প্রধান পত্রিকাগুলো বিএনপি খালেদার মতো মিত্রকে বিব্রত না করতেই এই অংশটা গুরুত্ব না দিয়েই অন্যান্য ছেপেছে। কিন্তু অপ্রধান পত্রিকায় বিএনপি কানেকশানের খবর ঠিকই ছেপেছে। ৩) খালিজ টাইমস খালেদার কথাসহ ছেপেছে - যা বাংলাদেশে বিতর্ক তৈরী করেছে।

(আফজাল খান ) ৪) বিব্রত বিএনপিকে রক্ষায় এগিয়ে আসে জামায়াতের গবেষনা সংস্থা - ভারত এবং হিন্দু কানেকশান আবিষ্কার করে এবং তা ব্লগ আর পত্রিকায় ব্যাপকভাবে প্রচারে ব্যবস্থা করে। ৫) ইতোমধ্যে শুক্রবার বন্ধের দিন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় খালেদার রেসকিউতে এগিয়ে এসে একটা বিবৃতি দেয় - বলে "টাকা দেই নাই"। ৬) দুররানী বিবিসিতে বলে টাকা দেই নাই। (দুররানী বিএনপির বন্ধু বটে)। ৭) অবেশেষে বিএনপি খালিজ টাইমসের কাছে প্রতিবাদ পাঠায়।

প্রতিবাদটা যে ছাপা হবে তা বিএনপির নেতারা জেনেই পাঠায় - কারন বানান ভুল আর ভুল বাক্যের এডিট করার মতো সময় নষ্ট করতেও রাজী ছিলেন না ওনারা। কিন্তু থলের বিড়াল কিন্তু রয়ে গেলো দুররানীর কোর্টে দেওয়া স্বাক্ষ্যতেই । ৮) অবশেষে এই খবর - কোর্টের স্বাক্ষী সরকার ক্লাসিফায়েড করে বিড়ালকে থলির ভিতরেই বন্ধ রাখা হয়েছে । উল্লেখ্য কোর্টের দলিনপত্র সব সময় সাধারনের জন্যে ওপেন থাকে - শুধমাত্র পাকিস্তানেই কোর্টের দলিলপত্র "ক্লাসিফয়েড" করা হয়। কথা আছে - এই ফ্রেন্ড ইন নিড এ্যা ফ্রেন্ড ইন ডিড।

এই না হলে কি আর বিপদে বন্ধুর পরিচয় মিলে - বিএনপির প্রকৃত বন্ধুর মতোই কাজ করলো পাকিস্তান। সুতরাং যুক্তি ছাড়া আর কোন উপায় থাকলো না বিষয়টির সত্যাতা যাচাইএর। আর যুক্তি যার যার - বিশেষ করে বিব্রত বিএনপির সমর্থকরা তাল গাছটা জড়িয়ে ধরে যুক্তি দেবেন - তাতে অবাক হবার কিছু নাই। তবে ঘটনার পরশ্পরা - অতীত ইতিহাস আর বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে বিএনপির চলমান অবস্থান থেকে এই কেলেংকারীর অভিযোগ থেকে বিএনপি কোন ভাবেই পরিচ্ছন্ন ভাবে বেড়িয়ে আসতে পারছে না - পাকিস্তান থেকে বিএনপি অর্থ সাহায্য পেয়েছে এবং পাচ্ছে - এই ধারনা জনমনে বিশ্বাসের ছায়া ফেলবেই। মানুষের বিশ্বাস বিএনপি আগেও পাকিস্তান স্বার্থে কাজ করতো - এখনও করছে।

এই সংক্রান্ত আগের পোস্ট ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।