ঢাকা, মার্চ ২৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- সরকার আগামী শনিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে এক ঘণ্টার জন্য বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ রাখার বৈশ্বিক কর্মসূচি ‘আর্থ আওয়ার’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যুৎ ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় নয় এমন সব ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আশা করছি জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে এ কর্মসূচি পালন করবে। জরুরি প্রয়োজনে কেউ কেউ বাতি বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র চালু রাখতেই পারেন, তবে জনগণের প্রতি আমার আহ্বান, আপনারা ওই এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
”
‘আর্থ আওয়ার’ কর্মসূচির আওতায় প্রতি বছর মার্চ মাসের শেষ শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে বাসাবাড়ি ও অফিসে প্রয়োজনীয় নয় এমন বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধের জন্য বিশ্ববাসীকে উৎসাহিত করা হয়। জ্বালানি সাশ্রয়ের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্ববাসীকে সচেতন করাই এর লক্ষ্য।
এ কর্মসূচির আয়োজক ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর ন্যাচার (ডব্লিউডব্লিউএফ)।
বাংলাদেশেও এ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়ে তৗফিক-ই-ইলাহী বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব হ্রাসের দায়িত্ব আমাদের নয়; তবে আমরা পশ্চিমাদের বলে দিতে চাই, আর অপব্যয় নয়। ”
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান এএসএম আলমগীর বলেন, “এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ ব্যবহার থেকে বিরত থাকলে ৪০০ টন জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
আর বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে ১৬ লাখ ইউনিট। ”
বিদ্যুৎসচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমরা প্রচার শুরু করেছি। আশা করছি সারা দেশেই এই কর্মসূচি পালিত হবে। ”
২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় সিডনিতে প্রথমবারের মতো ‘আর্থ আওয়ার’ পালিত হয়। ২০১১ সালে ১৩৫ দেশের ৫ হাজার ২৫১টি শহরে তা ছড়িয়ে পড়ে।
আইফেল টাওয়ার, বাকিংহাম প্যালেস, গোল্ডেন গেইট ব্রিজ, টেবল মাউন্টেইন, ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার ও সিডনি ওপেরা হাউজের মতো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার বাতি এক ঘণ্টার জন্য নিভিয়ে রাখা হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।